1. newsroom@saradesh.net : News Room : News Room
  2. saradesh.net@gmail.com : saradesh :
জালবায়ু উন্নয়নে রাজা বাদশা সিটি এন্টি গ্রীন হাউজ এফেক্ট লিমিটেড - সারাদেশ.নেট
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার হাইকোর্টে ২৩ অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ খালাস পেলেন যুবদল নেতা আইনজীবী নুরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ আপিল বিভাগে তালিকাভুক্ত হলেন এডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

জালবায়ু উন্নয়নে রাজা বাদশা সিটি এন্টি গ্রীন হাউজ এফেক্ট লিমিটেড

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

দিদারুল আলম: সাম্প্রতিক সময়ে পৃথিবীতে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান হচ্ছে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন।

পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। বিষয়টি এখন শুধু আলোচনার টেবিলেই সীমাবদ্ধ নেই, এটা এখন ছাড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী মাঠ-পর্যায়ে আন্দোলনের মতো।

জালবায়ু উন্নয়নে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান রাজা বাদশা সিটি এন্টি গ্রীন হাউজ এফেক্ট লিমিটেড দেশসহ বিশ্বব্যাপী নানা প্রকল্প গ্রহণ করছেন। এরই মধ্যে লক্ষীপুর জেলার ভবাণীগঞ্জ এলাকায় ৮ হাজার একর জায়গায় হচ্ছে বিশাল প্রজেক্ট। এতে থাকবে তেল গ্যাসবিহীন বিদ্যুৎ প্রকল্প। গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম। যিনি আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিষয়ে খ্যাতিমান বিশেষজ্ঞ। গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও লক্ষীপুর প্রজেক্টের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ছিদ্দিকুর রহমান সারাদেশ’কে বলেন, “বাংলাদেশকে স্বাধীন করার দীর্ঘ সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মূখ সমরে অংশ নেয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এখন দেশ হবে সত্যিকারের সোনার বাংলা এবং প্রকৃতি হবে দূষণমুক্ত এটিই প্রত্যাশা। পরবর্তী প্রজন্ম পাবেন একটি নিরাপদ পৃথিবী।

তিনি বলেন,’জলবায়ু পরিবর্তন এখন বিশ্বব্যাপী চিন্তার বিষয়। এ বিষয়টি মোকাবেলায় বিশ্বনেতৃত্ব ও বিশেষজ্ঞগন নানা পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নিচ্ছেন। আমরাও এটি নিয়ে সুদুরপ্রসারি প্রজেক্ট নিয়ে এগুচ্ছি। এর সুফল পাবেন দেশ ও বিশ্বের মানুষেরা।’

এনিয়ে রাজা বাদশা সিটি এন্টি গ্রীন হাউজ এফেক্ট লিমিটেড মো.সাইফুল ইসলামের সঙ্গে লক্ষীপুর প্রজেক্ট নিয়ে মো. ছিদ্দিকুর রহমানের একটি চুক্তিনামা দলিলও সম্পাদন হয়।

জলবায়ু পরিবর্তন কি ?
জলবায়ু হচ্ছে কোনো অঞ্চলের আবহাওয়া বা বায়ুমণ্ডলের উপাদানসমূহের দীর্ঘদিনের (কমপক্ষে ৩০ বছরের) গড়। জলবায়ু পরিবর্তন বলতে ৩০ বছর বা তার বেশি সময়ে কোনো জায়গার গড় জলবায়ুর দীর্ঘমেয়াদী ও অর্থপূর্ণ পরিবর্তন বুঝায়। একটি নির্দিষ্ট এলাকার তাপমাত্রা বা বৃষ্টিপাতের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনকেও বোঝায়।

কোনো জায়গার গড় জলবায়ুর দীর্ঘমেয়াদী ও অর্থপূর্ণ পরিবর্তন যার ব্যাপ্তি কয়েক যুগ থেকে কয়েক শত বছর পর্যন্ত হতে পারে সেটাই জলবায়ু পরিবর্তন বা Climate change বলা হয়।

জলবায়ু পরিবর্তন কেন হয়?
অনেকগুলো প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার ওপর জলবায়ুর পরিবর্তন নির্ভর করে। যে সমস্ত প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় জলবায়ুর পরিবর্তন হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন গতিশীল প্রক্রিয়া, সৌর বিকিরণের মাত্রা,

 

পৃথিবীর অক্ষরেখার দিক-পরিবর্তন কিংবা সূর্যের তুলনায় পৃথিবীর অবস্থান।

বর্তমান সময়ে মনুষ্যজনিত গ্রিনহাউজ গ্যাসের ফলে পৃথিবীর উষ্ণায়নকে জলবায়ু পরিবর্তনের একটি অন্যতম কারণ ধরা হয়। যেটি কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধিতে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা বাড়ার কারণে বায়ুমণ্ডলের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। সর্বোপরি জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব
বিশেষ কোনো অঞ্চল বা জনগোষ্ঠী নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের মুখে পড়েছে সারাবিশ্বের মানুষ। এটি ভাবার কোনো সুযোগ নেই যে, এর প্রভাব শুধু অনুন্নত দেশগুলো ভোগ করবে। বিশেষ করে গত ২০ বছরে এই প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা থেকে আমেরিক মহাদেশেও।

বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচকের (সিআরআই) এক গবেষণায় দেখা গেছে, গেল ২০ বছরে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের কুফলে মারা গেছে ৫ লাখ ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষ। আর এর সরাসরি ফলাফল হিসেবে আবহাওয়া বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে ১১ হাজারটি। অতিখরা, অতিবৃষ্টি, প্রলয়ঙ্করী ঝড়, তীব্র শীত, অসহনীয় তাপপ্রবাহ, করাল বন্যা ও ভূমিধস আমাদের জানিয়ে দেয় জলবায়ু পরিবর্তন এক কঠিন বাস্তবতা, এক মূর্তিমান চ্যালেঞ্জ।

আমাদের করণীয়: জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হলে বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস লাগবেই লাগবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে মানুষকে সজাগ ও সচেতন করতে হবে। কলকারখানায় কালো ধোঁয়া নির্গমন কমিয়ে আনতে হবে। সিএফসি নির্গত হয়- এমন যন্ত্রপাতির ব্যবহার কমাতে হবে, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে।

বনভূমি ধ্বংস বন্ধ করতে হবে এবং বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন বাড়াতে হবে। সৌরশক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির সন্ধান করতে হবে। প্রকৃতির ওপর মানুষের বিরূপ আচরণ বন্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় দেশের সরকার ব্যাপক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট গঠন করে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচলনা করছে।

পরিবেশ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি-উদ্ভাবন ও অর্থায়নের যুগে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের অনেক সুযোগ রয়েছে যা সম্মিলিতভাবে কাজে লাগাতে হবে।

ডিএ/এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *