Dhaka ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মামলা হলেই গ্রেফতার নয়, তদন্তে দায় পাওয়া গেলে ব্যবস্থা: আইজিপি `অন্তর্ভূক্তিমূলক রাষ্ট্রকাঠামোই জাতীয়তাবাদের উপহার’-অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন সংশোধন বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

  • Update Time : ০৭:০৪:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ১৭ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালীকরণে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রস্তাবিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ এর সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‍

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার,জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক ও অবৈতনিক সদস্যগণ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর একটি হোটেলে আজ এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘আইনি গবেষণার মাধ্যমে তারতম্যমূলক আইন ও নীতি চিহ্নিতকরণপূর্বক উহা সংস্কার শীর্ষক প্রকল্প’ এর উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন বিধান সংশোধনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: (১) ‘শৃংখলা বাহিনী’ এর সংজ্ঞা হতে পুলিশ বাহিনীকে বাদ দেয়া, ফলে মানবাধিকার কমিশন সাধারণ নিয়মে পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত ও অনুসন্ধান করতে পারবে; (২) কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ১ জনের পরিবর্তে ৩ জন করার প্রস্তাব; (৩) কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের মেয়াদ ৩ বছরের পরিবর্তে ৫ বছর করার প্রস্তাব; (৪) কমিশনের অবৈতনিক সদস্যগণ আর্থিক সুবিধা ব্যতীত হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের মর্যাদা প্রদানের প্রস্তাব; (৫) কমিশন কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদানের ক্ষমতা; (৬) কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন, ভাতা, চাকরির সুবিধাদি সরকারি কর্মচারীদের অনুরূপ করার প্রস্তাব; (৭) কমিশনের ‘সচিব’ পদনামের পরিবর্তে ‘মহাপরিচালক’ পদনাম করার প্রস্তাব এবং (৮) কমিশনের তহবিল সংক্রান্ত বিধান বাতিলের প্রস্তাব।

প্রস্তাবিত সংশোধনীসমূহের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার কমিশনকে আরও কার্যকর ও শক্তিশালীকরণের উদ্দেশ্য আনীত প্রস্তাবসমূহ সময়োপযোগী। তবে, কতিপয় প্রস্তাব, বিশেষ করে- ‘শৃংখলা বাহিনী’ এর সংজ্ঞা হতে পুলিশ বাহিনীকে বাদ দেয়া, কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ১ জনের পরিবর্তে ৩ জন করার প্রস্তাব; চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের মেয়াদ ৩ বছরের পরিবর্তে ৫ বছর করার প্রস্তাব; অবৈতনিক সদস্যগণ আর্থিক সুবিধা ব্যতীত হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের মর্যাদা প্রদানের প্রস্তাব; কমিশন কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদানের ক্ষমতা প্রদানের প্রস্তাবের সাথে সরকারের নীতি নির্ধারণী বিষয় জড়িত।

সভায় কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন, ভাতা, চাকরির অন্যান্য সুবিধা সংক্রান্ত সংশোধনী প্রস্তাব যাচাই-বাছায়ের জন্য লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ডিএ/এসএস//

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন সংশোধন বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

Update Time : ০৭:০৪:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালীকরণে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রস্তাবিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ এর সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‍

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার,জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক ও অবৈতনিক সদস্যগণ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর একটি হোটেলে আজ এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘আইনি গবেষণার মাধ্যমে তারতম্যমূলক আইন ও নীতি চিহ্নিতকরণপূর্বক উহা সংস্কার শীর্ষক প্রকল্প’ এর উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন বিধান সংশোধনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: (১) ‘শৃংখলা বাহিনী’ এর সংজ্ঞা হতে পুলিশ বাহিনীকে বাদ দেয়া, ফলে মানবাধিকার কমিশন সাধারণ নিয়মে পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত ও অনুসন্ধান করতে পারবে; (২) কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ১ জনের পরিবর্তে ৩ জন করার প্রস্তাব; (৩) কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের মেয়াদ ৩ বছরের পরিবর্তে ৫ বছর করার প্রস্তাব; (৪) কমিশনের অবৈতনিক সদস্যগণ আর্থিক সুবিধা ব্যতীত হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের মর্যাদা প্রদানের প্রস্তাব; (৫) কমিশন কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদানের ক্ষমতা; (৬) কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন, ভাতা, চাকরির সুবিধাদি সরকারি কর্মচারীদের অনুরূপ করার প্রস্তাব; (৭) কমিশনের ‘সচিব’ পদনামের পরিবর্তে ‘মহাপরিচালক’ পদনাম করার প্রস্তাব এবং (৮) কমিশনের তহবিল সংক্রান্ত বিধান বাতিলের প্রস্তাব।

প্রস্তাবিত সংশোধনীসমূহের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার কমিশনকে আরও কার্যকর ও শক্তিশালীকরণের উদ্দেশ্য আনীত প্রস্তাবসমূহ সময়োপযোগী। তবে, কতিপয় প্রস্তাব, বিশেষ করে- ‘শৃংখলা বাহিনী’ এর সংজ্ঞা হতে পুলিশ বাহিনীকে বাদ দেয়া, কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ১ জনের পরিবর্তে ৩ জন করার প্রস্তাব; চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের মেয়াদ ৩ বছরের পরিবর্তে ৫ বছর করার প্রস্তাব; অবৈতনিক সদস্যগণ আর্থিক সুবিধা ব্যতীত হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের মর্যাদা প্রদানের প্রস্তাব; কমিশন কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদানের ক্ষমতা প্রদানের প্রস্তাবের সাথে সরকারের নীতি নির্ধারণী বিষয় জড়িত।

সভায় কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন, ভাতা, চাকরির অন্যান্য সুবিধা সংক্রান্ত সংশোধনী প্রস্তাব যাচাই-বাছায়ের জন্য লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ডিএ/এসএস//