Dhaka ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান

কাতারে ১০ বছরে ১০১৮ বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু: দ্য গার্ডিয়ান

  • Update Time : ০৬:৩৮:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ১৩ Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত ১০ বছরে কাতারে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি অভিবাসী শ্রমিক মারা গেছেন। এদের মধ্যে অন্তত ১ হাজার ১৮ জন বাংলাদেশি। মঙ্গলবার ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এক দশক আগে ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচিত হয় কাতার। এর পরপরই অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। বিশ্বকাপের জন্য নতুন সাতটি স্টেডিয়ামসহ কয়েক ডজন বিশাল প্রকল্প হাতে নিয়েছে তারা। ইতোমধ্যেই এর বেশ কয়েকটির কাজ শেষ, বাকিগুলোর কাজও এগিয়ে চলেছে পুরোদমে। আর এই কাজ করছেন মূলত দক্ষিণ এশিয়া থেকে যাওয়া অভিবাসী শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার দ্য গার্ডিয়ানের এক বিশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ১০ বছরে কাতারে কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। অর্থাৎ, কাতারে প্রতি সপ্তাহে এই পাঁচটি দেশের গড়ে ১২ জন শ্রমিক মারা গেছেন।
বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার সরকারি তথ্যের ভিত্তিতে ব্রিটিশ পত্রিকাটি বলছে, কাতারে ২০১১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার এই চারটি দেশের ৫ হাজার ৯২৭ জন শ্রমিক মারা গেছেন।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভারতের শ্রমিক। গত ১০ বছরে কাতারে ২ হাজার ৭১১ জন ভারতীয় শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এরপর নেপালের ১ হাজার ৬৪১ জন, বাংলাদেশের ১ হাজার ১৮ জন এবং শ্রীলঙ্কার রয়েছে ৫৫৭ জন।
এছাড়া পাকিস্তান দূতাবাসের হিসাবে, ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে তাদের ৮২৪ শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন।

তবে সেখানে গত এক দশকে অভিবাসী শ্রমিকের প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি। কারণ, গার্ডিয়ানের এই হিসাবের মধ্যে ফিলিপাইন-কেনিয়ার মতো দেশগুলোর শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ২০২০ সালের শেষ কয়েক মাসের হিসাবও এখানে নেই।

এসএস//

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কাতারে ১০ বছরে ১০১৮ বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু: দ্য গার্ডিয়ান

Update Time : ০৬:৩৮:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত ১০ বছরে কাতারে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি অভিবাসী শ্রমিক মারা গেছেন। এদের মধ্যে অন্তত ১ হাজার ১৮ জন বাংলাদেশি। মঙ্গলবার ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এক দশক আগে ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচিত হয় কাতার। এর পরপরই অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। বিশ্বকাপের জন্য নতুন সাতটি স্টেডিয়ামসহ কয়েক ডজন বিশাল প্রকল্প হাতে নিয়েছে তারা। ইতোমধ্যেই এর বেশ কয়েকটির কাজ শেষ, বাকিগুলোর কাজও এগিয়ে চলেছে পুরোদমে। আর এই কাজ করছেন মূলত দক্ষিণ এশিয়া থেকে যাওয়া অভিবাসী শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার দ্য গার্ডিয়ানের এক বিশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ১০ বছরে কাতারে কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। অর্থাৎ, কাতারে প্রতি সপ্তাহে এই পাঁচটি দেশের গড়ে ১২ জন শ্রমিক মারা গেছেন।
বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার সরকারি তথ্যের ভিত্তিতে ব্রিটিশ পত্রিকাটি বলছে, কাতারে ২০১১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার এই চারটি দেশের ৫ হাজার ৯২৭ জন শ্রমিক মারা গেছেন।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভারতের শ্রমিক। গত ১০ বছরে কাতারে ২ হাজার ৭১১ জন ভারতীয় শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এরপর নেপালের ১ হাজার ৬৪১ জন, বাংলাদেশের ১ হাজার ১৮ জন এবং শ্রীলঙ্কার রয়েছে ৫৫৭ জন।
এছাড়া পাকিস্তান দূতাবাসের হিসাবে, ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে তাদের ৮২৪ শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন।

তবে সেখানে গত এক দশকে অভিবাসী শ্রমিকের প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি। কারণ, গার্ডিয়ানের এই হিসাবের মধ্যে ফিলিপাইন-কেনিয়ার মতো দেশগুলোর শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ২০২০ সালের শেষ কয়েক মাসের হিসাবও এখানে নেই।

এসএস//