বিশেষ প্রতিবেদক : পহেলা মার্চ থেকে আবাসিক হল খুলে দেয়ার দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকালে একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে বসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বৈঠকে সরকারের সিদ্ধান্তই মেনে নেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। এর ফলে ঈদের আগে আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সম্ভাবনা রইলো না। এ রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলছিলো।
সোমবার উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান জানিয়েছিলেন, জাতীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ কম। একইদিন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ঈদ-উল-ফিতরের ছুটির পর ২৪শে মে থেকে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। এর এক সপ্তাহ আগে অর্থাৎ ১৭ই মে থেকে আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়া হবে। এই মধ্যবর্তী সময়ে অনলাইনে ক্লাস চলবে।
অন্যদিকে আবাসিক হল খুলে দেয়ার দাবিতে সোমবার দুপুরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, ১৭ই মে আবাসিক হল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তে তাদের আস্থা নেই। কারণ এর আগেও বেশ কয়েকবার হল খোলার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, একাডেমিক কাউন্সিলে হল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত না হলে, আবারো আন্দোলনে যাবেন তারা।
ভার্চুয়াল সভায় সোমবার দিপু মনি বলেন, আবাসিক হল খোলার আগেই ১২০টি হলের এক লাখ ৩০ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থী সেইসঙ্গে শিক্ষক কর্মচারীদের টিকা দেয়া ব্যবস্থা করতে হবে। সব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খোলার প্রস্তুতি নেবে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ১৭ মার্চ থেকে অন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। যা আজ পর্যন্ত চালু হয়নি। এতে শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
এসএস//
Leave a Reply