বিশেষ প্রতিবেদক : নিউজিল্যান্ডের সমুদ্রতীরে ৪৯ টি তরুন তিমির দেহ পড়ে রয়েছে। প্রায় ৫৫ মাইল জুড়ে রয়েছে এই তিমিদের দেহ। এনডিটিভি সূত্রে খবর, স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন সমুদ্র থেকে তিমির দল ভেসে আসছে পাড়ের দিকে। এরপর তারা আর ফিরে যেতে পারছে না সমুদ্রে। স্থানীয়রা তিমিগুলিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তারা তা করতে পারেনি।
সমুদ্রের জোয়ারের জলের সঙ্গে ভেসে এসেছিল তিমিগুলি। তাই তাদের ফের সেখানে ফেরত পাঠানো সহজ ছিল না। এই নিয়ে নিউজিল্যান্ডের সমুদ্রতটে প্রায় ২৫০ টি তিমির মৃত্যু হল। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত সেখানকার প্রশাসন থেকে শুরু করে সমুদ্র গবেষকরা। তারা জানিয়েছেন, সমুদ্রের তলায় ভারসাম্য রক্ষার বিষয়টি এখানে প্রাধান্য পেয়েছে। সেখানে কি তবে সামুদ্রিক প্রানীদের বসবাসের যোগ্য পরিস্থিতি নেই। সমুদ্র যদি বসবাসের অযোগ্য হয় তবে এই বিশালকায় প্রানীরা তীরের দিকে ছুটে আসে। জোয়ারের জলের সঙ্গে বহু তিমি পাড়ের দিকে আসে ঠিক তবে তা কখনই এত বেশি হয়না। তিমিগুলিকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে তাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। এরপরই তাদের বিষয়ে হয়তো সঠিক তথ্য জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সমুদ্র থেকে তিমিদের এহেন পালিয়ে আসার পিছনে তাই অশনি সঙ্কেত দেখতে পাচ্ছেন। তিমিরা জলের তলার পরিবেশ বুঝতে একেবারে পটু। তারা অতি দ্রুত পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে কি সমুদ্র তার চরিত্র বদল করছে। চিন্তিত নিউজিল্যান্ড সরকার।
এসএস//
Leave a Reply