Dhaka ১২:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

শিশু রাকিবকে হত্যার অপরাধের শাস্তি একটি বার্তা : এটর্নি জেনারেল

  • Update Time : ০৫:৩২:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ১ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক: এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, শিশু রাকিবকে হত্যায় আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আপিল বিভাগেও বহাল রাখার রায় ঘৃণ্য অপরাধীদের জন্য একটি বার্তা।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগ বেঞ্চ আসামিদের আপিল খারিজ করে ২২ ফেব্রুয়ারি রায় দেন। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এটর্নি জেনারেল এ কথা বলেন। তিনি বলেন, শিশু নির্যাতন ও হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তারা নরপিশাচ। যাদের কারণে এ ধরণের জগণ্যতম ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে আজকের রায় তাদের জন্যে একটি বার্তা। যারা এ ধরণের অপরাধ করবে তাদের জন্য শাস্তি অনিবার্য। এটর্নি জেনারেল আরো বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে দুটো বিষয় প্রতিষ্ঠিত হলো একটা হচ্ছে অপরাধের শাস্তি দেয়া অপরটি বার্তা পৌছে দেয়া।

খুলনার শিশু রাকিব হত্যা মামলার আসামি ওমর শরীফ ও মিন্টুকে হাইকোর্টের দেয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে আজ রায় দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
২০১৫ সালের ৩ আগস্ট খুলনার টুটুপাড়া কবরখানা মোড়ে শরীফ মোটরস নামের এক গ্যারেজে চাকায় হাওয়া দেয়ার কমপ্রেশার মেশিনের মাধ্যমে মলদ্বারে হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যা করা হয় শিশু রাকিবকে। ঘটানার পরদিন রাকিবের বাবা মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে শরীফ, মিন্টু ও শরীফের মা বিউটি বেগমের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। লোমহর্ষক এ ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ও দেশব্যাপী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

ওই ঘটনার মামলা হওয়ার ৯৬ দিন পর বিচারপ্রক্রিয়া শেষে একই বছরের ৮ নভেম্বর রায় দেন খুলনার আদালত। ওই রায়ে এই মামলার আসামি শরীফ মোটরসের মালিক ওমর শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টুকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এরপর রায়সহ মামলার নথি ওই বছরের ১০ নভেম্বর হাইকোর্টে আসে এবং ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়। সেই সঙ্গে দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।

ডিএ/এমএইচবি/

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

শিশু রাকিবকে হত্যার অপরাধের শাস্তি একটি বার্তা : এটর্নি জেনারেল

Update Time : ০৫:৩২:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক: এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, শিশু রাকিবকে হত্যায় আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আপিল বিভাগেও বহাল রাখার রায় ঘৃণ্য অপরাধীদের জন্য একটি বার্তা।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগ বেঞ্চ আসামিদের আপিল খারিজ করে ২২ ফেব্রুয়ারি রায় দেন। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এটর্নি জেনারেল এ কথা বলেন। তিনি বলেন, শিশু নির্যাতন ও হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তারা নরপিশাচ। যাদের কারণে এ ধরণের জগণ্যতম ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে আজকের রায় তাদের জন্যে একটি বার্তা। যারা এ ধরণের অপরাধ করবে তাদের জন্য শাস্তি অনিবার্য। এটর্নি জেনারেল আরো বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে দুটো বিষয় প্রতিষ্ঠিত হলো একটা হচ্ছে অপরাধের শাস্তি দেয়া অপরটি বার্তা পৌছে দেয়া।

খুলনার শিশু রাকিব হত্যা মামলার আসামি ওমর শরীফ ও মিন্টুকে হাইকোর্টের দেয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে আজ রায় দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
২০১৫ সালের ৩ আগস্ট খুলনার টুটুপাড়া কবরখানা মোড়ে শরীফ মোটরস নামের এক গ্যারেজে চাকায় হাওয়া দেয়ার কমপ্রেশার মেশিনের মাধ্যমে মলদ্বারে হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যা করা হয় শিশু রাকিবকে। ঘটানার পরদিন রাকিবের বাবা মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে শরীফ, মিন্টু ও শরীফের মা বিউটি বেগমের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। লোমহর্ষক এ ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ও দেশব্যাপী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

ওই ঘটনার মামলা হওয়ার ৯৬ দিন পর বিচারপ্রক্রিয়া শেষে একই বছরের ৮ নভেম্বর রায় দেন খুলনার আদালত। ওই রায়ে এই মামলার আসামি শরীফ মোটরসের মালিক ওমর শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টুকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এরপর রায়সহ মামলার নথি ওই বছরের ১০ নভেম্বর হাইকোর্টে আসে এবং ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়। সেই সঙ্গে দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।

ডিএ/এমএইচবি/