বিনোদন ডেস্ক : চার বছরের আগের কথা মনে পড়ছে অনুরাগীদের। পৃথিবীতে আসার পরমুহূর্তেই যে ভাবে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল সদ্যোজাতকে, সে কথা ভুলতে পারেন না তৈমুরের বাবা ও মা। এক তুর্কি সুলতানের নামের সঙ্গে মিলে যাওয়ার ফলে উগ্র হিন্দুদের কোপের মুখে পড়তে হয় ছোট্ট তৈমুরকে।
ওই দম্পতিই আরো এক পুত্রসন্তানকে এ জগতের আলো দেখালেন। গত বছর অগস্টে নতুন অতিথির আগমনের বার্তা দিয়েছিলেন সাইফিনা। রোববার সকালে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খান। এখন নেটাগরিকদের প্রশ্ন একটাই, কী নাম দেয়া হবে তৈমুরের ভাইয়ের?
সে প্রসঙ্গেই উঠে এলো অতীতের বিশেষ এক ঘটনা। তৈমুর আলি খানের জন্মের আগের মুহূর্তে হাসপাতালে যাওয়ার সময়ে সাইফ আলি খান চেয়েছিলেন যেন এই নামটি রাখা না হয়। তার মনের মধ্যে আরো একটি নাম বার বার উঠে আসছিল। ফায়জ আলি খান। বিখ্যাত পাকিস্তানি কবি ফায়জ আহমদ ফায়জ-এর নামে নাম রাখতে চেয়েছিলেন তিনি। কারিনাকেও জানিয়েছিলেন। কাব্যিক নামটি পছন্দ ছিল তার। কিন্তু কারিনার দাবি ছিল, ‘তৈমুর’ শব্দের অর্থ লোহা। লৌহমানবের মতো দৃঢ় এক ব্যক্তি হিসেবে দেখতে চান তার ছেলেকে। কিন্তু সাইফের যুক্তি ছিল, তিনি চান না তাঁ ছেলের আশেপাশে নেতিবাচকতার ভিড় জমুক। তখন স্বামীকে অন্যদের কথায় গুরুত্ব না দিয়ে নিজের সিদ্ধান্তে বিশ্বাস রাখার উপদেশ দিয়েছিলেন কারিনা। এই ঘটনাটির কথা একটি সাক্ষাৎকারে স্বয়ং জানিয়েছিলেন অভিনেতা।
ফের ওই রকমই এক মুহূর্তের সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন তারকা দম্পতি। এ বার কি তবে সাইফের আশা পূরণ হবে? তৈমুরের ছোট ভাইয়ের নাম কি ‘ফায়জ’ রাখা হবে?
ও দিকে চার বছরের তৈমুর এখন জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সকাল সকাল মা-কে দেখে এসেছেন হাসপাতালে। এর পর বড় ভাই হিসেবে কত কত দায়িত্ব তার কাঁধে! নিজের জন্মের সময়ে তার দিকে যে পরিমাণ কুৎসিত মন্তব্য ছুটে এসেছিল, সে রকম কিছু হলে ভাইকে বাঁচাতে হবে তো! সে যে বীরপুরুষ, তার প্রমাণ এর আগে বহু বার পাপারাৎজিদের ক্যামেরায় তা ধরা পড়েছে। অন্তঃসত্ত্বা মায়ের ছবি তোলা হচ্ছে কেন! হাত তুলে তেড়ে গিয়েছিলেন পাপারাৎজিদের দিকে। সে এখন বড় ভাই বলে কথা!
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
Leave a Reply