Dhaka ১১:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

দেবতাখুম যাওয়ার উপায়

  • Update Time : ০৩:৪১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪ Time View

সারাদেশ ডেস্ক : দেবতাকুম বা দেবতাখুম (Debotakhum) বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়িতে অবস্থিত একটি খুম। বান্দরবানকে বলা যায় খুমের স্বর্গরাজ্য। এডভেঞ্চারপ্রেমীরা ঘুরতে পছন্দ করেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবানের এই পাড়া থেকে ওই পাড়ায়। বছরজুড়ে ছুটে যান পাহাড়ের আনাছে কানাছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সৌন্দর্যের খোঁজে। বান্দরবানে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য মনি মুক্তোর মধ্যে নতুন করে জনপ্রিয় হওয়া একটি ভ্রমণ গন্তব্য হলো এই দেবতাকুম।

বান্দরবান জেলা শহর থেকে ২০ কিঃমিঃ দূরের রোয়াংছড়ি উপজেলার শীলবাঁধা পাড়ায় দেবতাকুমের অবস্থান। খুমের গভীরতা এখানে ৫০ থেকে ৭০ ফিট। আর দৈর্ঘে ৬০০ ফিট। এটি বান্দরবানের আরেক জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান ভেলাখুম থেকে অনেক বড় এবং অনেক বেশি ওয়াইল্ড। পাহাড়ে ট্রেকিং বরাবরই রোমাঞ্চকর। এই রোমাঞ্চের হাতছানিতে আপনি যখন ট্রেকিং করে দেবতাকুম এসে পৌঁছাবেন, প্রকৃতির রূপ লাবণ্যে আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন। দুই পাশে উঁচু পাথুরে ঢাল, কলকল শব্দে বয়ে যাও পাহাড়ি ঝিরি, আর শুনশান খুমের পাড়ে নিজেকে আবিষ্কার করবেন ভিন্ন এক স্বর্গীয় পরিবেশে! যে পরিবেশে নিজেকে বিলীন করে দিতে ইচ্ছে করে প্রকৃতির মাঝে।

কিভাবে দেবতাখুম যাবেন
দেবতাকুম যেতে হলে প্রথমে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে আপনাকে বান্দরবান আসতে হবে। রাতের বাসে আসাই ভালো। ঢাকা থেকে এসি – নন এসি সব ধরণের বাসই বান্দরবান যায়। নন এসির মধ্যে শ্যামলী, সৌদিয়া, ইউনিক, ডলফিন, সেন্টমার্টিন, এস আলম ইত্যাদি পরিবহনের বাস পাবেন। বাস ছাড়ে কলাবাগান, ফকিরাপুল ও সায়েদাবাদ থেকে। রাত এগারোটার মধ্যে লাস্ট বাস ছেড়ে যায়। ভাড়া ৫৮০ থেকে ৬২০ টাকা। এসি বাসের ভাড়া ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে।

ট্রেনে যেতে চাইলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যেকোনো ট্রেনে উঠতে হবে। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, সূবর্ণ এক্সপ্রেস, তূর্ণা নিশীথা, চট্টলা, মহানগর ও গোধুলী সহ অনেকগুলো ট্রেইন ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ট্রেন ও আসন ভেদে ভাড়া ২০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে।

চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবানের বাস ছাড়ে নতুন ব্রিজ, দামপাড়া ও বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে। বহদ্দারহাট থেকে ৩০ মিনিট পরপর ‘পূর্বাণী’ ও ‘পূরবী’ নামে দুটি পরিবহনের বাস ছাড়ে। ভাড়া ২২০ টাকা।

বান্দরবান থেকে কচ্ছপতলী
বান্দরবান থেকে দেবতাখুম যেতে হলে প্রথমে যেতে হবে রোয়াংছড়ি উপজেলার কচ্ছপতলী আর্মি ক্যাম্পে। বান্দরবান শহর থেকে রোয়াংছড়ির দূরত্ব ২০ কিঃমিঃ। রোয়াংছড়ি থেকে কচ্ছপতলী ৫/৬ কিঃমিঃ। প্রথমে বাসে করে রোয়াংছড়ি, পরে ওখান থেকে সিএনজি নিয়ে কচ্ছপতলী যাওয়া যায়। বান্দরবান থেকে প্রতি ঘন্টায় রোয়াংছড়ির বাস ছাড়ে, ভাড়া ৬০ টাকা। আর রোয়াছড়ি থেকে কচ্ছপতলীর সিএনজি ভাড়া ১৫০ টাকার মতো। এছাড়া আপনি চাইলে বান্দরবান শহর থেকে সরাসরি জিপেও কচ্ছপতলী চলে যেতে পারেন। জিপ ভাড়া ১৮০০ টাকা। এক জিপে ১২/১৩ জন বসতে পারবেন।

কচ্ছপতলী থেকে দেবতাখুম
কচ্ছপতলীতে প্রথম কাজ হবে ওখানকার আর্মি ক্যাম্পে গিয়ে রিপোর্ট করা। সেখানে সবার জাতীয় পরিচয় পত্র বা অন্যকোনো ফটোআইডির ফটোকপি জমা দিয়ে পারমিশন নিতে হবে। ফটোকপি ঢাকা থেকেই করে নিবেন। যেহেতু ওখানে ফটোকপি করার কোনো দোকান পাওয়া যাবেনা। এরপর আর্মিকে বললে তারা গাইড ঠিক করে দিবে। আপনি চাইলে নিজেও গাইড ঠিক করতে পারবেন। গাইড ফি ৫০০ টাকা।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

দেবতাখুম যাওয়ার উপায়

Update Time : ০৩:৪১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সারাদেশ ডেস্ক : দেবতাকুম বা দেবতাখুম (Debotakhum) বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়িতে অবস্থিত একটি খুম। বান্দরবানকে বলা যায় খুমের স্বর্গরাজ্য। এডভেঞ্চারপ্রেমীরা ঘুরতে পছন্দ করেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবানের এই পাড়া থেকে ওই পাড়ায়। বছরজুড়ে ছুটে যান পাহাড়ের আনাছে কানাছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সৌন্দর্যের খোঁজে। বান্দরবানে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য মনি মুক্তোর মধ্যে নতুন করে জনপ্রিয় হওয়া একটি ভ্রমণ গন্তব্য হলো এই দেবতাকুম।

বান্দরবান জেলা শহর থেকে ২০ কিঃমিঃ দূরের রোয়াংছড়ি উপজেলার শীলবাঁধা পাড়ায় দেবতাকুমের অবস্থান। খুমের গভীরতা এখানে ৫০ থেকে ৭০ ফিট। আর দৈর্ঘে ৬০০ ফিট। এটি বান্দরবানের আরেক জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান ভেলাখুম থেকে অনেক বড় এবং অনেক বেশি ওয়াইল্ড। পাহাড়ে ট্রেকিং বরাবরই রোমাঞ্চকর। এই রোমাঞ্চের হাতছানিতে আপনি যখন ট্রেকিং করে দেবতাকুম এসে পৌঁছাবেন, প্রকৃতির রূপ লাবণ্যে আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন। দুই পাশে উঁচু পাথুরে ঢাল, কলকল শব্দে বয়ে যাও পাহাড়ি ঝিরি, আর শুনশান খুমের পাড়ে নিজেকে আবিষ্কার করবেন ভিন্ন এক স্বর্গীয় পরিবেশে! যে পরিবেশে নিজেকে বিলীন করে দিতে ইচ্ছে করে প্রকৃতির মাঝে।

কিভাবে দেবতাখুম যাবেন
দেবতাকুম যেতে হলে প্রথমে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে আপনাকে বান্দরবান আসতে হবে। রাতের বাসে আসাই ভালো। ঢাকা থেকে এসি – নন এসি সব ধরণের বাসই বান্দরবান যায়। নন এসির মধ্যে শ্যামলী, সৌদিয়া, ইউনিক, ডলফিন, সেন্টমার্টিন, এস আলম ইত্যাদি পরিবহনের বাস পাবেন। বাস ছাড়ে কলাবাগান, ফকিরাপুল ও সায়েদাবাদ থেকে। রাত এগারোটার মধ্যে লাস্ট বাস ছেড়ে যায়। ভাড়া ৫৮০ থেকে ৬২০ টাকা। এসি বাসের ভাড়া ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে।

ট্রেনে যেতে চাইলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যেকোনো ট্রেনে উঠতে হবে। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, সূবর্ণ এক্সপ্রেস, তূর্ণা নিশীথা, চট্টলা, মহানগর ও গোধুলী সহ অনেকগুলো ট্রেইন ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ট্রেন ও আসন ভেদে ভাড়া ২০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে।

চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবানের বাস ছাড়ে নতুন ব্রিজ, দামপাড়া ও বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে। বহদ্দারহাট থেকে ৩০ মিনিট পরপর ‘পূর্বাণী’ ও ‘পূরবী’ নামে দুটি পরিবহনের বাস ছাড়ে। ভাড়া ২২০ টাকা।

বান্দরবান থেকে কচ্ছপতলী
বান্দরবান থেকে দেবতাখুম যেতে হলে প্রথমে যেতে হবে রোয়াংছড়ি উপজেলার কচ্ছপতলী আর্মি ক্যাম্পে। বান্দরবান শহর থেকে রোয়াংছড়ির দূরত্ব ২০ কিঃমিঃ। রোয়াংছড়ি থেকে কচ্ছপতলী ৫/৬ কিঃমিঃ। প্রথমে বাসে করে রোয়াংছড়ি, পরে ওখান থেকে সিএনজি নিয়ে কচ্ছপতলী যাওয়া যায়। বান্দরবান থেকে প্রতি ঘন্টায় রোয়াংছড়ির বাস ছাড়ে, ভাড়া ৬০ টাকা। আর রোয়াছড়ি থেকে কচ্ছপতলীর সিএনজি ভাড়া ১৫০ টাকার মতো। এছাড়া আপনি চাইলে বান্দরবান শহর থেকে সরাসরি জিপেও কচ্ছপতলী চলে যেতে পারেন। জিপ ভাড়া ১৮০০ টাকা। এক জিপে ১২/১৩ জন বসতে পারবেন।

কচ্ছপতলী থেকে দেবতাখুম
কচ্ছপতলীতে প্রথম কাজ হবে ওখানকার আর্মি ক্যাম্পে গিয়ে রিপোর্ট করা। সেখানে সবার জাতীয় পরিচয় পত্র বা অন্যকোনো ফটোআইডির ফটোকপি জমা দিয়ে পারমিশন নিতে হবে। ফটোকপি ঢাকা থেকেই করে নিবেন। যেহেতু ওখানে ফটোকপি করার কোনো দোকান পাওয়া যাবেনা। এরপর আর্মিকে বললে তারা গাইড ঠিক করে দিবে। আপনি চাইলে নিজেও গাইড ঠিক করতে পারবেন। গাইড ফি ৫০০ টাকা।

এসএস//