Dhaka ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট

প্রস্তুত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার

  • Update Time : ১২:১০:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৭ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক : অমর একুশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস সুষ্ঠুভাবে পালনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সম্পূর্নরূপে প্রস্তুত।

এরইমধ্যে শহীদ মিনার ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে। রং করা হয়েছে মূল বেদিসহ সংলগ্ন এলাকায়। রাস্তার পাশের দেওয়ালে শোভা পাচ্ছে ভাষা আন্দোলন নিয়ে লেখা গান,কবিতা ও স্লোগান।

এদিকে করোনা মহামারির কারণে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিবসটি উদযাপনের জন্য বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় লোকসংখ্যা নির্দিষ্ট ও মাস্ক পরাসহ বেশ কয়েকটি শর্ত দেয়া হয়েছে। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন ও শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে ভাবগম্ভীর পরিবেশ বজায় রাখার জন্য ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান।

শুক্রবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার পরিদর্শনে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রাচার অনুযায়ী একুশের প্রথম প্রহরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বেদিমূল প্রস্তুত করা হয়েছে। এ সময় উপাচার্য বিগত বছরগুলোর মতো এবারও মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে পালনে সংশ্লিষ্ট সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রায় দেড়শ স্বেচ্ছাসেবী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আল্পনা আঁকার কাজ করছেন। এর আগে ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে বেদি ও এর আশপাশের স্থানসমূহ। নিরাপত্তা নিশ্চত করতে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মোতহার হোসেন ভবনের সামনে র‌্যাব, পুলিশ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। যেখান থেকে সিসিটিভির মাধ্যমে সমগ্র এলাকাকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

করোনা পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়াতে এ বছর সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৫ জন এবং ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২ জন একসঙ্গে শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সবাইকে অবশ্যই যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পলাশী মোড় থেকে শহিদ মিনার পর্যন্ত রাস্তায় ৩ ফুট পর পর চিহ্ন থাকবে। এই চিহ্ন অনুসরণ করে সবাই পর্যায়ক্রমে শহীদ মিনারে যাবেন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বিভিন্ন প্রবেশপথে স্বেচ্ছাসেবকরা হ্যান্ডমাইক দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে প্রচার চালাবেন।

সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে অমর একুশে উদ্যাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়কারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ বলেন, আমাদের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। টুকিটাকি কাজ বাকি আছে; যেগুলো আমাদের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে না। যেমন দূরত্ব বজায় রাখার জন্য যে দাগ দিতে হবে সেটা আমরা এখন দিতে পারব না, কারণ এর জন্য রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ করতে হবে। তাই এটা শনিবার বিকাল ৫টার দিকে করব। শহীদ বেদিতে প্রাথমিক রং করার কাজ শেষ হয়েছে। চূড়ান্ত রং শনিবার করতে হবে। কারণ কয়েকদিন আগে রং করলে এর ওপর ধুলা ময়লা পড়ে যায়। এছাড়াও ঘোষণা মঞ্চের শামিয়ানা টানানো হয়ে গেছে। এখন টেবিল-চেয়ার বসালেই হবে। অতিথিদের অপেক্ষা করার জন্য আমরা খেলার মাঠে বসার ব্যবস্থা করব। কারণ বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে এবার আমরা জিমনেশিয়ামে ভিড় করতে চাচ্ছি না।

করোনার কারণে প্রস্তুতিতে কোনো প্রভাব পড়ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কোনো সমস্যায় পড়ছি না। সব ধরনের প্রস্তুতি রাখছি। মহামান্য রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে তার প্রটোকল অফিসার ফুল দেবেন বলে চিঠি পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। আর স্পিকারের পক্ষ থেকে তার প্রোটকল অফিসার পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন।

নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে আমাদের প্রচুর জনসমাগম হয়েছে। করোনার কারণে এবার জনসমাগম বেশি হবে না বলে মনে হয়। তারপরও পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক (বিএনসিসি, রোভার স্কাউট) থাকবেন। আর রাষ্ট্রীয়ভাবে ল-ইনফোর্সমেন্ট এজেন্সি থাকবে। তারাও বিগত বছরগুলোর মতোই প্রস্তুতি নিয়েছে।

এসএস//

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

প্রস্তুত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার

Update Time : ১২:১০:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : অমর একুশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস সুষ্ঠুভাবে পালনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সম্পূর্নরূপে প্রস্তুত।

এরইমধ্যে শহীদ মিনার ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে। রং করা হয়েছে মূল বেদিসহ সংলগ্ন এলাকায়। রাস্তার পাশের দেওয়ালে শোভা পাচ্ছে ভাষা আন্দোলন নিয়ে লেখা গান,কবিতা ও স্লোগান।

এদিকে করোনা মহামারির কারণে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিবসটি উদযাপনের জন্য বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় লোকসংখ্যা নির্দিষ্ট ও মাস্ক পরাসহ বেশ কয়েকটি শর্ত দেয়া হয়েছে। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন ও শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে ভাবগম্ভীর পরিবেশ বজায় রাখার জন্য ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান।

শুক্রবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার পরিদর্শনে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রাচার অনুযায়ী একুশের প্রথম প্রহরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের বেদিমূল প্রস্তুত করা হয়েছে। এ সময় উপাচার্য বিগত বছরগুলোর মতো এবারও মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে পালনে সংশ্লিষ্ট সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রায় দেড়শ স্বেচ্ছাসেবী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আল্পনা আঁকার কাজ করছেন। এর আগে ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে বেদি ও এর আশপাশের স্থানসমূহ। নিরাপত্তা নিশ্চত করতে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মোতহার হোসেন ভবনের সামনে র‌্যাব, পুলিশ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। যেখান থেকে সিসিটিভির মাধ্যমে সমগ্র এলাকাকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

করোনা পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়াতে এ বছর সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৫ জন এবং ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২ জন একসঙ্গে শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সবাইকে অবশ্যই যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পলাশী মোড় থেকে শহিদ মিনার পর্যন্ত রাস্তায় ৩ ফুট পর পর চিহ্ন থাকবে। এই চিহ্ন অনুসরণ করে সবাই পর্যায়ক্রমে শহীদ মিনারে যাবেন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বিভিন্ন প্রবেশপথে স্বেচ্ছাসেবকরা হ্যান্ডমাইক দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে প্রচার চালাবেন।

সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে অমর একুশে উদ্যাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়কারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ বলেন, আমাদের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। টুকিটাকি কাজ বাকি আছে; যেগুলো আমাদের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে না। যেমন দূরত্ব বজায় রাখার জন্য যে দাগ দিতে হবে সেটা আমরা এখন দিতে পারব না, কারণ এর জন্য রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ করতে হবে। তাই এটা শনিবার বিকাল ৫টার দিকে করব। শহীদ বেদিতে প্রাথমিক রং করার কাজ শেষ হয়েছে। চূড়ান্ত রং শনিবার করতে হবে। কারণ কয়েকদিন আগে রং করলে এর ওপর ধুলা ময়লা পড়ে যায়। এছাড়াও ঘোষণা মঞ্চের শামিয়ানা টানানো হয়ে গেছে। এখন টেবিল-চেয়ার বসালেই হবে। অতিথিদের অপেক্ষা করার জন্য আমরা খেলার মাঠে বসার ব্যবস্থা করব। কারণ বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে এবার আমরা জিমনেশিয়ামে ভিড় করতে চাচ্ছি না।

করোনার কারণে প্রস্তুতিতে কোনো প্রভাব পড়ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কোনো সমস্যায় পড়ছি না। সব ধরনের প্রস্তুতি রাখছি। মহামান্য রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে তার প্রটোকল অফিসার ফুল দেবেন বলে চিঠি পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। আর স্পিকারের পক্ষ থেকে তার প্রোটকল অফিসার পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন।

নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে আমাদের প্রচুর জনসমাগম হয়েছে। করোনার কারণে এবার জনসমাগম বেশি হবে না বলে মনে হয়। তারপরও পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক (বিএনসিসি, রোভার স্কাউট) থাকবেন। আর রাষ্ট্রীয়ভাবে ল-ইনফোর্সমেন্ট এজেন্সি থাকবে। তারাও বিগত বছরগুলোর মতোই প্রস্তুতি নিয়েছে।

এসএস//