Dhaka ১১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

মিয়ানমারে সামরিক জান্তা বিরোধী বিক্ষোভে গুলিবিদ্ধ নারীর মৃত্যু

  • Update Time : ০৩:৩৩:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ১ Time View

সারাদেশ ডেস্ক : মিয়ানামের সামরিক অভ্যূত্থান হওয়ার পর এই প্রথম একজন বিক্ষোভকারী মারা গেছেন, যিনি এর আগে পুলিশের গুলিতে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন।

মিয়া থোয়ে থোয়ে খাইন নামের ২০-বছর বয়সী ওই নারী জলকামান, রাবার বুলেট এবং গুলি করে প্রতিবাদকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার সময় মঙ্গলবার আহত হন।

`আমার খুব কষ্ট হচ্ছে এবং বলার কিছু নেই,’বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলছিলেন নিহত তরুণীর ভাই। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হবার পর গত ৯ই ফেব্রুয়ারি থেকে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিলো তাকে। তিনি আহত হবার পর মেডিক্যাল সূত্রগুলোকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বার্মিজ বিভাগ জানিয়েছিলো যে ওই নারীর মাথার আঘাত অত্যন্ত গুরুতর।

অং সান সু চি’র নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশটিতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে।

এর আগে ১৯৮৮ এবং ২০০৭ সালে দেশটির কয়েক দশকব্যাপী সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। ১৯৮৮ সালের বিক্ষোভে কমপক্ষে ৩ হাজার বিক্ষোভকারী মারা যায়, আর ২০০৭ সালে মারা গিয়েছিলেন ৩০ জন। দুই ঘটনাতেই হাজার হাজার মানুষকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।

মানুষ কেন বিক্ষোভ করছে? এর কারণ: সাধারণ নির্বাচনের পর এনএলডি পার্টি বিপুল ব্যবধানে জয় পাওয়ার পর গত ১লা ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। সামরিক বাহিনী বিরোধী একটি দলকে সমর্থন দিচ্ছে, যারা নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছে।

পার্লামেন্টের নতুন অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে আগে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনাটি ঘটে।
সু চি গৃহবন্দী রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে ওয়াকি-টকি ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এনএলডির আরও অনেক নেতাও আটক রয়েছেন।

মিয়ানমার : কিছু মৌলিক তথ্য
• মিয়ানমার বার্মা নামেও পরিচিত, ১৯৬২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সামরিক জান্তা সরকারের শাসনের অধীনে থাকার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে ‘সমাজচ্যুত’ দেশ হিসেবে দেখা হতো

• ২০১০ সালের পর ধীরে ধীরে ক্ষমতা ছাড়তে শুরু করে সামরিক বাহিনী, যার জেরে ২০১৫ সালে অবাধ নির্বাচন হয় এবং বিরোধি নেত্রী অং সান সু চি’র নেতৃত্বে পরের বছর সরকার গঠিত হয়।

•রাখাইন রাজ্যে কথিত সন্ত্রাসীদের দমনে সামরিক অভিযানের কারণে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়, যাকে জাতিসঙ্ঘ ‘জাতিগত নিধনের উদাহরণ হিসেবে’ উল্লেখ করে।

• অং সান সু চি এবং তার সরকারকে ১লা ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনী উৎখাত করে। এর আগে নভেম্বরের নির্বাচনে জয় পেয়েছিল এনএলডি দল। সূত্র : বিবিসি

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

মিয়ানমারে সামরিক জান্তা বিরোধী বিক্ষোভে গুলিবিদ্ধ নারীর মৃত্যু

Update Time : ০৩:৩৩:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সারাদেশ ডেস্ক : মিয়ানামের সামরিক অভ্যূত্থান হওয়ার পর এই প্রথম একজন বিক্ষোভকারী মারা গেছেন, যিনি এর আগে পুলিশের গুলিতে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন।

মিয়া থোয়ে থোয়ে খাইন নামের ২০-বছর বয়সী ওই নারী জলকামান, রাবার বুলেট এবং গুলি করে প্রতিবাদকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার সময় মঙ্গলবার আহত হন।

`আমার খুব কষ্ট হচ্ছে এবং বলার কিছু নেই,’বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলছিলেন নিহত তরুণীর ভাই। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হবার পর গত ৯ই ফেব্রুয়ারি থেকে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিলো তাকে। তিনি আহত হবার পর মেডিক্যাল সূত্রগুলোকে উদ্ধৃত করে বিবিসি বার্মিজ বিভাগ জানিয়েছিলো যে ওই নারীর মাথার আঘাত অত্যন্ত গুরুতর।

অং সান সু চি’র নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশটিতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলছে।

এর আগে ১৯৮৮ এবং ২০০৭ সালে দেশটির কয়েক দশকব্যাপী সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। ১৯৮৮ সালের বিক্ষোভে কমপক্ষে ৩ হাজার বিক্ষোভকারী মারা যায়, আর ২০০৭ সালে মারা গিয়েছিলেন ৩০ জন। দুই ঘটনাতেই হাজার হাজার মানুষকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।

মানুষ কেন বিক্ষোভ করছে? এর কারণ: সাধারণ নির্বাচনের পর এনএলডি পার্টি বিপুল ব্যবধানে জয় পাওয়ার পর গত ১লা ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। সামরিক বাহিনী বিরোধী একটি দলকে সমর্থন দিচ্ছে, যারা নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছে।

পার্লামেন্টের নতুন অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে আগে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনাটি ঘটে।
সু চি গৃহবন্দী রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে ওয়াকি-টকি ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এনএলডির আরও অনেক নেতাও আটক রয়েছেন।

মিয়ানমার : কিছু মৌলিক তথ্য
• মিয়ানমার বার্মা নামেও পরিচিত, ১৯৬২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সামরিক জান্তা সরকারের শাসনের অধীনে থাকার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে ‘সমাজচ্যুত’ দেশ হিসেবে দেখা হতো

• ২০১০ সালের পর ধীরে ধীরে ক্ষমতা ছাড়তে শুরু করে সামরিক বাহিনী, যার জেরে ২০১৫ সালে অবাধ নির্বাচন হয় এবং বিরোধি নেত্রী অং সান সু চি’র নেতৃত্বে পরের বছর সরকার গঠিত হয়।

•রাখাইন রাজ্যে কথিত সন্ত্রাসীদের দমনে সামরিক অভিযানের কারণে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়, যাকে জাতিসঙ্ঘ ‘জাতিগত নিধনের উদাহরণ হিসেবে’ উল্লেখ করে।

• অং সান সু চি এবং তার সরকারকে ১লা ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনী উৎখাত করে। এর আগে নভেম্বরের নির্বাচনে জয় পেয়েছিল এনএলডি দল। সূত্র : বিবিসি

এসএস//