ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত হচ্ছে শবনমের জন্য
- Update Time : ০৫:১৪:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ০ Time View
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১৫০ বছর আগে নারী কয়েদির ফাঁসির জন্য বিশেষ ঘর তৈরি হয়েছিল ভারতের মথুরার জেলখানায়। কিন্তু, এরপর থেকে সেই ঘরের ব্যবহার কোনোদিনই করতে হয়নি। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে এসে প্রথমবার সেই ঘরের প্রয়োজন পড়েছে। আমরোহার বাসিন্দা শবনমের ফাঁসির জন্য প্রস্তুত মথুরার সেই ঘর।
স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনো নারী অপরাধীর ফাঁসির সাজা কার্যকর হতে চলেছে।
জানা গেছে, শবনমের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতি। ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, মৃত্যু পরোয়ানা জারির পর সম্ভবত তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।
বর্তমানে রামপুর জেলা সংশোধনাগারে আছেন শবনম। সংশোধনাগারের জেলার রাকেশ কুমার বর্মা জানিয়েছেন, ফাঁসির যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। নারীদের ফাঁসি দেওয়ার নিয়ম অনুসারে শবনমকে মথুরা জেলা সংশোধনাগারে স্থানান্তরিত করার জন্য আমরোহা জেলা প্রশাসনকে আর্জি জানানো হয়েছে। ভারতের মধ্যে একমাত্র মথুরা জেলেই মহিলাদের ফাঁসি দেওয়ার বন্দোবস্ত রয়েছে। আর সেই ফাঁসি দেবেন নির্ভয়াকাণ্ডের ফাঁসুরে পবন জল্লাদ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ইংরেজিতে ও ভূগোলে স্নাতকোত্তর করে গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াতেন শবনম। এর মধ্যে সেলিম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। যা নিয়ে আপত্তি ছিল শবনমের পরিবারের। পরে ঘটনাক্রমে ২০০৮ সালে ১৪ এপ্রিল প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে নিজের বাবা, মা, দুই ভাই, দুই বৌদি এবং ১০ মাসের ভাইপোকে খুন করেন।
প্রাথমিকভাবে শবনম দাবি করেছিল, অজ্ঞাত পরিচয়ে দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালিয়েছে। যদিও পরে স্বীকার করেন, পরিবারের সদস্যদের তিনি মাদকজাতীয় কোনো দ্রব্য মিশ্রিত দুধ খাওয়ান। তারপর খুন করেন। ২০১০ সালে আমরোহার নিম্ন আদালত শবনম এবং সেলিমকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছিল। পরে এলহাবাদ হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টেও আবেদন করেছিল তারা। কিন্তু গত বছরের জানুয়ারিতে তা খারিজ হয়ে যায়।
এসএস//