সুন্দরবনে যা যা দেখার আছে
- Update Time : ০৬:৫০:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ৪ Time View
সোহাগ শরীফ : প্রাকৃতিক রূপবৈচিত্রের মধ্যে অন্যতম সুন্দরবন। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল। যৌথভাবে বাংলাদেশ-ভারত ভূখন্ডে প্রায় ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এর আয়তন। বাংলাদেশের সুন্দরবনের আয়তন ৬,০১৭ বর্গকিলোমিটার। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালি ও বরগুনা জেলার অংশ নিয়েই ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধ সুন্দরবনকে জীব ও উদ্ভিদ জাদুঘর বললেও কম বলা হবে। সুন্দরবনের ১,৮৭৪ বর্গকিলোমিটার জুড়ে রয়েছে নদীনালা ও বিল মিলিয়ে জলাকীর্ণ অঞ্চল। রয়েল বেঙ্গল টাইগার সহ বিচিত্র নানান ধরণের পাখি, চিত্রা হরিণ, কুমির ও সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে সুন্দরবন পরিচিত। এখানে রয়েছে প্রায় ৩৫০ প্রজাতির উদ্ভিদ, ১২০ প্রজাতির মাছ, ২৭০ প্রাজাতির পাখি, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ সরীসৃপ এবং ৮টি উভচর প্রাণী। সুন্দরী বৃক্ষের নামানুসারে এই বনের নাম সুন্দরবন রাখা হয়। সুন্দরবনের ভেতরে যেতে হলে নৌপথই একমাত্র উপায়। শীতকাল সুন্দরবন ভ্রমণের সঠিক সময়।
যা দেখার আছে
সুন্দরবনের জামতলায় একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার রয়েছে, এই টাওয়ার থেকে বনের সৌন্দর্যের কিছুটা অংশে একসাথে দেখা যায়। আর ভাগ্য ভাল থাকলে এখান থেকে হরিণ কিংবা বাঘের দেখা পেয়ে যেতে পারেন। আরও রয়েছে মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতের কিছুটা অংশ এখনো অনাবিষ্কৃত বলে মনে করা হয়। এখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়।এছাড়াও দেখতে পাবেন, হীরন পয়েন্টের কাঠের তৈরি সুন্দর রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে হরিণ, বানর, গুইসাপ ও কুমিরের দেখা । এখানেও মাঝে মাঝে বেঙ্গল টাইগারের দেখা মিলে। সুন্দরবন এলাকার মধ্যে ছোট একটি চর হচ্ছে দুবলার চর। দুবলার চরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী গিয়ে মিশেছে বঙ্গোপসাগর মহোনায়।
সুন্দরবনের কটকা সী বিচের বেলাভূমি জুড়ে আঁকা থাকে লাল কাঁকড়াদের শৈল্পীক শিল্পকর্ম।
এসএস//