সারাদেশ ডেস্ক: মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত প্রতিবাদকারীদের প্রতি কঠোর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো হলে তার ‘গুরুতর পরিণতি’ সম্পর্কে দেশটির সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তার দ্বিতীয় শীর্ষ নেতাকে ফোন করে তিনি এ সতর্কতা জানান বলে জাতিসংঘের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন। সোমবার ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিনা শানার বার্জেনার সামরিক জান্তার উপপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেন বলে বার্তা সংস্থার রয়টার্স জানিয়েছে।
রোববার ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে মিয়ানমারের প্রধান শহরগুলোতে সাঁজোয়া যান ও সেনা মোতায়েন করা হয়। তা সত্ত্বেও অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে ও কারাবন্দি নেত্রী অং সান সু চিসহ অন্যান্যদের মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদকারীরা সোমবার ফের বিক্ষোভ দেখান। তবে আগের দিনগুলোতে হাজার হাজার প্রতিবাদকারী রাস্তায় নেমে এলেও এদিন তাদের সংখ্যা কম ছিল।
জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অধিকারকে যেন অবশ্যই পুরোপুরি সম্মান করা হয় এবং বিক্ষোভকারীদের প্রতিহিংসার শিকার যেন না করা হয় তা নিশ্চিত করতে চাপ দেন শানার বার্জেনার। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে তিনি জানান, বিশ্ব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং কঠোর কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখানো হলে পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।
বার্জেনার সেনাবাহিনীকে মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ইন্টারনেট বন্ধ রাখা নিয়েও সতর্ক করেছেন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মুখপাত্র।
মিয়ানমারে দীর্ঘ ৫০ বছর সেনা নিযন্ত্রিত শাসন ব্যবস্থা। দীর্ঘ সময় কারাবন্দি অং সান সু চির মুক্তির মধ্য দিয়ে সেনা নিয়ন্ত্রিত-গনতন্ত্র ফিরে আসে। সেনা ও রাজনীতিবিদ যৌথভাবে শাসন পরিচালনা করছিলো। দেশটিতে সম্প্রতি হওয়া নির্বাচনকে ঘিরে সেনাবাহিনীর সাথে আবারো সম্পর্ক বিনষ্ট হয় সুচিসহ রাজনীতিবিদদের। সেনাবাহিনী নির্বাচনে কারচুচি হয়েছে বলে দাবী করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সামরিক শাসন জারি হয়। ফলে গনতন্ত্রকামী মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।
এসএস//
Leave a Reply