Dhaka ১২:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

অভিজিৎ হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড

  • Update Time : ১২:৪০:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ০ Time View

কোর্ট প্রতিবেদক: বিজ্ঞান মনস্ক লেখক ব্লগার অভিজিৎ হত্যার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন দিয়ে রায় দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় দেন। ছয় বছর আগে বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যার মামলায় সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক ওরফে জিয়াসহ পাঁচ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড এবং উগ্রপন্থি ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বরখাস্ত হওয়া মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমুম, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম, আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান। তাদের মধ্যে মেজর জিয়া ও আকরাম পলাতক।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ওইদিনই আদালত রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

২০১৯ সালের ১৩ মার্চ আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপর একই বছর ১ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। ওই বছরের ২৮ অক্টোবর অভিজিতের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অজয় রায়ের সাক্ষ্যের মাধ্যমে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। অবশ্য একই বছর ৯ ডিসেম্বর অজয় রায় পরলোকগমন করেন।

গত ২০ জানুয়ারি মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ৩৪ সাক্ষীর মধ্যে মোট ২৮ জন সাক্ষ্য দেন।

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে অভিজিৎকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। আহতাবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এ ঘটনায় পরে অভিজিতের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ডিএ/এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

অভিজিৎ হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড

Update Time : ১২:৪০:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

কোর্ট প্রতিবেদক: বিজ্ঞান মনস্ক লেখক ব্লগার অভিজিৎ হত্যার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন দিয়ে রায় দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় দেন। ছয় বছর আগে বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যার মামলায় সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক ওরফে জিয়াসহ পাঁচ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড এবং উগ্রপন্থি ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বরখাস্ত হওয়া মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমুম, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম, আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনান। তাদের মধ্যে মেজর জিয়া ও আকরাম পলাতক।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ওইদিনই আদালত রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

২০১৯ সালের ১৩ মার্চ আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপর একই বছর ১ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। ওই বছরের ২৮ অক্টোবর অভিজিতের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অজয় রায়ের সাক্ষ্যের মাধ্যমে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। অবশ্য একই বছর ৯ ডিসেম্বর অজয় রায় পরলোকগমন করেন।

গত ২০ জানুয়ারি মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ৩৪ সাক্ষীর মধ্যে মোট ২৮ জন সাক্ষ্য দেন।

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে অভিজিৎকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। আহতাবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এ ঘটনায় পরে অভিজিতের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ডিএ/এসএস//