Dhaka ০১:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান

দেশে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধে আনা রিটের পরবর্তী শুনানি বুধবার

  • Update Time : ০৪:৫৩:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ১৪ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক : : বাংলাদেশে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধে আনা রিটের পরবর্তী শুনানি বুধবার ।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টি নিয়ে আজ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করবেন বলে আদালত সূত্র জানায়।
আজ শুনানিতে ছয় এমিকাস কিউরির মতামত নিয়েছেন আদালত। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ৬ বিশিষ্ট আইনজীবীকে এমিকাস কিউরি নিয়োগ দেন হাইকোর্ট।

বাংলাদেশে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধে আনা রিটের শুনানিতে আজ মতামত দিয়েছেন ছয় এমিকাস কিউরি সাবেক এটর্নি জেনারেল সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিষ্টার কামাল-উল আলম, সাবেক এটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল, আব্দুল মতিন খসরু, আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও ড. শাহদীন মালিক।

এমিকাস কিউরিগন এই রিট দায়েরের যৌক্তিকতা, রিটকারীর সংক্ষুব্ধতা, বিটিআরসি’র এখতিয়ার, এ সংক্রান্ত বিভিন্ন আইন, রেফারেন্স, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিষয়ে নিজ নিজ মত তুলে ধরেন। এমিকাস কিউরিগন তাদের লিখিত বক্তব্যও আদালতে পেশ করেছেন।

‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ শিরোনামে ডকুমেন্টারি প্রচারের প্রেক্ষাপটে কাতারভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ ও এ সংক্রান্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারনের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. এনামুল কবির ইমন।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি শুনানিকালে রিট আবেদনকারীকে প্রশ্ন করা হয়- আল-জাজিরায় সম্প্রচারিত তথ্যচিত্রে তিনি কীভাবে সংক্ষুব্ধ হয়েছেন, সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকলে রিট আবেদনের আগে সংশ্লিষ্টদের উকিল নোটিস বা ডিমান্ডিং জাস্টিস দেয়া হয়েছিল কিনা এবং এই রিটকে তিনি ‘জনস্বার্থে’ বলছেন কীভাবে। জবাবে রিটকারী আইনজীবী মো. এনামুল কবির ইমন বলেন, ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তা অক্ষুণ্ন রাখতে এই রিট করা হয়েছে।’

ওইদিন শুনানিতে যুক্ত হয়ে বিটিআরসি’র আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই রাকিব বলেন, আল-জাজিরার কোন বাংলা ভার্সন নেই। কিন্তু ওই কন্টেনটি বাংলায় করেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাতে এ সংক্রান্ত ডকুমেন্টারি আর প্রচার না করা হয় সেজন্য পদক্ষেপ নিতে আদালত আদেশ দিতে পারেন। যেমনটি নোয়াখালীর এক নারীর নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে পরার ঘটনায় দেয়া হয়েছিলো। আর দেশের মধ্যে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করা সম্ভব।
এ সময় ডেপুটি এটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী বলেন,
ডিমান্ডিং জাষ্টিস না দিলেও রিট করা যায়। আল-জাজিরার ওই রিলেটেড ইস্যুতে আরো পর্ব আসতে পারে। বিটিআরসির উচিত ছিলো পদক্ষেপ নেয়া। কিন্তু এক্ষেত্রে তারা নিষ্ক্রিয়তা (ফেলিউর) দেখিয়েছে।

রিটকারী আইনজীবী মো. এনামুল কবির ইমন বলেন, রিটে বাংলাদেশে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ নামে সম্প্রচারিত প্রতিবেদনটি ইউটিউব, ফেসবুক ও টুইটার থেকে অপসারণের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।

রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টদেরকে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।

আল-জাজিরায় ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রচার করা হয়। ইতোমধ্যে প্রতিবেদনটিকে মিথ্যা ও মানহানিকর আখ্যা দিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে সেনা সদরের তরফ থেকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিবৃতিতে ওই প্রতিবেদনকে বর্ণনা করা হয় ‘সাজানো এবং দুরভিসন্ধিমূলক’ হিসেবে।

ডিএ/এসএস//

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

দেশে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধে আনা রিটের পরবর্তী শুনানি বুধবার

Update Time : ০৪:৫৩:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক : : বাংলাদেশে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধে আনা রিটের পরবর্তী শুনানি বুধবার ।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টি নিয়ে আজ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করবেন বলে আদালত সূত্র জানায়।
আজ শুনানিতে ছয় এমিকাস কিউরির মতামত নিয়েছেন আদালত। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ৬ বিশিষ্ট আইনজীবীকে এমিকাস কিউরি নিয়োগ দেন হাইকোর্ট।

বাংলাদেশে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধে আনা রিটের শুনানিতে আজ মতামত দিয়েছেন ছয় এমিকাস কিউরি সাবেক এটর্নি জেনারেল সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিষ্টার কামাল-উল আলম, সাবেক এটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল, আব্দুল মতিন খসরু, আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও ড. শাহদীন মালিক।

এমিকাস কিউরিগন এই রিট দায়েরের যৌক্তিকতা, রিটকারীর সংক্ষুব্ধতা, বিটিআরসি’র এখতিয়ার, এ সংক্রান্ত বিভিন্ন আইন, রেফারেন্স, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিষয়ে নিজ নিজ মত তুলে ধরেন। এমিকাস কিউরিগন তাদের লিখিত বক্তব্যও আদালতে পেশ করেছেন।

‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ শিরোনামে ডকুমেন্টারি প্রচারের প্রেক্ষাপটে কাতারভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ ও এ সংক্রান্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারনের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. এনামুল কবির ইমন।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি শুনানিকালে রিট আবেদনকারীকে প্রশ্ন করা হয়- আল-জাজিরায় সম্প্রচারিত তথ্যচিত্রে তিনি কীভাবে সংক্ষুব্ধ হয়েছেন, সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকলে রিট আবেদনের আগে সংশ্লিষ্টদের উকিল নোটিস বা ডিমান্ডিং জাস্টিস দেয়া হয়েছিল কিনা এবং এই রিটকে তিনি ‘জনস্বার্থে’ বলছেন কীভাবে। জবাবে রিটকারী আইনজীবী মো. এনামুল কবির ইমন বলেন, ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তা অক্ষুণ্ন রাখতে এই রিট করা হয়েছে।’

ওইদিন শুনানিতে যুক্ত হয়ে বিটিআরসি’র আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই রাকিব বলেন, আল-জাজিরার কোন বাংলা ভার্সন নেই। কিন্তু ওই কন্টেনটি বাংলায় করেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাতে এ সংক্রান্ত ডকুমেন্টারি আর প্রচার না করা হয় সেজন্য পদক্ষেপ নিতে আদালত আদেশ দিতে পারেন। যেমনটি নোয়াখালীর এক নারীর নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে পরার ঘটনায় দেয়া হয়েছিলো। আর দেশের মধ্যে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করা সম্ভব।
এ সময় ডেপুটি এটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী বলেন,
ডিমান্ডিং জাষ্টিস না দিলেও রিট করা যায়। আল-জাজিরার ওই রিলেটেড ইস্যুতে আরো পর্ব আসতে পারে। বিটিআরসির উচিত ছিলো পদক্ষেপ নেয়া। কিন্তু এক্ষেত্রে তারা নিষ্ক্রিয়তা (ফেলিউর) দেখিয়েছে।

রিটকারী আইনজীবী মো. এনামুল কবির ইমন বলেন, রিটে বাংলাদেশে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ নামে সম্প্রচারিত প্রতিবেদনটি ইউটিউব, ফেসবুক ও টুইটার থেকে অপসারণের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।

রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টদেরকে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।

আল-জাজিরায় ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রচার করা হয়। ইতোমধ্যে প্রতিবেদনটিকে মিথ্যা ও মানহানিকর আখ্যা দিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে সেনা সদরের তরফ থেকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিবৃতিতে ওই প্রতিবেদনকে বর্ণনা করা হয় ‘সাজানো এবং দুরভিসন্ধিমূলক’ হিসেবে।

ডিএ/এসএস//