Dhaka ০১:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মামলা হলেই গ্রেফতার নয়, তদন্তে দায় পাওয়া গেলে ব্যবস্থা: আইজিপি `অন্তর্ভূক্তিমূলক রাষ্ট্রকাঠামোই জাতীয়তাবাদের উপহার’-অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

টি-২০ : পাকিস্তানের জয়

  • Update Time : ১১:২৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ২১ Time View

স্পোর্টস ডেস্ক : পাকিস্তানের শ্বাসরূদ্ধকর জয়।

টেস্ট সিরিজ জয়ের পর টি-টোয়েন্টিতেও প্রাধান্য বিস্তার করে পথচলা শুরু করলো পাকিস্তান।

লাহোরের গাদ্দাফী স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান জয় পেলেও সেটা ছিল বেশ কষ্টার্জিত এবং শ্বাসরূদ্ধকর জয়। ১৬৯ রান করার পর জবাব দিতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে পাকিস্তানি বোলাররা থামাতে পেরেছিল ১৬৬ রানে। বাবর আজমের দল জিতেছে মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে।

লাহোরে প্রথমে টস জিতেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হেনরিক ক্লাসেন। টস জিতে তিনি ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পাকিস্তানকে। আমন্ত্রিত হয়ে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। অনবদ্য সেঞ্চুরি করেছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ব্যাট হাতে ইনিংস ওপেন করতে নেমে ৬৪ বলে ১০৪ রান করেন এই পাকিস্তানি ওপেনার। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি বাউন্ডারি এবং ৭টি ছক্কার মারে।

ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাবর আজমের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে পাকিস্তান। কিন্তু মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং হায়দার আলি সেই বিপর্যয় সামাল দিয়ে ঘুরে দাঁড়ান। ১৬ বলে ২১ রান করে হায়দার আলি আউট হয়ে যান। হুসাইন তালাত ১১ বলে করেন ১৫ রান। ইফতিখার আহমেদ করেন ৪ রান।

খুশদিল শাহ করেন ১২ রান। ফাহিম আশরাফ আউট হয়ে যান ৪ রান করে। মোহাম্মদ নওয়াজ অপরাজিত থাকেন ৩ রান করে। অন্যরা আশা যাওয়ার মধ্যে থাকলেও একপাশ আগলে রেখে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান এবং দুর্দান্ত সেঞ্চুরিটি উপহার দেন। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে ২ উইকেট নেন আন্দিল পেহলুকাইয়ো। ১টি করে উইকেট নেন বিজর্ন ফরচুন, লুথো শিপমালা এবং তাবরিজ শামসি।

জবাব দিতে নেমে দুই প্রোটিয়া ওপেনারই ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানীদের মনে। দু’জনের ব্যাটে ৪১ বলে গড়ে ওঠে ৫৩ রানের জুটি। ২৯ বলে ৪৪ রান করে আউট হন জানিমান মালান। ৪২ বলে রানআউট হন রিজা হেন্ডরিক্স।

দুই ওপেনারের পর অবশ্য তেমন আর কোনো ব্যাটসম্যান দাঁড়াতে পারেননি। জ্যাক স্নিম্যান করেন ২ রান। ডেভিড মিলার করেন ৬ রান। হেনরিক্স ক্লাসেন করেন ১২ রান। আন্দিল পেহলুকাইয়ো করেন ১৪ রান। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস অপরাজিত থেকে যান ১৫ রানে এবং বিজর্ন ফরচুন অপরাজিত থেকে যান ১৭ রানে।

শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেমে যায় ১৬৬ রানে। পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ এবং উসমান কাদির নেন ২টি করে উইকেট। ১টি উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

টি-২০ : পাকিস্তানের জয়

Update Time : ১১:২৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

স্পোর্টস ডেস্ক : পাকিস্তানের শ্বাসরূদ্ধকর জয়।

টেস্ট সিরিজ জয়ের পর টি-টোয়েন্টিতেও প্রাধান্য বিস্তার করে পথচলা শুরু করলো পাকিস্তান।

লাহোরের গাদ্দাফী স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান জয় পেলেও সেটা ছিল বেশ কষ্টার্জিত এবং শ্বাসরূদ্ধকর জয়। ১৬৯ রান করার পর জবাব দিতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে পাকিস্তানি বোলাররা থামাতে পেরেছিল ১৬৬ রানে। বাবর আজমের দল জিতেছে মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে।

লাহোরে প্রথমে টস জিতেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হেনরিক ক্লাসেন। টস জিতে তিনি ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পাকিস্তানকে। আমন্ত্রিত হয়ে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। অনবদ্য সেঞ্চুরি করেছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ব্যাট হাতে ইনিংস ওপেন করতে নেমে ৬৪ বলে ১০৪ রান করেন এই পাকিস্তানি ওপেনার। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি বাউন্ডারি এবং ৭টি ছক্কার মারে।

ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাবর আজমের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে পাকিস্তান। কিন্তু মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং হায়দার আলি সেই বিপর্যয় সামাল দিয়ে ঘুরে দাঁড়ান। ১৬ বলে ২১ রান করে হায়দার আলি আউট হয়ে যান। হুসাইন তালাত ১১ বলে করেন ১৫ রান। ইফতিখার আহমেদ করেন ৪ রান।

খুশদিল শাহ করেন ১২ রান। ফাহিম আশরাফ আউট হয়ে যান ৪ রান করে। মোহাম্মদ নওয়াজ অপরাজিত থাকেন ৩ রান করে। অন্যরা আশা যাওয়ার মধ্যে থাকলেও একপাশ আগলে রেখে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান এবং দুর্দান্ত সেঞ্চুরিটি উপহার দেন। প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে ২ উইকেট নেন আন্দিল পেহলুকাইয়ো। ১টি করে উইকেট নেন বিজর্ন ফরচুন, লুথো শিপমালা এবং তাবরিজ শামসি।

জবাব দিতে নেমে দুই প্রোটিয়া ওপেনারই ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানীদের মনে। দু’জনের ব্যাটে ৪১ বলে গড়ে ওঠে ৫৩ রানের জুটি। ২৯ বলে ৪৪ রান করে আউট হন জানিমান মালান। ৪২ বলে রানআউট হন রিজা হেন্ডরিক্স।

দুই ওপেনারের পর অবশ্য তেমন আর কোনো ব্যাটসম্যান দাঁড়াতে পারেননি। জ্যাক স্নিম্যান করেন ২ রান। ডেভিড মিলার করেন ৬ রান। হেনরিক্স ক্লাসেন করেন ১২ রান। আন্দিল পেহলুকাইয়ো করেন ১৪ রান। ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস অপরাজিত থেকে যান ১৫ রানে এবং বিজর্ন ফরচুন অপরাজিত থেকে যান ১৭ রানে।

শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেমে যায় ১৬৬ রানে। পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ এবং উসমান কাদির নেন ২টি করে উইকেট। ১টি উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ।

এসএস//