জিয়ার খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ : সুপ্রিমকোর্ট বার সম্পাদক
- Update Time : ০৩:২৫:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ০ Time View
সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক: সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীরউত্তম’ খেতাব বাতিলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সিদ্ধান্ত আইন বর্হিভূত ও অবৈধ।
ব্যারিষ্টার কাজল বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান ঘোষক, মহান মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র ব্রিগেড জেড ফোর্সের অধিনায়ক, বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব ও অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রদত্ত ‘বীরউত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি।”
ব্যারিষ্টার কাজল বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন শহীদ জিয়াউর রহমান। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে যে কাজ করার কথা। সেটি না করে তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বশত কাজ করছেন বলেও অভিযোগ করেন সুপ্রিমকোর্ট বার সম্পাদক।
বৃহস্পতিবার ১১ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বারের সম্পাদক ছাড়াও সমিতির সহ-সভাপতি মো. আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ ব্যারিষ্টার রাগীব রউফ চৌধুরী,সদস্য ব্যারিঢ্টার মার-ই-আম খন্দকার,মোহাম্মদ মোহাদ্দেস-উল-ইসলাম (টুটুল),মোহাম্মদ মহসিন কবির,মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন (রতন) উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তৃতায় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে একজন মহান বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তটি খুবই উদ্বেগের এবং দুঃখজনক। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমানের যুদ্ধ পরিকল্পনা,যুদ্ধ কৌশল,যুদ্ধ পরিচালনা ও তার বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিপক্ষে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং নিজের জীবন বাজি রেখে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেয় প্রতিপন্ন করা মুক্তিযুদ্ধ,স্বাধীনতা ও দেশ প্রেমের চেতনা পরিপন্থী এবং জাতির জন্য কলঙ্কস্বরুপ।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইন বর্হিভূতভাবে এ অবৈধ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বলে মনে করেন সুপ্রিমকোর্ট বার সম্পাদক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত বাতিল করবেন বলেও প্রত্যাশা করেন ব্যারিস্টার কাজল।
ব্যারিষ্টার কাজল বলেন, “আমরা যখন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছি ঠিক সেই মুহূর্তে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়ার বীরত্ব ও অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রদত্ত ‘বীরউত্তম’ খেতাব বাতিলের মত হীন ও প্রতিশোধপরায়ণ সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাতিল করবেন, যার মাধ্যমে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিজেদের মধ্যে ধারণ করতে পারবো এবং বিশ্বদরবারে নিজেদেরকে একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে প্রমান করতে সক্ষম হবো।”
গত ৯ ফেব্রুয়ারি জামুকার ৭২তম সভায় জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। এ নিয়ে বিএনপি ব্যাপক প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করছে।
এসএস//