Dhaka ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

দেশে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধে রিটে এমিকাস কিউরির মত শুনবেন হাইকোর্ট

  • Update Time : ০৩:২৬:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ০ Time View

বিশেষ প্রতিনিধি: বাংলাদেশে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধে আনা রিটের শুনানিতে মতামত জানতে ছয় এমিকাস কিউরি নিয়োগ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বিষয়টি নিয়ে আজ শুনানিকালে এ আদেশ দেন।
এমিকাস কিউরিগনকে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে মতামত দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। আদেশের অনুলিপি আজ বুধবারের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের কাছে পৌঁছে দিতে সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

এমিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন সাবেক এটর্নি জেনারেল সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিষ্টার কামাল-উল আলম, আব্দুল মতিন খসরু, সাবেক এটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল, আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও ড. শাহদীন মালিক।

‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ শিরোনামে ডকুমেন্টারি প্রচারের প্রেক্ষাপটে কাতারভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ ও এ সংক্রান্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারনের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়েছে।সোমবার ৮ ফেব্রুয়ারি রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. এনামুল কবির ইমন।

শুনানিকালে রিট আবেদনকারীকে প্রশ্ন করা হয়- আল-জাজিরায় সম্প্রচারিত তথ্যচিত্রে তিনি কীভাবে সংক্ষুব্ধ হয়েছেন, সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকলে রিট আবেদনের আগে সংশ্লিষ্টদের উকিল নোটিস বা ডিমান্ডিং জাস্টিস দেয়া হয়েছিল কিনা এবং এই রিটকে তিনি ‘জনস্বার্থে’ বলছেন কীভাবে।

জবাবে রিটকারী আইনজীবী এম এনামুল কবির ইমন বলেন, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা অক্ষুণ্ন রাখতে এই রিট করা হয়েছে।

শুনানিকালে আদালত বলেন, সুনির্দিষ্ট আইন ও কর্তৃপক্ষ থাকার পরও গত দশদিনে কেনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ভিডিওটি অপসারণ করা গেলো না। এখন তো দেশ-বিদেশের কোটি কোটি লোক এটি প্রত্যক্ষ করেছে। বিটিআরসি যদি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে না পারে তাহলে তারা ওখানে বসে আছে কেন বলে মন্তব্য করেন আদালত।

শুনানিতে যুক্ত হয়ে বিটিআরসি’র আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই রাকিব বলেন, আল-জাজিরার কোন বাংলা ভার্সন নেই। কিন্তু ওই কন্টেনটি বাংলায় করেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাতে এ সংক্রান্ত ডকুমেন্টারি আর প্রচার না করা হয় সেজন্য পদক্ষেপ নিতে আদালত আদেশ দিতে পারেন। যেমনটি নোয়াখালীর এক নারীর নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে পরার ঘটনায় দেয়া হয়েছিলো। আর দেশের মধ্যে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করা সম্ভব।
এ সময় ডেপুটি এটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী বলেন,
ডিমান্ডিং জাষ্টিস না দিলেও রিট করা যায়। আল-জাজিরার ওই রিলেটেড ইস্যুতে আরো পর্ব আসতে পারে। বিটিআরসির উচিত ছিলো পদক্ষেপ নেয়া। কিন্তু এক্ষেত্রে তারা নিষ্ক্রিয়তা (ফেলিউর) দেখিয়েছে।

রিট দায়েরের পর রিটকারী আইনজীবী মো. এনামুল কবির বলেন, রিটে বাংলাদেশে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ নামে সম্প্রচারিত প্রতিবেদনটি ইউটিউব, ফেসবুক ও টুইটার থেকে অপসারণের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।

রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টদেরকে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির তারিখ রাখা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল।

আল-জাজিরায় ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রচার করা হয়। ইতোমধ্যে প্রতিবেদনটিকে মিথ্যা ও মানহানিকর আখ্যা দিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে সেনা সদরের তরফ থেকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিবৃতিতে ওই প্রতিবেদনকে বর্ণনা করা হয় ‘সাজানো এবং দুরভিসন্ধিমূলক’ হিসেবে।
ডিএ/এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

দেশে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধে রিটে এমিকাস কিউরির মত শুনবেন হাইকোর্ট

Update Time : ০৩:২৬:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি: বাংলাদেশে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধে আনা রিটের শুনানিতে মতামত জানতে ছয় এমিকাস কিউরি নিয়োগ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বিষয়টি নিয়ে আজ শুনানিকালে এ আদেশ দেন।
এমিকাস কিউরিগনকে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে মতামত দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। আদেশের অনুলিপি আজ বুধবারের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের কাছে পৌঁছে দিতে সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

এমিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন সাবেক এটর্নি জেনারেল সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিষ্টার কামাল-উল আলম, আব্দুল মতিন খসরু, সাবেক এটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল, আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও ড. শাহদীন মালিক।

‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ শিরোনামে ডকুমেন্টারি প্রচারের প্রেক্ষাপটে কাতারভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ ও এ সংক্রান্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অপসারনের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়েছে।সোমবার ৮ ফেব্রুয়ারি রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. এনামুল কবির ইমন।

শুনানিকালে রিট আবেদনকারীকে প্রশ্ন করা হয়- আল-জাজিরায় সম্প্রচারিত তথ্যচিত্রে তিনি কীভাবে সংক্ষুব্ধ হয়েছেন, সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকলে রিট আবেদনের আগে সংশ্লিষ্টদের উকিল নোটিস বা ডিমান্ডিং জাস্টিস দেয়া হয়েছিল কিনা এবং এই রিটকে তিনি ‘জনস্বার্থে’ বলছেন কীভাবে।

জবাবে রিটকারী আইনজীবী এম এনামুল কবির ইমন বলেন, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা অক্ষুণ্ন রাখতে এই রিট করা হয়েছে।

শুনানিকালে আদালত বলেন, সুনির্দিষ্ট আইন ও কর্তৃপক্ষ থাকার পরও গত দশদিনে কেনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ভিডিওটি অপসারণ করা গেলো না। এখন তো দেশ-বিদেশের কোটি কোটি লোক এটি প্রত্যক্ষ করেছে। বিটিআরসি যদি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে না পারে তাহলে তারা ওখানে বসে আছে কেন বলে মন্তব্য করেন আদালত।

শুনানিতে যুক্ত হয়ে বিটিআরসি’র আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই রাকিব বলেন, আল-জাজিরার কোন বাংলা ভার্সন নেই। কিন্তু ওই কন্টেনটি বাংলায় করেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যাতে এ সংক্রান্ত ডকুমেন্টারি আর প্রচার না করা হয় সেজন্য পদক্ষেপ নিতে আদালত আদেশ দিতে পারেন। যেমনটি নোয়াখালীর এক নারীর নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে পরার ঘটনায় দেয়া হয়েছিলো। আর দেশের মধ্যে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করা সম্ভব।
এ সময় ডেপুটি এটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী বলেন,
ডিমান্ডিং জাষ্টিস না দিলেও রিট করা যায়। আল-জাজিরার ওই রিলেটেড ইস্যুতে আরো পর্ব আসতে পারে। বিটিআরসির উচিত ছিলো পদক্ষেপ নেয়া। কিন্তু এক্ষেত্রে তারা নিষ্ক্রিয়তা (ফেলিউর) দেখিয়েছে।

রিট দায়েরের পর রিটকারী আইনজীবী মো. এনামুল কবির বলেন, রিটে বাংলাদেশে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ নামে সম্প্রচারিত প্রতিবেদনটি ইউটিউব, ফেসবুক ও টুইটার থেকে অপসারণের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।

রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্টদেরকে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির তারিখ রাখা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল।

আল-জাজিরায় ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রচার করা হয়। ইতোমধ্যে প্রতিবেদনটিকে মিথ্যা ও মানহানিকর আখ্যা দিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে সেনা সদরের তরফ থেকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিবৃতিতে ওই প্রতিবেদনকে বর্ণনা করা হয় ‘সাজানো এবং দুরভিসন্ধিমূলক’ হিসেবে।
ডিএ/এসএস//