1. newsroom@saradesh.net : News Room : News Room
  2. saradesh.net@gmail.com : saradesh :
টিকা নিলেও মাস্ক ব্যবহার এবং হাতধোয়া চালিয়ে যেতে হবে : প্রধানমন্ত্রী - সারাদেশ.নেট
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার হাইকোর্টে ২৩ অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ খালাস পেলেন যুবদল নেতা আইনজীবী নুরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ আপিল বিভাগে তালিকাভুক্ত হলেন এডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

টিকা নিলেও মাস্ক ব্যবহার এবং হাতধোয়া চালিয়ে যেতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

  • Update Time : সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

বিশেষ প্রতিবেদক: বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার এবং কিছুক্ষণ বাদে বাদে হাত ধোয়া অব্যাহত রাখার জন্য দেশবাসীর প্রতি তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভ্যাকসিন নিলেও সবাইকে এই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক পরা, হাত ধোয়া অব্যাহত রাখতে হবে, মানে টিকা যারা নিয়েছে তাদেরকেও। এটা মনে করলে হবে না যে, আমি টিকা নিয়েছি, তাই, একদম নিরাপদ। সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে।’
শেখ হাসিনা আজ সকালে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে সভাপতিত্বকালে সভার প্রারম্ভিক আলোচনায় একথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন।’

প্রধানমন্ত্রী টিকা কর্মসূচি সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য সাধারণের নাম নিবন্ধিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বয়সসীমা ৫৫ থেকে কমিয়ে ৪০ বছর করার কথা বলেছেন। নিবন্ধনকৃতরা যাতে টিকাদান কেন্দ্রে নিজেদের পরিবার পরিজন নিয়ে আসতে পারেন সে রকম একটি ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব পরে বৈঠকের বিষয়ে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘টিকা নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, গতকাল থেকে শুরু হওয়া টিকাদান কর্মসূচি আরেকটু রিল্যাক্স করতে হবে। তিনি বলেন, ৪০ বছর পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। গতকাল ৫৫ বছরের কম হলে কিন্তু টিকা দেয়া হচ্ছিল না। সেজন্য আজ বলে দেয়া হয়েছে ৪০ বছর পর্যন্ত হলে টিকা দেয়া যাবে। এটা আজ থেকেই কার্যকর হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তরুণ যারা আছেন ধীরে ধীরে তাদের ওপেন করে দিতে হবে। যারা ফ্রন্টলাইন ফাইটার প্রয়োজন হলে তাদের ফ্যামিলিকেও ধীরে ধীরে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা দিয়ে দিতে হবে।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কেউ যদি রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যর্থ হন, তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা দিতে পারবেন, সেই ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে, চেক করা হবে তিনি কেন রেজিস্ট্রেশন করেননি।’ প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে টিকা প্রদানকে আরো একটু সহজীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘এখন আমার মনে হয় একটু ওপেন করে দিয়ে তারাতারি দেয়া যেতে পারে। কারণ, একবার দিয়ে আবার নেক্সট ডোজের জন্য তৈরী হতে হবে।’
তিনি টিকা গ্রহণকারীদের পরিচয়পত্র প্রদানের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, একটা আইডি কার্ডের মত থাকতে হবে, কারা করোনাভ্যাকসিনটা নিল। এটা দেখিতে দ্বিতীয় ডোজটা নিতে হবে এবং সেই আইডেনটিটিটা তাদের কাছে থেকে যাবে, তাহলে কেউ বিদেশে গেলে তিনি যে করোনাভ্যাকসিন নিয়েছেন তার প্রমাণ থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকা নেওয়ার বিষয়ে গ্রামাঞ্চলে মানুষের মাঝে এখনও একটু দ্বিধা থাকলেও সেটা চলে যাবে ইনশাল্লাহ। তিনি বলেন, করোনা টিকার সেকেন্ড ডোজের জন্য ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। লন্ডনে সেভাবেই করা হচ্ছে এজন্য ১৫ দিনের মধ্যে সেকেন্ড ডোজের টিকা যে নিতে হবে তা নয়, অন্তত তিন মাস পর্যন্ত এ কার্যকাররিতা থাকে, সেকেন্ড ডোজ নেয়া যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাচ্ছি দ্রুতই সেকেন্ড ডোজটা দিয়ে দেওয়ার। আমি বলেছি একমাস বা দুইমাসের মধ্যে সেকেন্ড ডোজ দিয়ে এগুলো শেষ করার। কারণ, ভ্যাকসিনের যেন ডেট পেরিয়ে না যায় সেটাও দেখতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন বাহিনী এবং পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য টিকা দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের নিয়ে এসে তাদের দ্রুত (টিকা) দিয়ে দিতে হবে এবং এটা একটু বলে দিতে হবে (সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে)।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের যত পরিচ্ছন্নতা কর্মী রয়েছেন তাঁদের সবাইকে এই টিকা দিতে হবে। তিনি বলেন, যারা ফ্রন্ট লাইনার তাঁদের আগে দিতে হবে। এরমধ্যে চিকিৎসক বা চিকিৎসার সঙ্গে সম্পৃক্ত যারা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীগুলো এবং যারা এই কোভিড মোকাবেলায় সক্রিয় ছিল তাদেরকে আগে দিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা এবং ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগ এবং এর সহওযাগী সংগঠনের ভলান্টিয়াররা জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে যথেষ্ট সক্রিয় ছিল, যথেষ্ট কাজ করেছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী আক্রান্তও হয়েছে এবং মারা গেছে তারাই সব থেকে বেশি। কাজেই, তাঁরা রেজিস্ট্রেশন করলে টিকা নিতে পারবে।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *