Dhaka ১১:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মামলা হলেই গ্রেফতার নয়, তদন্তে দায় পাওয়া গেলে ব্যবস্থা: আইজিপি `অন্তর্ভূক্তিমূলক রাষ্ট্রকাঠামোই জাতীয়তাবাদের উপহার’-অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বাদল সরদার হত্যা : মৃত্যুদণ্ড-যাবজ্জীবন পাওয়া সব আসামি খালাস

  • Update Time : ০৬:১১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ১৫ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক : পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া গ্রামের বাদল সরদার হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় দেন।

উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স খারিজ এবং আসামিদের আপিল গ্রহণ করে রায় দেন আদালত।

আদালতে আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফজলুল হক খান ফরিদ, শেখ আলী আহমেদ খোকন, মো.আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।

আইনজীবী শেখ আলী আহমেদ খোকন সারাদেশ’কে বলেন, হত্যাকাণ্ডের সময় এই মামলার এক আসামি অন্য মামলায় জেলে ছিলেন। কিন্তু একজন সাক্ষী জেলে থাকা ওই আসামির বিরুদ্ধেও সাক্ষ্য দেন। এরকম কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় নিয়েই হাইকোর্ট আজ খালাসের রায় দিয়েছেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাতে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভিটাবাড়িয়া গ্রামের জালাল সরদারের ছেলে বাদল সরদারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা রুজু করেন।

২০০৩ সালে আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের এক আদেশে মামলাটি পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। বিচার শেষে ২০১৫ সালের ১ জুলাই ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালত ওই মামলায় রায় দেন। সেই রায়ে ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর ভিটাবাড়িয়া গ্রামের শহীদ শিকদার, দুলাল শিকদার, বাদল শিকদার ও নিজাম শিকদারকে মৃত্যুদণ্ড এবং ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সালাম সরদার, উত্তর ভিটাবাড়িয়া গ্রামের হারুন শিকদার ও মিনু সিকদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা আপিল করেন হাইকোর্টে।
ডিএ/এসএস//

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বাদল সরদার হত্যা : মৃত্যুদণ্ড-যাবজ্জীবন পাওয়া সব আসামি খালাস

Update Time : ০৬:১১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক : পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়িয়া গ্রামের বাদল সরদার হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় দেন।

উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স খারিজ এবং আসামিদের আপিল গ্রহণ করে রায় দেন আদালত।

আদালতে আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফজলুল হক খান ফরিদ, শেখ আলী আহমেদ খোকন, মো.আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।

আইনজীবী শেখ আলী আহমেদ খোকন সারাদেশ’কে বলেন, হত্যাকাণ্ডের সময় এই মামলার এক আসামি অন্য মামলায় জেলে ছিলেন। কিন্তু একজন সাক্ষী জেলে থাকা ওই আসামির বিরুদ্ধেও সাক্ষ্য দেন। এরকম কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় নিয়েই হাইকোর্ট আজ খালাসের রায় দিয়েছেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাতে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভিটাবাড়িয়া গ্রামের জালাল সরদারের ছেলে বাদল সরদারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা রুজু করেন।

২০০৩ সালে আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের এক আদেশে মামলাটি পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। বিচার শেষে ২০১৫ সালের ১ জুলাই ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালত ওই মামলায় রায় দেন। সেই রায়ে ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর ভিটাবাড়িয়া গ্রামের শহীদ শিকদার, দুলাল শিকদার, বাদল শিকদার ও নিজাম শিকদারকে মৃত্যুদণ্ড এবং ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সালাম সরদার, উত্তর ভিটাবাড়িয়া গ্রামের হারুন শিকদার ও মিনু সিকদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা আপিল করেন হাইকোর্টে।
ডিএ/এসএস//