অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সরকারি খরচায় ৪২২৯৯ টি আইনি সহায়তা
- Update Time : ০৬:১৯:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ০ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক : অক্টোবর থেকে ডিসেম্বের-২০২০ পর্যন্ত সরকারি খরচায় জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার অধীনে ৪২ হাজার ২’শ ৯৯ টি আইনি সহায়তা দেয়া হয়েছে।
জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর ২০২০ ইং সময়ে গরীব ও অসহায় ব্যক্তি যাদের আইনগত সহায়তা প্রদান সংখ্যা ৩০ হাজার ৩’শ ২২ টি। এ সময়ের মধ্যে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নির্ধারিত হটলাইন নাম্বার ১৬৪৩০ নম্বরে (টোল ফ্রি) আইনি সেবা দেয়ার সংখ্যা ৬ হাজার ৬’শ ১৪। মামলা দায়েরের পূর্বে লিগ্যাল এইডে মীমাংসার মাধ্যমে নিস্পত্তি সুবিধা প্রদান সংখ্যা ৪ হাজার ৬’শ ৫৬ এবং মামলা দায়েরের পর মীমাংসার মাধ্যমে নিস্পত্তি সংখ্যা ৭’শ ৭ টি।
অসহায়, দরিদ্র ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল ব্যক্তিদের সরকারি খরচায় জাতীয় আইনগত সংস্থার অধীনে সকল জেলা, শ্রম আদালত ও দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি এ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত সরকার দেশের স্বল্প আয়ের ও অসহায় নাগরিকদের আইনি সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন’-করেন। এ আইনের অধীনেই প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা। এ সংস্থার অধীনে এখন সুপ্রিমকোর্টসহ দেশের সব জেলায় লিগ্যাল এইড কমিটি কাজ করছেন। কারা এ আইনের অধীনে সেবা নিতে পারছেন তা আইনেই সুনির্দিষ্ট করা আছে।
মহামারি করোনার মধ্যেও দেশের জেলাসমূহ এবং সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে করোনার এই প্রাদুর্ভাবের কারণে আইন সহায়তা প্রত্যাশীরা অফিসের নির্ধারিত নাম্বারে (০১৭০০-৭৮৪২৭০) যোগাযোগ করলেই আইনি পরামর্শ পাচ্ছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসে আগত আইনগত সহায়তা প্রত্যাশীদের অফিসে মাস্ক পরিধান তথা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা আছে । তবে বিচারপ্রার্থীদের অফিসে প্রবেশের ক্ষেত্রে হাত ধোয়া ও জীবাণুমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় হ্যান্ড সেনিটাইজারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় অফিস থেকেই সরবরাহ করা হচ্ছে। সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গনে স্থাপিত এ অফিসের প্রবেশ মূখেই প্রয়োজনীয় হ্যান্ড সেনিটাইজারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় রাখা আছে।
ডিএ/এসএস//