সারাদেশ ডেস্ক : মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি যৌথ বিবৃতি আটকে দিয়েছে চীন।
সোমবার মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের একদিনের মাথায় মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মিলিত হয় নিরাপত্তা পরিষদ। চীন ভেটো দেওয়ায় যৌথ বিবৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ। খবর বিবিসির
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ায় এ ধরনের প্রস্তাব বা যৌথ বিবৃতি আটকে দিতে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে চীনের।
এদিকে সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক দূত ক্রিস্টিন স্ক্রানার। তিনি বলেন, এটা পরিষ্কার যে নির্বাচনে সু চির দলের বিজয়ের কারণেই সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে।
এদিকে মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থান এবং সু চির আটকের ঘটনাকে ‘মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল’ও অভ্যন্তরীণ ইস্যু বলে আখ্যায়িত করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যম সিনহুয়া।
মিয়ানমার বিষয়ে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞ এলিয়ট প্রস ফ্রিম্যান বলেছেন, চীনের এই পদক্ষেপ মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানকে যে তারা সমর্থন করছে তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
গত বছরের ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নিরঙ্কুশ জয় পায়। কিন্তু সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলে।
সোমবার ভোরে এনএলডি নেত্রী অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট ও দলটির অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের আটক করা হয়। এরপর সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয় দেশটির সেনাবাহিনী। সেইসঙ্গে দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
অভ্যুত্থানে বেআইনিভাবে আটক সবাইকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে সেনা সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছিল নিরাপত্তা পরিষদের খসড়া প্রস্তাবে। এটি প্রস্তুত করেছে যুক্তরাজ্য। এক বছরের জন্য জারি করা জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বানও ছিল এতে। তবে শেষ পর্যন্ত চীনের আপত্তির মুখে প্রস্তাবটি নাকচ হয়ে যায়।
এসএস//
Leave a Reply