Dhaka ০১:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল

ভাসানচরের উদ্দেশে আরো ১৪৬৭ রোহিঙ্গা

  • Update Time : ০৩:৩২:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১
  • / ২ Time View

জেলা প্রতিনিধি : নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজে করে তৃতীয় দফার দ্বিতীয় দিনে নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন আরো দেড় হাজার রোহিঙ্গা।

১ হাজার ৪৬৭ জনের এই দলটি আজ শনিবার ৩০ জানুয়ারি সকাল ৯টায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকা থেকে চারটি জাহাজে করে যাত্রা শুরু করে।

গণমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে নৌবাহিনীর রিয়ার এডমিরাল মোজাম্মেল হক।

নোয়াখালীর দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য শুক্রবার দুপুরে তাদের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে বাসে করে চট্টগ্রামে আনা হয়।

রিয়ার এডমিরাল মোজাম্মেল হক বলেন, আজ (শনিবার) সকাল ৯টায় তারা রওনা হয়েছেন। অন্য একটি জাহাজে করে তাদের মালপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসব জাহাজের সঙ্গে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের দুটি জাহাজ ও চারটি স্পিডবোট সঙ্গে আছে।

টেকনাফ ও উখিয়ায় থাকা রোহিঙ্গার মধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গাকে প্রথম দফায় ভাসানচরে নেয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় গত ২৮ ডিসেম্বর এক হাজার ৮০৫ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তারা সবাই স্বেচ্ছায় ভাষানচরে যান। এবার তৃতীয় দফায় তিন হাজার রোহিঙ্গা ভাষানচরে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে গতকাল এক হাজার ১৭৭৮ জনকে গতকাল ভাসানচরে নেয়া হয়। এই দফায় আরও ১৪৬৭ জনকে আজ ভাসানচরে নেয়া হচ্ছে।

কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ও তার বাইরে অবস্থান নিয়ে থাকা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে নানা সামাজিক সমস্যা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে দুই বছর আগে তাদের একটি অংশকে হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসান চরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।

সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোটামুটি ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ভাসানচরের উদ্দেশে আরো ১৪৬৭ রোহিঙ্গা

Update Time : ০৩:৩২:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১

জেলা প্রতিনিধি : নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজে করে তৃতীয় দফার দ্বিতীয় দিনে নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন আরো দেড় হাজার রোহিঙ্গা।

১ হাজার ৪৬৭ জনের এই দলটি আজ শনিবার ৩০ জানুয়ারি সকাল ৯টায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকা থেকে চারটি জাহাজে করে যাত্রা শুরু করে।

গণমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে নৌবাহিনীর রিয়ার এডমিরাল মোজাম্মেল হক।

নোয়াখালীর দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য শুক্রবার দুপুরে তাদের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে বাসে করে চট্টগ্রামে আনা হয়।

রিয়ার এডমিরাল মোজাম্মেল হক বলেন, আজ (শনিবার) সকাল ৯টায় তারা রওনা হয়েছেন। অন্য একটি জাহাজে করে তাদের মালপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসব জাহাজের সঙ্গে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের দুটি জাহাজ ও চারটি স্পিডবোট সঙ্গে আছে।

টেকনাফ ও উখিয়ায় থাকা রোহিঙ্গার মধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গাকে প্রথম দফায় ভাসানচরে নেয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় গত ২৮ ডিসেম্বর এক হাজার ৮০৫ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তারা সবাই স্বেচ্ছায় ভাষানচরে যান। এবার তৃতীয় দফায় তিন হাজার রোহিঙ্গা ভাষানচরে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে গতকাল এক হাজার ১৭৭৮ জনকে গতকাল ভাসানচরে নেয়া হয়। এই দফায় আরও ১৪৬৭ জনকে আজ ভাসানচরে নেয়া হচ্ছে।

কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ও তার বাইরে অবস্থান নিয়ে থাকা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে নানা সামাজিক সমস্যা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে দুই বছর আগে তাদের একটি অংশকে হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসান চরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।

সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোটামুটি ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এসএস//