Dhaka ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

প্রানহানি-সহিংসতায় শেষ হলো চসিক নির্বাচন

  • Update Time : ০৬:০৫:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১ Time View

সারাদেশ ডেস্ক : প্রানহানি, সংঘর্ষ, হামলা, গোলাগুলি আর কেন্দ্র দখলের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে টানা ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

বিকেল ৫টা থেকে ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর নগরীর কাজীর দেউড়ি আউটার স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম থেকে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

আজ দিনভর ভোট চলাকালে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। অনেক কেন্দ্রে দুপুর পর্যন্ত ভোটারদের কোনো সারি ছিল না। আবার কোনো কোনো কেন্দ্রের বাইরে উপস্থিতি থাকলেও ভেতরে ভোটারদের খুব একটা দেখা মিলেনি।

মহানগরীর একটি কেন্দ্রে তিন ঘণ্টায় ভোট পড়ে মাত্র ১৩টি। চকবাজার টিচার্স ট্রেনিং কলেজের এক কেন্দ্রে গিয়ে বেলা ১১টার দিকে এ তথ্য জানা যায়। মোট তিনটি কেন্দ্র ছিল এ কলেজে। তিনটি কেন্দ্রেও ভোটার উপস্থিতি বেশ কম দেখা গেছে।

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমার কেন্দ্রে নয়টি বুথ রয়েছে। তবে ভোটার উপস্থিতি খুবই কম। এই কেন্দ্রে মোট তিন হাজার ৪৭৯ জন ভোটার আছেন।’

বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করেছেন, ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে দেয়া হয়নি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে। এ জন্য ভোটার উপস্থিতি কম।

এদিকে, সকাল ১০টার দিকে নগরের খুলশী থানার আমবাগান এলাকায় নির্বাচনী সহিংসতার সময় গুলিতে এক যুবক নিহত হন।

এছাড়া লালখান বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত বেলাল ও বিদ্রোহী প্রার্থী এস কবির মানিকের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।

একই সময়ে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিন ও বিদ্রোহী প্রার্থী সাবের আহমেদের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। আহত হন কমপক্ষে সাতজন। সেখানে একজন মারা যান।

দুপুর ২টার দিকে নগরীর ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী আবছার মিয়া ও বিদ্রেহী জহিরুল আলম জসিমের সমর্থকদের বিশ্ব কলোনী কোয়াক স্কুল কেন্দ্র দখলে নিতে প্রকাশ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবরে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়।

সূত্র : ইউএনবি

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

প্রানহানি-সহিংসতায় শেষ হলো চসিক নির্বাচন

Update Time : ০৬:০৫:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১

সারাদেশ ডেস্ক : প্রানহানি, সংঘর্ষ, হামলা, গোলাগুলি আর কেন্দ্র দখলের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে টানা ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

বিকেল ৫টা থেকে ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর নগরীর কাজীর দেউড়ি আউটার স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম থেকে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

আজ দিনভর ভোট চলাকালে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। অনেক কেন্দ্রে দুপুর পর্যন্ত ভোটারদের কোনো সারি ছিল না। আবার কোনো কোনো কেন্দ্রের বাইরে উপস্থিতি থাকলেও ভেতরে ভোটারদের খুব একটা দেখা মিলেনি।

মহানগরীর একটি কেন্দ্রে তিন ঘণ্টায় ভোট পড়ে মাত্র ১৩টি। চকবাজার টিচার্স ট্রেনিং কলেজের এক কেন্দ্রে গিয়ে বেলা ১১টার দিকে এ তথ্য জানা যায়। মোট তিনটি কেন্দ্র ছিল এ কলেজে। তিনটি কেন্দ্রেও ভোটার উপস্থিতি বেশ কম দেখা গেছে।

কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমার কেন্দ্রে নয়টি বুথ রয়েছে। তবে ভোটার উপস্থিতি খুবই কম। এই কেন্দ্রে মোট তিন হাজার ৪৭৯ জন ভোটার আছেন।’

বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করেছেন, ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে দেয়া হয়নি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে। এ জন্য ভোটার উপস্থিতি কম।

এদিকে, সকাল ১০টার দিকে নগরের খুলশী থানার আমবাগান এলাকায় নির্বাচনী সহিংসতার সময় গুলিতে এক যুবক নিহত হন।

এছাড়া লালখান বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল হাসনাত বেলাল ও বিদ্রোহী প্রার্থী এস কবির মানিকের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।

একই সময়ে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিন ও বিদ্রোহী প্রার্থী সাবের আহমেদের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। আহত হন কমপক্ষে সাতজন। সেখানে একজন মারা যান।

দুপুর ২টার দিকে নগরীর ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী আবছার মিয়া ও বিদ্রেহী জহিরুল আলম জসিমের সমর্থকদের বিশ্ব কলোনী কোয়াক স্কুল কেন্দ্র দখলে নিতে প্রকাশ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবরে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়।

সূত্র : ইউএনবি