Dhaka ০৮:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

যৌন নির্যাতন ধর্ষণের শিকার নারী-শিশুর পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশ বন্ধ নিশ্চিতে রিট

  • Update Time : ০৭:৩১:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১
  • / ০ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক : যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার নারী-শিশুর ছবি ও পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশ না করতে আইনী বিধানের বাস্তবায়ন চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন ‘জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনে’র পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন আজ এই রিট করেন।

স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, তথ্য সচিব, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) এই রিটে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।

রিটের বিষয়ে আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন সারাদেশ’কে রিট দায়ের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার নারী-শিশুর ছবি ও পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশ না করার বিধান রয়েছে। তবে অনেকাংশে এই বিধানের বাস্তবায়ন লক্ষণীয় নয়।

তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বলে আছে, ধারা ‘১৪। (১) এই আইনে বর্ণিত অপরাধের শিকার হইয়াছেন এইরূপ নারী বা শিশুর ব্যাপারে সংঘটিত অপরাধ বা তত্সম্পর্কিত আইনগত কার্যধারার সংবাদ বা তথ্য বা নাম-ঠিকানা বা অন্যবিধ তথ্য কোন সংবাদ পত্রে বা অন্য কোন সংবাদ মাধ্যমে এমনভাবে প্রকাশ বা পরিবেশন করা যাইবে যাহাতে উক্ত নারী বা শিশুর পরিচয় প্রকাশ না পায় ।

‘(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করা হইলে উক্ত লংঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের প্রত্যেকে অনধিক দুই বৎসর কারাদণ্ডে বা অনূর্ধ্ব এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

এ আইনজীবী বলেন, আইনটির বাস্তবায়ন লক্ষণীয় না থাকার বাস্তবতায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনার আর্জি পেশ করে রিট পিটিশনটি করা হয়েছে।

আগামী রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় থাকবে।

তিনি সারাদেশ এর সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ধর্ষণের শিকার কোনো নারীর ছবি প্রকাশে আইনে বাধা থাকলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর ছবি প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে তাদের পরিবারের সদস্যরা সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছেন। বিশেষ করে সম্প্রতি ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের এক শিক্ষার্থীর ছবি দেশের অধিকাংশ গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। কুমিল্লার কলেজ ছাত্রী তনু হত্যাসহ এরূপ বহু দৃষ্টান্ত রযেছে। এসব ছবি প্রকাশের ঘটনা আমাদের ব্যথিত করে। তাই সংক্ষুব্ধ হয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আর্জি পেশ করে রিটটি দায়ের করেছি।

ডিএ/এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

যৌন নির্যাতন ধর্ষণের শিকার নারী-শিশুর পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশ বন্ধ নিশ্চিতে রিট

Update Time : ০৭:৩১:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক : যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার নারী-শিশুর ছবি ও পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশ না করতে আইনী বিধানের বাস্তবায়ন চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন ‘জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনে’র পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন আজ এই রিট করেন।

স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, তথ্য সচিব, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) এই রিটে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।

রিটের বিষয়ে আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন সারাদেশ’কে রিট দায়ের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার নারী-শিশুর ছবি ও পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশ না করার বিধান রয়েছে। তবে অনেকাংশে এই বিধানের বাস্তবায়ন লক্ষণীয় নয়।

তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বলে আছে, ধারা ‘১৪। (১) এই আইনে বর্ণিত অপরাধের শিকার হইয়াছেন এইরূপ নারী বা শিশুর ব্যাপারে সংঘটিত অপরাধ বা তত্সম্পর্কিত আইনগত কার্যধারার সংবাদ বা তথ্য বা নাম-ঠিকানা বা অন্যবিধ তথ্য কোন সংবাদ পত্রে বা অন্য কোন সংবাদ মাধ্যমে এমনভাবে প্রকাশ বা পরিবেশন করা যাইবে যাহাতে উক্ত নারী বা শিশুর পরিচয় প্রকাশ না পায় ।

‘(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করা হইলে উক্ত লংঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের প্রত্যেকে অনধিক দুই বৎসর কারাদণ্ডে বা অনূর্ধ্ব এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

এ আইনজীবী বলেন, আইনটির বাস্তবায়ন লক্ষণীয় না থাকার বাস্তবতায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনার আর্জি পেশ করে রিট পিটিশনটি করা হয়েছে।

আগামী রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় থাকবে।

তিনি সারাদেশ এর সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ধর্ষণের শিকার কোনো নারীর ছবি প্রকাশে আইনে বাধা থাকলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর ছবি প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে তাদের পরিবারের সদস্যরা সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছেন। বিশেষ করে সম্প্রতি ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের এক শিক্ষার্থীর ছবি দেশের অধিকাংশ গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। কুমিল্লার কলেজ ছাত্রী তনু হত্যাসহ এরূপ বহু দৃষ্টান্ত রযেছে। এসব ছবি প্রকাশের ঘটনা আমাদের ব্যথিত করে। তাই সংক্ষুব্ধ হয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আর্জি পেশ করে রিটটি দায়ের করেছি।

ডিএ/এসএস//