সারাদেশ ডেস্ক : চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেকের তৈরি করা ভ্যাকসিন দিয়ে দেশব্যাপী কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে ব্রাজিল।
সোমবার থেকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে এ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ব্রাজিলের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ আনভিসা রোববার সিনোভ্যাক ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুটো টিকার জরুরি ব্যবহারে অনুমতি দেয়। তবে ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের অনুমোদনের ঘাটতির কারণে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই লাখ ডোজ টিকা শিগগিরই ব্রাজিলে পৌঁছানোর পরিকল্পনা ঝুলে গেছে।
উপকরণের ঘাটতির কারণে ব্রাজিলের সাও পাওলো রাজ্যের বুটানটান ইন্সটিটিউট ও কেন্দ্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত ফায়োক্রুজ বায়োমেডিকেল সেন্টার করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনও বানাতে পারছে না। যে কারণে ব্রাজিলে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হলেও তার গতি শ্লথ হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বেশ কয়েকটি টিকার জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন ও প্রাপ্তি নিয়ে কয়েক সপ্তাহের টানাপোড়েন শেষে সোমবার থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ায় ব্রাজিলজুড়ে অসংখ্য মানুষের উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। সাও পাওলোর ক্লিনিকগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার বিকাল ৫টা থেকে সব রাজ্যে টিকাদান শুরুর ‘সবুজ সংকেত’ দিলেও অনেকগুলো রাজ্য আগেই এ কর্মসূচি শুরু করে।
রয়টার্স জানিয়েছে, অনুমোদন মিললেও সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্রাজিলের ২৬টি রাজ্যের বেশিরভাগের কাছেই টিকার চালান না পৌঁছানোয় বয়স্ক ও সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনাভাইরাসে প্রতিষেধক দিতে দেরি হচ্ছে।
অন্যদিকে রোববার আনভিসার অনুমোদন মেলার কয়েক মিনিট পরই সাও পাওলোতে ৫৪ বছর বয়সী নার্স মনিকা কালজানাসকে টিকা দেওয়া হয়। মনিকাই হলেন ব্রাজিলে গণ টিকাদান কর্মসূচিতে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক পাওয়া প্রথম নাগরিক।
আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরুর আগে সাও পাওলোতে টিকা দেওয়ার ঘটনায় রাজ্যটির গভর্নর জোয়াও দোরিয়ার উপর চটেছেন ব্রাজিলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এদুয়ার্দো পাজুয়েলো।
দোরিয়ার এমন কাণ্ডের সমালোচনা করেছেন প্রতিবেশী অনেক দেশের তুলনায় দেরিতে টিকা পাওয়া নিয়ে চাপের মুখে থাকা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোও।
এটা ব্রাজিলে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হয়েছে। এটা ব্রাজিলের ভ্যাকসিন। কোনো গভর্নরের নয়,” প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে উপস্থিত সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি এমনটাই বলেছেন তিনি।
এসএস//
Leave a Reply