Dhaka ১০:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

চুলের রুক্ষতা দূর করতে করণীয়

  • Update Time : ০২:৩০:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১ Time View

লাইফস্টাইল ডেস্ক : চুলের গোঁড়ায় যত্ন নেয়া হলেও বাকি অংশ থেকে যায় অযত্নেই। স্ক্যাল্প থেকে সম্পূর্ণ চুল তার জন্য পর্যাপ্ত ভিটামিন, প্রোটিন ও অন্যান্য উপকারী পদার্থ গ্রহণে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে ক্রমেই দুর্বল হয়ে রুক্ষ হয়ে পড়ে এবং চুল অকারণেই ভেঙে পড়তে শুরু করে। তাই স্ক্যাল্পসহ চুলের গোঁড়া পর্যন্ত নজর দিতে হবে।

ঘরে বসে অল্প কিছু কাজ অনুসরণ করলে চুলের রুক্ষতা দূর করা সম্ভব।

চুলে সপ্তাহে দুইদিন অন্তত গরম তেল ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজের জন্য নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল, সরিষার তেল, ক্যাস্টর অয়েল ছাড়াও আরও অন্যান্য তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে খুব ভালো ফল পেতে হলে কমপক্ষে ৩ ধরনের তেল একত্রে মিশিয়ে গরম করে সম্পূর্ণ চুলে ম্যাসাজ করতে হবে।

নিজের চুলের ধরন বুঝে তবেই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত রুক্ষ চুলের জন্য সালফেট ও পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।

চুলের ক্ষতি করে এমন পণ্য বর্জন করতে হবে। অতিরিক্ত পরিমাণে হেয়ার স্ট্রেইনারের ব্যবহার চুলের সব থেকে বেশি ক্ষতি করে থাকে। একান্তই প্রয়োজন না হলে চুলে হেয়ার স্ট্রেইনার ব্যবহার করা উচিৎ নয়, যদি করতেই হয় তাহলে অবশ্যই স্ট্রেইট করার আগে চুলে হেয়ার সিরাম ব্যবহার করে নিতে হবে। তবে চুল খুব বেশি রুক্ষ হলে এসব জিনিস থেকে কিছু দিনের জন্য দূরে থাকা উচিৎ।

কলাতে অনেক বেশি পটাশিয়াম রয়েছে যা চুলের রুক্ষতা দূর করতে সক্ষম। তাই সপ্তাহে একদিন একটা পাকা কলা পেস্ট করে সম্পূর্ণ চুলে কমপক্ষে এক ঘণ্টার জন্য রেখে দিতে হবে; তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। কলা চুলের আগা ফাটাও রোধ করে।

সপ্তাহে অন্তত একবার হেয়ার মাস্ক লাগাতে হবে। বাজার থেকে কেনা হেয়ার মাস্কগুলোর পরিবর্তে ভালো হয় যদি কেউ ঘরে বানানো হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করেন।

নিজের খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আনতে হবে। চুলের উপকারে আসে এমন সবজি, ফলমূল খাওয়া বাড়াতে হবে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

রাতে চুলের গোড়ায় অল্প পরিমাণ ভ্যাসলিন দিয়ে মাসাজ করে রেখে সকালে তা শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার ব্যবহার করলেও অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। তবে ভ্যাসলিন খুব বেশি আঁঠালো হওয়ায় অবশ্যই খুব ভালো করে শ্যাম্পু করতে হবে। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে ভ্যাসলিন দিলে কখনই চুলে গরম পানি দেওয়া যাবে না।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

চুলের রুক্ষতা দূর করতে করণীয়

Update Time : ০২:৩০:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১

লাইফস্টাইল ডেস্ক : চুলের গোঁড়ায় যত্ন নেয়া হলেও বাকি অংশ থেকে যায় অযত্নেই। স্ক্যাল্প থেকে সম্পূর্ণ চুল তার জন্য পর্যাপ্ত ভিটামিন, প্রোটিন ও অন্যান্য উপকারী পদার্থ গ্রহণে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে ক্রমেই দুর্বল হয়ে রুক্ষ হয়ে পড়ে এবং চুল অকারণেই ভেঙে পড়তে শুরু করে। তাই স্ক্যাল্পসহ চুলের গোঁড়া পর্যন্ত নজর দিতে হবে।

ঘরে বসে অল্প কিছু কাজ অনুসরণ করলে চুলের রুক্ষতা দূর করা সম্ভব।

চুলে সপ্তাহে দুইদিন অন্তত গরম তেল ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজের জন্য নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল, সরিষার তেল, ক্যাস্টর অয়েল ছাড়াও আরও অন্যান্য তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে খুব ভালো ফল পেতে হলে কমপক্ষে ৩ ধরনের তেল একত্রে মিশিয়ে গরম করে সম্পূর্ণ চুলে ম্যাসাজ করতে হবে।

নিজের চুলের ধরন বুঝে তবেই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত রুক্ষ চুলের জন্য সালফেট ও পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।

চুলের ক্ষতি করে এমন পণ্য বর্জন করতে হবে। অতিরিক্ত পরিমাণে হেয়ার স্ট্রেইনারের ব্যবহার চুলের সব থেকে বেশি ক্ষতি করে থাকে। একান্তই প্রয়োজন না হলে চুলে হেয়ার স্ট্রেইনার ব্যবহার করা উচিৎ নয়, যদি করতেই হয় তাহলে অবশ্যই স্ট্রেইট করার আগে চুলে হেয়ার সিরাম ব্যবহার করে নিতে হবে। তবে চুল খুব বেশি রুক্ষ হলে এসব জিনিস থেকে কিছু দিনের জন্য দূরে থাকা উচিৎ।

কলাতে অনেক বেশি পটাশিয়াম রয়েছে যা চুলের রুক্ষতা দূর করতে সক্ষম। তাই সপ্তাহে একদিন একটা পাকা কলা পেস্ট করে সম্পূর্ণ চুলে কমপক্ষে এক ঘণ্টার জন্য রেখে দিতে হবে; তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। কলা চুলের আগা ফাটাও রোধ করে।

সপ্তাহে অন্তত একবার হেয়ার মাস্ক লাগাতে হবে। বাজার থেকে কেনা হেয়ার মাস্কগুলোর পরিবর্তে ভালো হয় যদি কেউ ঘরে বানানো হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করেন।

নিজের খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আনতে হবে। চুলের উপকারে আসে এমন সবজি, ফলমূল খাওয়া বাড়াতে হবে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

রাতে চুলের গোড়ায় অল্প পরিমাণ ভ্যাসলিন দিয়ে মাসাজ করে রেখে সকালে তা শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার ব্যবহার করলেও অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। তবে ভ্যাসলিন খুব বেশি আঁঠালো হওয়ায় অবশ্যই খুব ভালো করে শ্যাম্পু করতে হবে। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে ভ্যাসলিন দিলে কখনই চুলে গরম পানি দেওয়া যাবে না।

এসএস//