সারাদেশ ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
আজ রবিবার ১৭ জানুয়ারি দেশটির দুর্যোগ মোকাবেলা সংস্থার(বিএনপিবি) বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ধসে পড়া ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের ভেতরে জীবিতদের খোঁজে নিবিড় তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
গত শুক্রবার ৬ দশমিক ২ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ৮২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। প্রায় ১৫ হাজার লোক ঘরবাড়ি ছেড়ে গেছেন নিরাপদ আশ্রয়ের আশায়।
এদের অনেকে গিয়ে পর্বতগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন আর বাকিরা উদ্ধাস্তু কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে উঠেছেন।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া ও ভূতাত্ত্বিক সংস্থার প্রধান দ্বিকোরিতা কার্নাওয়াতি শনিবার স্থানীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, ওই এলাকায় আরেকটি ভূমিকম্প হতে পারে, সেটি সুনামিরও কারণ ঘটাতে পারে। সে কারণে স্থানীয় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
প্রশান্ত মহাসাগরের কথিত ‘রিং অব ফায়ার’ (প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা) এর উপর ছড়িয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প হয়।
২০১৮ সালে সুলাওয়েসির পালু শহরে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের পরও সুনামি সৃষ্টি হয়েছিল। ওই ঘটনায় কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
নতুন বছরের মাত্র দুই সপ্তাহ পার হয়েছে, এরই মধ্যে বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ জনবহুল দেশটি ফের বেশ কয়েকটি দুর্যোগের মুখে পড়েছে।
উত্তর সুলাওয়েসি ও দক্ষিণ কালিমান্তান প্রদেশে চলতি মাসে বন্যায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, ওই সময়েই পশ্চিম জাভা প্রদেশে ভূমিধসে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয় বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো জানিয়েছে।
৯ জানুয়ারি ইন্দোনেশিয়ার শ্রীবিজয়া এয়ারের একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ৬২ জন আরোহী নিয়ে জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়।
শনিবার রাতে পূর্ব জাভার সেমেরু আগ্নেয়গিরি থেকে উদ্গিরণ শুরু হয়। তবে এতে কেউ হতাহত বা ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলে খবর হয়নি।
আবহাওয়া সংস্থার প্রধান দ্বিকোরিতা জানিয়েছেন, সামনের সপ্তাহগুলোতে বিরূপ আবহাওয়া ও সাগরকেন্দ্রিক ‘বিভিন্ন বিপদ’ দেখা দিতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এসএস//
Leave a Reply