লাইফস্টাইল ডেস্ক : সাধারণত টেনশন, পরীক্ষা বা চাকুরির অত্যন্ত চাপ, মানসিক চাপ, বাস বা গাড়ীতে অনেকক্ষণ যাত্রা করা, মহিলাদের বেশীক্ষণ গরমে রান্না ঘরে থাকা, মাসিকের সময় ইত্যাদি নানাবিধ কারণে মাইগ্রেন শুরু হতে পারে।
মাইগ্রেন একধরনের নিউরোলজিকাল সমস্যা৷ যার ফলে তীব্র মাথা ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব, আলো ও শব্দের সহ্য করতে না পারা, চোখে ব্যথা, এমন কি মুখের কিছু অংশ যেমন চোয়ালে ব্যথা হতে পারে৷ এই ব্যথা কয়েক ঘন্টা থেকে প্রায় তিন-চার দিন পর্যন্তও ভোগায়৷ এই অসহ্য যন্ত্রণার হাত থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাওয়া সম্ভব না হলেও ওষুধ ছাড়া কিছু উপায়ে এই ব্যথা কমানো যায়-
১. বরফ প্যাক
মাথা ব্যথা বেশি হলে একটি প্লাস্টিকে কিছু বরফের টুকরো নিয়ে মাথায় ব্যথা জায়গায় দিয়ে রাখতে পারেন৷ বরফ আপনার শিরার স্ফীতি কম করে৷ এতে মাথা ব্যথা কম হবে৷
২. ভিটামিন বি২
ভিটামিন বি২ এর পরিমাণ শরীরে বাড়লে মাইগ্রেনের ব্যথা কম হয়৷ ৪০০ এম জি ভিটামিন বি২-র ট্যাবলেট মাইগ্রেন কম করতে সাহায্য করে৷ এছাড়া মাছ, মাংস, ডিম, দুগ্ধজাত খাদ্য, চিজ, বাদাম, এসবে ভিটামিন বি২ এর পরিমাণ বেশি থাকে৷
৩. বিশ্রাম পদ্ধতি
মাথা ব্যথার প্রকোপ শুরু হলে আপনার মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিন৷ চিন্তা মুক্ত থাকুন৷ এর জন্য প্রয়োজনে মেডিকেশন, যোগ ব্যায়ামও করতে পারেন৷
৪. হার্বাল চা
হার্বাল চা মাথা ব্যাথার পক্ষে খুবই উপকারী৷ হার্বাল চায়ে আঁদা কুচি, লেবু দেওয়া থাকে৷ এর ফলে ব্যথার প্রকোপ কম থাকে৷ আবার মাইগ্রেনের ফলে যে বমি ভাব তৈরি হয় তা কম করতেও সাহায্য করে এই উপাদানগুলি৷ বিশেষ করে আদা চা খুব উপকারী।
৫. গোলমরিচ
ঘরোয়া উপায়ে মাইগ্রেন থেকে রক্ষা পেতে গোলমরিচের বিকল্প নেই। এটি রক্ত প্রবাহ বাড়ায় এবং অনুভূতিতে প্রভাব ফেলায় দ্রত ব্যথা কমে যায়। এক কাপ গরম পানিতে আধা চা চামুচ গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে। এছাড়া সঙ্গে মধু ও লেবু মিশিয়ে নিয়ে আরো দ্রুত কাজ করবে।
৬. অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে বাঁচতে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খুবই কার্যকর। ১ গ্লাস পানিতে ২ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার দিয়ে এতে ১ চা চামচ মধু এবং ১ চা চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই পানীয় মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হলে দিনে ২-৩ বার পান করুন। মাইগ্রেনের ব্যথা দূর হবে খুব দ্রুত।
৭. মেন্থল তেল
মেন্থলে প্রচুর ব্যথানাশক উপাদান রয়েছে যা মাইগ্রেনের অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়। কয়েক ফোঁটা মেন্থল তেল হাতের তালুতে নিয়ে মাথা ও ঘাড়ের পেছনে আলতো করে ঘষে নিন। ব্যথার তীব্রতা কমবে।
৮. আকুপাংচার
মাথার ব্যথা কমানোর জন্য যে ওষুধ ব্যবহার করা হয় তার থেকে অনেক বেশি প্রভাশালী ও উপকারী হল আকুপাংচার পদ্ধতি৷ এর প্রভাপ ওষুধের মতো দ্রুত কার্যকরী হয় না৷ কিন্তু বেশিক্ষণ প্রভাবশালী হয়৷
এসএস//
Leave a Reply