ঢাবি’র পিএইচডি থিসিস বিষয়ে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
- Update Time : ০৫:৪৮:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১
- / ১ Time View
সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আবেদনকারীদের জমা দেয়া পিএইচডি গবেষণাপত্র (থিসিস) কিভাবে সংরক্ষণ করা হয় এবং তা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোনো সফটওয়্যার বা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় কিনা, তা জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই আদেশ দেন। আগামী দুই মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তা জানাতে হবে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান লিঙ্কন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮% নকল’ শিরোনামে গত বছরের ২১ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন।
এই রিটের শুনানি নিয়ে গতবছর ৪ ফেব্রুয়ারি সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ও সমমানের ডিগ্রি কীভাবে অনুমোদন করা হয়, তা খতিয়ে দেখে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) নির্দেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে ‘ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮% নকল’-এ বিষয়ে তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশ অনুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আদালতে প্রতিবেদন দেন।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে যথারীতি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তদন্ত চলছে। এর মধ্যে আমরা সময় চেয়েছিলাম সময় বাড়িয়ে দিয়েছেন। দুই মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। এছাড়া ইউজিসিও প্রতিবেদন দিয়েছে। সে প্রতিবেদন দেখে আদালত আজ আরেকটি নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। পিএইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভ (থিসিস) কীভাবে সংরক্ষণ করা হয় এবং তা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কোনো সফটওয়্যার বা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় কিনা তা জানাতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মন্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ স্বীয় আইন, বিধি, প্রবিধি, সংবিধি ও নীতিমালা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এমফিল ও পিএইচডিসহ উচ্চতর ডিগ্রি দেয়। এ বিষয়ে কমিশনের কোনো ভূমিকা নেই।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যলয়ের ব্যপারে বলা হয়েছে, ‘বর্তমানে দেশে সরকার অনুমোদিত ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তন্মধ্যে ৯৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কমিশন থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রাম পরিচালনার অনুমোদন দেয়া হয়নি।
ডিএ/এসএস//