Dhaka ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

নতুন আশার আলো সাপে কাঁটা রোগীর চিকিৎসায়

  • Update Time : ০৫:২৮:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২১
  • / ০ Time View

সারাদেশ ডেস্ক : প্রতিষেধকের অভাবে সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যা উন্নয়নশীল দেশগুলোতেই বেশি।

ওরিয়েন্টেশন অন স্নেক বাইট ম্যানেজমেন্ট’ সম্মেলনে প্রকাশিত তথ্য মতে- বাংলাদেশে প্রতিবছর আনুমানিক ছয় লাখ মানুষ সাপের কামড়ের শিকার হন। আর মারা যান ছয় হাজার জন।

বাংলাদেশে সাধারণত পাঁচ ধরনের বিষাক্ত সাপের দেখা মেলে, এগুলো হলো—গোখরা, কেউটে, চন্দ্রবোড়া, সবুজ সাপ ও সামুদ্রিক সাপ।

চিকিৎসা ও প্রতিষেধকের অভাবে সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যা উন্নয়নশীল দেশগুলোতেই বেশি। তবে আশার আলো দেখাচ্ছে নতুন এক গবেষণা থেকে পাওয়া প্রতিষেধক। ব্রিটেনের লিভারপুল স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন সম্প্রতি এমন একটি গবেষণার কথা প্রকাশ করেছে।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে গত বিশ বছরে ১২ লাখ মানুষ সাপের কামড়ে মারা গেছে বলে নতুন এক গবেষণায় জানা গেছে।

ভারতীয় উপমহাদেশে সর্পদংশনে বেশির ভাগ মানুষ মারা যায় কোবরা (ভারতীয় গোখরা) , রাসেলস ভাইপার এবং ক্রেইৎস (কালাচ) প্রজাতির সাপের কামড়ে। বাদবাকি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে অন্যান্য অন্তত ১২টি বিভিন্ন প্রজাতির সাপের কামড়ে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় যেসব এলাকায় দ্রুত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায় না। ইলাইফের এই গবেষণায় আরও দেখা গেছে, ২০০১ সালে থেকে ২০১৪ পর্যন্ত, সাপের কামড়ে মারা যাবার ৭০% ঘটনা ঘটেছে ভারতের আটটি রাজ্যে- বিহার, ঝাড়খণ্ড, মধ্য প্রদেশ, ওড়িশা, উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ, রাজস্থান এবং গুজরাটে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, “সাপের কামড় সস্পর্কে মানুষের মধ্যে অবৈজ্ঞানিক ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান। এনিয়ে বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসার চর্চা এখনও ব্যাপকভাবে শুরু হয়নি”।

এঅবস্থায় পরিস্থিতি আরো বিগড়ে দিতে ভুল প্রতিষেধক প্রয়োগ কেবল অকেজই নয়, বরং আরো বিপজ্জনক হতে পারে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য। কারণ ভুল চিকিৎসা কখনও কখনও আরো ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

নতুন আশার আলো সাপে কাঁটা রোগীর চিকিৎসায়

Update Time : ০৫:২৮:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী ২০২১

সারাদেশ ডেস্ক : প্রতিষেধকের অভাবে সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যা উন্নয়নশীল দেশগুলোতেই বেশি।

ওরিয়েন্টেশন অন স্নেক বাইট ম্যানেজমেন্ট’ সম্মেলনে প্রকাশিত তথ্য মতে- বাংলাদেশে প্রতিবছর আনুমানিক ছয় লাখ মানুষ সাপের কামড়ের শিকার হন। আর মারা যান ছয় হাজার জন।

বাংলাদেশে সাধারণত পাঁচ ধরনের বিষাক্ত সাপের দেখা মেলে, এগুলো হলো—গোখরা, কেউটে, চন্দ্রবোড়া, সবুজ সাপ ও সামুদ্রিক সাপ।

চিকিৎসা ও প্রতিষেধকের অভাবে সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যা উন্নয়নশীল দেশগুলোতেই বেশি। তবে আশার আলো দেখাচ্ছে নতুন এক গবেষণা থেকে পাওয়া প্রতিষেধক। ব্রিটেনের লিভারপুল স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন সম্প্রতি এমন একটি গবেষণার কথা প্রকাশ করেছে।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে গত বিশ বছরে ১২ লাখ মানুষ সাপের কামড়ে মারা গেছে বলে নতুন এক গবেষণায় জানা গেছে।

ভারতীয় উপমহাদেশে সর্পদংশনে বেশির ভাগ মানুষ মারা যায় কোবরা (ভারতীয় গোখরা) , রাসেলস ভাইপার এবং ক্রেইৎস (কালাচ) প্রজাতির সাপের কামড়ে। বাদবাকি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে অন্যান্য অন্তত ১২টি বিভিন্ন প্রজাতির সাপের কামড়ে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় যেসব এলাকায় দ্রুত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায় না। ইলাইফের এই গবেষণায় আরও দেখা গেছে, ২০০১ সালে থেকে ২০১৪ পর্যন্ত, সাপের কামড়ে মারা যাবার ৭০% ঘটনা ঘটেছে ভারতের আটটি রাজ্যে- বিহার, ঝাড়খণ্ড, মধ্য প্রদেশ, ওড়িশা, উত্তর প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ, রাজস্থান এবং গুজরাটে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, “সাপের কামড় সস্পর্কে মানুষের মধ্যে অবৈজ্ঞানিক ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান। এনিয়ে বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসার চর্চা এখনও ব্যাপকভাবে শুরু হয়নি”।

এঅবস্থায় পরিস্থিতি আরো বিগড়ে দিতে ভুল প্রতিষেধক প্রয়োগ কেবল অকেজই নয়, বরং আরো বিপজ্জনক হতে পারে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য। কারণ ভুল চিকিৎসা কখনও কখনও আরো ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

এসএস//