সারাদেশ ডেস্ক : করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য মর্ডানা ইনকরপোরেশনের ভ্যাকসিনকে বুধবার সবুজ সংকেত দিয়েছে ৭টি দেশের জোট ইউরোপী ইউনিয়নের নির্বাহী কমিশন।
এর মধ্য দিয়ে করোনার কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মহাদেশ ইউরোপে দ্বিতীয় ভ্যাকসিন হিসাবে অনুমোদন পেল মর্ডানা।
মূলত ক্ষতিগ্রস্ত ইউরোপ জুড়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগের ধীর গতিকে সমালোচনার মুখে প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন মানুষের কাছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন পৌঁছানোর জন্য মর্ডানাকে শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা ইউরোপীয়দের জন্য আরও বেশি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করছি। মডার্নার ভ্যাকসিনের অনুমোদনের মধ্য দিয়ে এখন দুটি ভ্যাকসিন হলো। ফলে আমরা আরো ১৬০মিলিয়ন ডোজ পাচ্ছি এবং আরো ভ্যাকসিন আসবে।’
এর আগে ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি (ইএমএ) বুধবার প্রথম বৈঠকের পরে শর্তসাপেক্ষ মর্ডানার ভ্যাকসিন অনুমোদনের সুপারিশ করে।
মর্ডানার এই ভ্যাকসিনটি বর্তমান জরুরি অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের আরো একটি ‘অস্ত্র’ হিসাবে কাজ করবে,’ ইএমএ নির্বাহী পরিচালক।
এর আগে গত মাসে আমেরিকান ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার এবং জার্মানীর বায়োএনটেকের সমন্বয়ে তৈরি ভ্যকসিনটি একই প্রক্রিয়ায় অনুমোদন দিয়েছিল ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি। উভয় ভ্যকসিন একজনের শরীরে দুটি করে ডোজ দেওয়ার প্রয়োজন হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৮০ মিলিয়ন ডোজ মর্ডানার ভ্যকসিনের অর্ডার করেছে এবং পরবর্তীতে আরো ৮০ মিলিয়ন নেয়ার অপশন রেখছে। অপরদিকে, ফাইজার ও বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন ৩০০ মিলিয়ন ডোজ অর্ডার করেছে তারা।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার ৯৫৮ জনে।
এছাড়া, ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৮ লাখ ৮১ হাজার ৯২৬ জনে। পাশাপাশি কোভিড-১৯ থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ কোটি ৮৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৩৪ জন সুস্থ হয়েছেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় চীনের উহানে। সদ্য সমাপ্ত ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারী ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
সূত্র : ইউএনবি
Leave a Reply