বিএনপির ১৭৮ নেতাকর্মীর আগাম জামিন
- Update Time : ০৫:২৮:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ জানুয়ারী ২০২১
- / ১ Time View
মোশারফ হোসেন ভূইঁয়া: নাশকতার অভিযোগে আনা মামলায় বিএনপির ১৭৮ নেতাকর্মীর আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।
বাস পোড়ানোর অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় আনা পৃথক মামলায় বিএনপির ১৭৮ জন নেতাকর্মীর জামিন আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ সময়ের মধ্যে তাদেরকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে বলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানান।
পৃথক ৩৬টি জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এই আদেশ দেন।
তাদের জামিন হওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
আদালতে আজ জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মো. মাকসুদ উল্লাহ, কে আর খান পাঠান, রুকনুজ্জামান সূজা, গোলাম আকতার জাকির প্রমুখ।
জামিন প্রাপ্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শেখ রবিউল আলম রবি, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, কমিশনার সিরাজুল ইসলাম, হারুন-অর-রশিদ শিশির, আতিকুর রহমান আতিক প্রমুখ।
এর আগে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে ১৩টি মামলায় প্রায় ২শ বিএনপি নেতাকর্মীকে জামিন দেন হাইকোর্ট।
গত ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি রিয়াজ উদ্দিন খানের বেঞ্চ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরাজিত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন, ঢাকা-১৮ উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনসহ বিএনপি নেতাকর্মীকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আগাম জামিন দেয়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিলে আবেদন করে।
আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষে আনা আবেদনটি খারিজ করে দেন।
ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচন চলাকালে গত ১২ নভেম্বর দুপুরের পর থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মোট ১১টি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের দায়ী করে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১০টির বেশি মামলা হয়। এসব মামলার আসামি বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মী।
গত ১৬ নভেম্বর বিএনপির আইন সম্পাদক কায়সার কামাল জানান, ১৪টি মামলায় বিএনপির ১৪০ জন নেতাকর্মী হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় পৃথক জামিন আবেদনগুলো হাইকোর্টে শুনানির জন্য ওঠে। বিএনপির নেতাকর্মীরা আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চান। ওইদিন শতাধিক নেতাকর্মী আগাম জামিন পেয়েছিলেন।
এমএইচবি/এসএস//