সারাদেশ ডেস্ক : ব্লাডার ক্যানসারের সুনির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এখনও কিছু বলতে পারেনি, কিন্তু দেখা গেছে কিছু বদ অভ্যাস ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা ক্যানসার ডেকে আনতে সাহায্য করে। তামাক, তা সে যে কোনও ভাবেই শরীরে যাক না কেন, তাকে ক্যানসার উদ্দীপক বলে মনে করা হয়। তামাক সেবন সহ লাইফস্টাইলের আমূল পরিবর্তনের ফলে বাড়ছে ব্লাডার বা মূত্রথলির ক্যানসার। যদিও ক্যানসার বয়সের তোয়াক্কা করে না, তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ৫৫ উত্তীর্ণদের মধ্যে ব্লাডার ক্যানসার বেশি দেখা যায়, বললেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।
বয়স বাড়ার সঙ্গে মূত্রথলির ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। তবে রিস্ক ফ্যাক্টর থাকলে বয়স বাড়লে ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মূত্রথলির কর্কট রোগের অন্যতম রিস্ক ফ্যাক্টর ধূমপান। তামাকের নেশা মুত্রথলির ক্যানসারের ঝুঁকি অ-ধূমপায়ীদের থেকে ৪–৭ গুণ বেশি। এ ছাড়া যাঁদের ক্রনিক প্রস্রাবের সংক্রমণ হয়, তাঁদের এই ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক বেশি বলে জানালেন জয়ন্ত চক্রবর্তী।
আর্সেনিক যুক্ত জলপান করলেও মুত্রথলির ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে এই ক্যানসারের প্রবণতা প্রায় ৪ গুণ বেশি। অন্যান্য অসুখের মতো শুরুতে চিকিৎসা করালে ব্লাডার ক্যানসারের বাড়বৃদ্ধি আটকে দিয়ে রোগীকে প্রায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যায়। তবে তার জন্যে শুরুতেই সতর্ক হতে হয়। প্রাথমিক উপসর্গ দেখা গেলে দ্রুত সঠিক চিকিৎসার সাহায্য নিয়ে অসুখ নিয়ন্ত্রণ করা দরকার।
ক্যানসারের প্রাথমিক উপসর্গ সম্পর্কে সচেতন থাকলে রোগের শুরতেই ডাক্তার দেখিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করানো উচিত বলে জয়ন্তর পরামর্শ। অসুখের শুরুতে বার বার বাথরুমে দৌড়তে হয়। বিশেষ করে রাতে বহু বার প্রস্রাব পায়, কিন্তু প্রস্রাব হয় না, আটকে যায়। অনেকটা প্রস্টেটের অসুখের মতোই উপসর্গ। প্রৌঢ়রা অনেক সময় ব্লাডার ক্যানসারকে প্রস্টেটের সমস্যা ভেবে খুব একটা আমল দেন না। এর ফলে রোগ ক্রমশ বেড়ে যায়। প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত দেখা যেতে পারে বা কালচে প্রস্রাব হতে পারে ও জ্বালা করে। এক দিকের কোমরে ব্যথা হতে পারে। এই ধরনের উপসর্গ দেখা গেলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে বলে জানালেন বিশেষজ্ঞরা।
এসএস//
Leave a Reply