সারাদেশ ডেস্ক: চিংড়ি নিয়ে উদ্বেগজনক তথ্য জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে সব চিংড়ি নয়। জেলি, রাসায়নিক পুশ করা চিংড়ি। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, এসব চিংড়ি খেলে হতে পারে ক্যানসারের মতো প্রাণঘাতী রোগ। অসাধু ব্যবসায়িরা মুনাফার আসায় জেলি, রাসায়নিক পুশ করে ওজন বাড়িয়ে বিক্রি করেন। এটি ক্রেতারা টের পাননা । অজান্তেই স্বাস্থ্য ঝুকিঁতে পড়ছেন।
সম্প্রতি ফেনীর পৌর মৎস্য আড়তে দেড়শ কেজি সিলিকা জেলযুক্ত চিংড়ি মাছ জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানা গুনতে হয় চারটি কমিশন এজেন্টকে। তবে তাদের দাবি, এতে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
সরবরাহকারীদের একজন নিশ্চিত করেন, মূলত খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা থেকে ফেনীতে চিংড়ি আমদানি করেন আড়তদারা। দেখতে এসব চিংড়ি মনকাড়া হলেও প্রায় সব মাছেই থাকে ভেজাল। ভেজালবিরোধী এসব অভিযান মাঝে মধ্যেই পরিচালিত হয়। জরিমানা করা হয়, ভেজাল চিংড়ি বাজেয়াপ্তও হয়, কিন্তু বন্ধ হয় না।
মৎস্য কর্মকর্তা জানান, আগারের সঙ্গে নিম্নমানের কিছু রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে সিরিঞ্জ দিয়ে তরল দ্রব্য প্রবেশ করানো হয় চিংড়ির ভেতর। যা বরফে রাখার পর শক্ত হয়ে ওজন বাড়ায় এবং সুদৃশ্য হয়। এমন অসাধুতার ফলে চিংড়ি এখন রপ্তানিতেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজোয়ানুল হক বলেন, পরিমাণ মতো আগার দেহের জন্য ক্ষতিকারক নয়। তবে অন্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য এর সঙ্গে মিশে মানবদেহের ক্ষতি করতে পারে। হতে পারে ক্যানসারের মতো মরণব্যাধি। ফিশিংয়ের মালিকরা জানান, মাছের আকার ও ওজনের ওপর ভিত্তি করে চিংড়ির দাম নির্ধারিত হয়। রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহারের ফলে মাছের ওজন বাড়ে, সুদৃশ্য হয়।
এসএস//
Leave a Reply