Dhaka ০২:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

পৌষ পার্বণে রকমারি পিঠা

  • Update Time : ০৪:০৮:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১
  • / ২ Time View

সারাদেশ ডেস্ক : শীতকালে পৌষ পার্বণে রকমারি পিঠা শুধু বাড়িতে নয়, বাংলার হাটবাজারেও পিঠার পসরা বসে। শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রি করে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।

হেমন্ত ঋতুতে ধানকাটা শুরু হয়। নতুন সে ধানের চালে তৈরি হয় পিঠা। এ সময় গ্রামে সন্ধ্যা হলেই পাওয়া যেত চাল কোটার শব্দ। রাতভর চলত পিঠা তৈরি। পিঠা তৈরির অন্যতম প্রধান উপাদান চালের গুঁড়ো হলেও এর সঙ্গে লাগে গুড় ও ক্ষীরসহ নানা উপকরণ। হেমন্ত থেকে শীতকাল পর্যন্ত পিঠা মৌসুম।

বাংলাদেশে কত রকম পিঠা হয় তা বলে শেষ করা কঠিন। নামও বিচিত্র। জনপ্রিয় পিঠার বলতে চিতই, পাটিসাপটা, লরি, ভাপা, আন্দশা, কুশলী, পাতা, কাটা, ছিট, চুটকি, মুঠি, মেরা, হাঁড়ি, চাপড়ি, নকশি, পুলি, জামাই, ঝুরি ও বিবিয়ানা। পিঠার সঙ্গে মিষ্টি বা ঝাল মিশিয়ে তৈরি করা হয় নতুন পিঠা। যেমন চিতই পিঠার সঙ্গে দুধ-গুড় দিয়ে তৈরি করা হয় দুধচিতই। চিতই পিঠার সঙ্গে কাঁচামরিচ ও ধনিয়া পাতা দিয়ে ঝাল পিঠাও তৈরি করা যায়।

খেজুরের রস দিয়ে তৈরি করা হতো পাটালিগুড়, মিঠাইসহ নানা রকমের মজার মজার খাবার। প্রত্যেক বাড়িতে সকালবেলা খেজুরের রসে ভেজানো পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ত। বাড়ির সদস্য ছাড়াও জামাই-ঝি, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশী সবাই মিলে এক আসরে বসে চলত পিঠা খাওয়ার মহোৎসব। কালের বিবর্তনে এ ঐতিহ্য অনেকটাই হারিয়ে যেতে বসেছে।
এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পৌষ পার্বণে রকমারি পিঠা

Update Time : ০৪:০৮:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জানুয়ারী ২০২১

সারাদেশ ডেস্ক : শীতকালে পৌষ পার্বণে রকমারি পিঠা শুধু বাড়িতে নয়, বাংলার হাটবাজারেও পিঠার পসরা বসে। শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রি করে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।

হেমন্ত ঋতুতে ধানকাটা শুরু হয়। নতুন সে ধানের চালে তৈরি হয় পিঠা। এ সময় গ্রামে সন্ধ্যা হলেই পাওয়া যেত চাল কোটার শব্দ। রাতভর চলত পিঠা তৈরি। পিঠা তৈরির অন্যতম প্রধান উপাদান চালের গুঁড়ো হলেও এর সঙ্গে লাগে গুড় ও ক্ষীরসহ নানা উপকরণ। হেমন্ত থেকে শীতকাল পর্যন্ত পিঠা মৌসুম।

বাংলাদেশে কত রকম পিঠা হয় তা বলে শেষ করা কঠিন। নামও বিচিত্র। জনপ্রিয় পিঠার বলতে চিতই, পাটিসাপটা, লরি, ভাপা, আন্দশা, কুশলী, পাতা, কাটা, ছিট, চুটকি, মুঠি, মেরা, হাঁড়ি, চাপড়ি, নকশি, পুলি, জামাই, ঝুরি ও বিবিয়ানা। পিঠার সঙ্গে মিষ্টি বা ঝাল মিশিয়ে তৈরি করা হয় নতুন পিঠা। যেমন চিতই পিঠার সঙ্গে দুধ-গুড় দিয়ে তৈরি করা হয় দুধচিতই। চিতই পিঠার সঙ্গে কাঁচামরিচ ও ধনিয়া পাতা দিয়ে ঝাল পিঠাও তৈরি করা যায়।

খেজুরের রস দিয়ে তৈরি করা হতো পাটালিগুড়, মিঠাইসহ নানা রকমের মজার মজার খাবার। প্রত্যেক বাড়িতে সকালবেলা খেজুরের রসে ভেজানো পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ত। বাড়ির সদস্য ছাড়াও জামাই-ঝি, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশী সবাই মিলে এক আসরে বসে চলত পিঠা খাওয়ার মহোৎসব। কালের বিবর্তনে এ ঐতিহ্য অনেকটাই হারিয়ে যেতে বসেছে।
এসএস//