Dhaka ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির মাধ্যমে অসচ্ছলদের ৭৬৬ মামলা নিস্পত্তি

  • Update Time : ০৩:০৬:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১ Time View

বিশেষ প্রতিবেদক : অসহায়, দরিদ্র ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল ব্যক্তিদের সরকারি খরচায় ৭’শ ৬৬ টি মামলা নিস্পত্তি করেছেন জাতীয় আইনগত সংস্থার সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির যাত্রা শুরু হয়। সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত ১৩’শ ৪২ টি মামলা গ্রহণ করে আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়া শুরু করেন। ইতোমধ্যে এসব মামলার মধ্যে ৭’শ ৬৬ টি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসে গ্রহণ করা মামলার মধ্যে রয়েছে ফাষ্ট আপিল (এফএ) ২৪ টি, সিভিল রিভিশন ২০৮ টি, ক্রিমিনাল আপিল ৮৩ টি, ক্রিমিনাল রিভিশন ৭০ টি ,রিট পিটিশন ৭৩ টি, লিভ টু আপিল ও সিপি ফাইলিং ৬৫ টি এবং জেল আপিল ৮১৯ টি। এছাড়াও সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস ১৬ হাজার ৫’শ ৭৯ জনকে বিনামূল্যে আইনগত মতামত ও পরামর্শ সেবা দিয়েছেন।

বিগত অর্ধযুগ ধরে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টে অসহায় দরিদ্ররা বিনামূল্যে মামলা পরিচালনার সুযোগ পাচ্ছেন।এক সময় সাধারণ মানুষের মধ্যে ধারণা ছিল যে, উচ্চ আদালতে অনেক বেশি টাকা খরচা ছাড়া মামলা করার সুযোগ নেই। সে ধারণা পাল্টে দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি। ইতোমধ্যেই সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস বিনামূল্যে আইনি সেবা প্রদানে ৬ বছর অতিক্রমও করেছে।

২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস উদ্বোধন করেন দেশের প্রধান বিচারপতি। তার আগেই গঠন করা হয় সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত সরকার দেশের স্বল্প আয়ের ও অসহায় নাগরিকদের আইনি সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন’করেন। এ আইনের অধীনেই প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা। এ সংস্থার অধীনে এখন সুপ্রিমকোর্টসহ দেশের সব জেলায় লিগ্যাল এইড কমিটি কাজ করছেন। কারা এ আইনের অধীনে সেবা পান তা আইনেই সুনির্দিষ্ট করা আছে।

এদিকে মহামারি করোনার মধ্যেও সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে করোনার এই প্রাদুর্ভাবের কারণে আইন সহায়তা প্রত্যাশীরা অফিসের নির্ধারিত নাম্বারে (০১৭০০-৭৮৪২৭০) যোগাযোগ করলেই আইনি পরামর্শ পাচ্ছেন। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নির্ধারিত হটলাইন নাম্বার ১৬৪৩০ নম্বরেও (টোল ফ্রি) আইনি সেবা অব্যাহত রয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসে আগত আইনগত সহায়তা প্রত্যাশীদের অফিসে মাস্ক পরিধান তথা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা আছে । তবে বিচারপ্রার্থীদের অফিসে প্রবেশের ক্ষেত্রে হাত ধোয়া ও জীবাণুমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় হ্যান্ড সেনিটাইজারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় অফিস থেকেই সরবরাহ করা হচ্ছে। সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গনে স্থাপিত এ অফিসের প্রবেশ মূখেই প্রয়োজনীয় হ্যান্ড সেনিটাইজারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় রাখা আছে।

ডিএ/এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির মাধ্যমে অসচ্ছলদের ৭৬৬ মামলা নিস্পত্তি

Update Time : ০৩:০৬:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জানুয়ারী ২০২১

বিশেষ প্রতিবেদক : অসহায়, দরিদ্র ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল ব্যক্তিদের সরকারি খরচায় ৭’শ ৬৬ টি মামলা নিস্পত্তি করেছেন জাতীয় আইনগত সংস্থার সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির যাত্রা শুরু হয়। সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত ১৩’শ ৪২ টি মামলা গ্রহণ করে আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়া শুরু করেন। ইতোমধ্যে এসব মামলার মধ্যে ৭’শ ৬৬ টি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসে গ্রহণ করা মামলার মধ্যে রয়েছে ফাষ্ট আপিল (এফএ) ২৪ টি, সিভিল রিভিশন ২০৮ টি, ক্রিমিনাল আপিল ৮৩ টি, ক্রিমিনাল রিভিশন ৭০ টি ,রিট পিটিশন ৭৩ টি, লিভ টু আপিল ও সিপি ফাইলিং ৬৫ টি এবং জেল আপিল ৮১৯ টি। এছাড়াও সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস ১৬ হাজার ৫’শ ৭৯ জনকে বিনামূল্যে আইনগত মতামত ও পরামর্শ সেবা দিয়েছেন।

বিগত অর্ধযুগ ধরে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টে অসহায় দরিদ্ররা বিনামূল্যে মামলা পরিচালনার সুযোগ পাচ্ছেন।এক সময় সাধারণ মানুষের মধ্যে ধারণা ছিল যে, উচ্চ আদালতে অনেক বেশি টাকা খরচা ছাড়া মামলা করার সুযোগ নেই। সে ধারণা পাল্টে দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি। ইতোমধ্যেই সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস বিনামূল্যে আইনি সেবা প্রদানে ৬ বছর অতিক্রমও করেছে।

২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস উদ্বোধন করেন দেশের প্রধান বিচারপতি। তার আগেই গঠন করা হয় সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত সরকার দেশের স্বল্প আয়ের ও অসহায় নাগরিকদের আইনি সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন’করেন। এ আইনের অধীনেই প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা। এ সংস্থার অধীনে এখন সুপ্রিমকোর্টসহ দেশের সব জেলায় লিগ্যাল এইড কমিটি কাজ করছেন। কারা এ আইনের অধীনে সেবা পান তা আইনেই সুনির্দিষ্ট করা আছে।

এদিকে মহামারি করোনার মধ্যেও সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে করোনার এই প্রাদুর্ভাবের কারণে আইন সহায়তা প্রত্যাশীরা অফিসের নির্ধারিত নাম্বারে (০১৭০০-৭৮৪২৭০) যোগাযোগ করলেই আইনি পরামর্শ পাচ্ছেন। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নির্ধারিত হটলাইন নাম্বার ১৬৪৩০ নম্বরেও (টোল ফ্রি) আইনি সেবা অব্যাহত রয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসে আগত আইনগত সহায়তা প্রত্যাশীদের অফিসে মাস্ক পরিধান তথা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা আছে । তবে বিচারপ্রার্থীদের অফিসে প্রবেশের ক্ষেত্রে হাত ধোয়া ও জীবাণুমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় হ্যান্ড সেনিটাইজারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় অফিস থেকেই সরবরাহ করা হচ্ছে। সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গনে স্থাপিত এ অফিসের প্রবেশ মূখেই প্রয়োজনীয় হ্যান্ড সেনিটাইজারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় রাখা আছে।

ডিএ/এসএস//