নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০২০ সালের শেষ দিন আজ। এলো একটি সুসংবাদ। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা ‘কোভিশিল্ড’ ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
ফলে বাংলাদেশ সরকার আশা করছে, খুব দ্রুত অর্থাৎ জানুয়ারি মাসেই এই টিকা বাংলাদেশ পেয়ে যেতে পারে।
যুক্তরাজ্যে এর আগে ফাইজারের টিকা অনুমোদন পেয়ে তা মানুষের মধ্যে প্রয়োগও শুরু হয়ে গেছে। ফলে অক্সফোর্ডের টিকা নিয়ে দেশটিতে যতটা উচ্ছ্বাস, তার চেয়ে অনেক বেশি উচ্ছ্বাস-আগ্রহ বাংলাদেশের মানুষের ভেতর। কারণ বাংলাদেশ আগে থেকেই এই টিকার অংশ হয়ে আছে ক্রেতা হিসেবে। এই টিকার অন্যতম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে বাংলাদেশ সরকার এরই মধ্যে আগাম তিন কোটি ডোজ কিনে রেখেছে। এত দিন অপেক্ষা ছিল যুক্তরাজ্যে এই টিকার অনুমোদনের।
বুধবার ৩০ ডিসেম্বর সেই প্রত্যাশিত টিকার অনুমোদন যুক্তরাজ্যে মিলে যাওয়ায় দেশে টিকা আনার ক্ষেত্রে বড় বাধাটি দূর হয়েছে। তবে ছোট বাধা হিসেবে রয়েছে ভারতের সেরামকে দেশটির সরকারের মাধ্যমে অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি। আজ-কালের মধ্যেই ভারতেও অনুমোদন জুটে যেতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (টিকাদান) ডা. সামসুল হক বলেন, বাংলাদেশে সেরাম-বেক্সিমকোর মাধ্যমে টিকা আসবে মোট তিন কোটি, যা দেয়া যাবে দেড় কোটি মানুষকে। এ ক্ষেত্রে প্রথম লটে আসবে ৫০ লাখ টিকা, যা দেয়া যাবে ২৫ লাখ মানুষকে। পর্যায়ক্রমে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা আসবে। এরই মধ্যে কাদের অগ্রাধিকার দিয়ে টিকা প্রয়োগ করা হবে, সেই পরিকল্পনাও করা হয়েছে। সবার আগে টিকা পাবেন চিকিৎসক ও করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসাকর্মীরা। এর পরে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সম্মুখসারির যোদ্ধারা টিকা পাবেন। ওই কর্মকর্তা জানান, তালিকাভুক্ত প্রত্যেককে দুই ডোজ করে দেয়া হবে। প্রথম ডোজ দেয়ার ২৮ দিন পরে আরেক ডোজ দেয়া হবে। যুক্তরাজ্যে সোমবার থেকে অক্সফোর্ডের এই টিকা দেয়া শুরু হবে। দেশটির সরকার এরই মধ্যে ১০ কোটি ডোজ টিকা কিনে নিয়েছে পাঁচ কোটি মানুষের জন্য।
এসএস//
Leave a Reply