সারাদেশ ডেস্ক : বাংলাদেশ কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে সোমবার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দ্বিতীয় একটি দলকে হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে। কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তার তত্ত্বাবধানে ক্যাম্প থেকে ২৩ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়া হচ্ছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের ক্যাম্প ২৬ ও ২৭-এর ইনচার্জ খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘ক্যাম্প ২৬ থেকে আজ ২৩ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।’
তবে সর্বমোট কত জন ওই দ্বিতীয় দফায় যাচ্ছে তার হিসেব পাওয়া যায়নি।
আরে জানা গেছে, ১৩টি বাস উখিয়া ডিগ্রী কলেজের মাঠে রোববার থেকে রাখা ছিল। সোমবার সকালে বাসগুলো চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়।
রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, দ্বিতীয় দফায় এক হাজার শরণার্থীকে ভাসানচরে নেয়া হবে।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে প্রথমে চট্টগ্রামে নেয়া হবে সেখান থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে ভাসানচরে পাঠানো হবে। এর আগে ডিসেম্বরের ৪ তারিখে এক হাজার ৬৪৫ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার আপত্তির মধ্যেই তখন ওই রোহিঙ্গাদের প্রথমে বাসে করে চট্টগ্রামে নেয়া হয়, এরপর সেখান থেকে তাদের নৌবাহিনীর জাহাজে করে ভাসানচরে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নিপীড়নের মুখে দেশটি থেকে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
ওই বছরের নভেম্বর মাসে কক্সবাজার থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে সরিয়ে নেয়ার জন্য একটি প্রকল্প নেয় সরকার। আশ্রয়ণ-৩ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে। কিন্তু ২০১৮ সালে যখন প্রথম তাদের স্থানান্তরের পরিকল্পনা করা হয়, তখন থেকেই রোহিঙ্গারা সেখানে যাওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে আসছিল।
সূত্র: বিবিসি//
Leave a Reply