ভুমি অধিগ্রহন ব্যতীত টেকনাফ পৌর এলাকায় উচ্ছেদ কার্যক্রম: হাইকোর্টে নিষেধাজ্ঞা
- Update Time : ০৩:২৬:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০
- / ০ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিনা নোটিশে ভুমি অধিগ্রহন ব্যতীত টেকনাফ বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন প্রধান সড়কের ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন স্থাপনায় উচ্ছেদ কার্যক্রমমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে, সড়ক ও জনপদ এবং টেকনাফ পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে সেখানে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালাতে পারবে না।
একই সাথে রুল জারি করেছেন আদালত। রুলে টেকনাফ বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন প্রধান সড়কের ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন স্থাপনায় ভুমি অধিগ্রহন ব্যতীত এবং বিনা নোটিশে উচ্ছেদ কার্যক্রমমের প্রক্রিয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
সড়ক ও জনপদ মন্ত্রনালয়ের সচিব,কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ,টেকনাফ পৌরসভার মেয়র, টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যন্ডকে) এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী এসএম জুলফিকার আলী জুনু।
এ সংক্রান্ত পৃথক পৃথক ছয়টি আবেদন শুনানি নিয়ে বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মুজিবর রহমান মিয়া বিচারপতি মহিউদ্দীন শামীম এর সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তার সাথে ছিলেনএস এম জুলফিকার আলী জুনু। অন্যাদিকে, রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্নি জেনারেটর ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
আইনজীবী এসএম জুলফিকার আলী জুনু আরো জানান, টেকনাফ পৌরসভায় সড়ক বর্ধিত করার জন্য সড়ক ও জনপদ এবং টেকনাফ পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি টেকনাফ বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন প্রধান সড়কের ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন স্থাপনায় বিনা নোটিশে ভুমি অধিগ্রহন ব্যতীত উচ্ছেদ পরিচালনার জন্য প্রশাসন কর্তৃক লালা দাগ দেয়। এর পরে উচ্ছেদ পরিচালনার জন্য মাইকিং করা হলে তারা ৮ ডিসেম্বরের পরে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে সময় দিয়ে এবং নিয়মতান্ত্রিক উচ্ছেদের জন্যে আর্জি জানান। তাতে সাড়া না দেওয়াই হাইকোর্টে আসেন ভুমির মালিকরা।
বিনা নোটিশে এবং ক্ষতিপুরন না দিয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধে ওই সব স্থাপনার ৬জন মালিক যথাক্রমে হাজী হামিদ হোসেন, হাজী আব্দুল হাফেজ, মো.সিদ্দিক, বশির আহমেদ, হাজী আব্দুল কাদের ও মো: আলম বাদী হয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ভিন্ন ভিন্ন ৬টি রিট পিটিশন করেন। ওই রিটের শুনানীতে হাইকোর্টর ভুমি অধিগ্রহন না করায় ও নোটিশ না দিয়ে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া নিয়ে রুল জারি করেছেন এবং নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
এফএইচ/