Dhaka ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান

শিশু হৃদয় হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির খালাসের রায় আপিলে স্থগিত

  • Update Time : ০৩:৫৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১৪ Time View

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক : কক্সবাজারের শিশু হৃদয় হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট।

হাইকোর্টের দেয়া খালাসের রায় স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষে আনা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বার কোর্ট এই আদেশ দেয়।

আজকের এই আদেশের ফলে ওই তিন আসামি কনডেম সেল থেকে বের হতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।

ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ সারাদেশ’কে আদালতের আদেশের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, “তিন আসামির খালাসের রায় ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট। আমরা শুনানিতে বলেছি আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার ঘটনায় তাদের দায় স্বীকার করেছেন। অন্যান্য স্বাক্ষীও হত্যায় তাদের সম্পৃক্ততার কথা বলেছেন।”

ড. মো. বশির উল্লাহ এই তিন আসামি বিষয়ে আপিল বিভাগে ‘হাইকোর্ট রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে’ মৃত্যুদন্ড বহাল রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

গত ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট হৃদয় হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে খালাসের রায় দেন। খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন আবদুল খালেক, বাহাদুর মিয়া ও আবদুস শুক্কুর।

এই মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৪ জুলাই কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছটার বাসিন্দা নুরুল আলমের ছেলে হাজী হাসান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র হৃদয় মনিকে (৬) অপহরণ করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরের দিন সকাল ৭টার সময় হোটেল ওশান প্যারাডাইসের পেছনে সমুদ্রসৈকতে হৃদয়ের লাশ পাওয়া যায়।

একই বছরের ৬ জুলাই হৃদয়ের বাবা মো. নুরুল আলম এ ঘটনায় বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন। ২০১৪ সালের ২০ এপ্রিল পুলিশ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আবদুল খালেক, বাহাদুর মিয়া, আবদুস শুক্কুর ও জসিমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
এরপর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ২০১৫ সালের ৭ জুন কক্সবাজারের দায়রা জজ আসামি জসিমকে খালাস ও এই তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অপরদিকে আসামিরা জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন। সেসব আপিল শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তিন আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দেয়। যে রায় আজ স্থগিত করলো আপিল বিভাগ।

ডিএ/এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

শিশু হৃদয় হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির খালাসের রায় আপিলে স্থগিত

Update Time : ০৩:৫৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২০

সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক : কক্সবাজারের শিশু হৃদয় হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট।

হাইকোর্টের দেয়া খালাসের রায় স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষে আনা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বার কোর্ট এই আদেশ দেয়।

আজকের এই আদেশের ফলে ওই তিন আসামি কনডেম সেল থেকে বের হতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।

ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ সারাদেশ’কে আদালতের আদেশের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, “তিন আসামির খালাসের রায় ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট। আমরা শুনানিতে বলেছি আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার ঘটনায় তাদের দায় স্বীকার করেছেন। অন্যান্য স্বাক্ষীও হত্যায় তাদের সম্পৃক্ততার কথা বলেছেন।”

ড. মো. বশির উল্লাহ এই তিন আসামি বিষয়ে আপিল বিভাগে ‘হাইকোর্ট রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে’ মৃত্যুদন্ড বহাল রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

গত ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট হৃদয় হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে খালাসের রায় দেন। খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন আবদুল খালেক, বাহাদুর মিয়া ও আবদুস শুক্কুর।

এই মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৪ জুলাই কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছটার বাসিন্দা নুরুল আলমের ছেলে হাজী হাসান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র হৃদয় মনিকে (৬) অপহরণ করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরের দিন সকাল ৭টার সময় হোটেল ওশান প্যারাডাইসের পেছনে সমুদ্রসৈকতে হৃদয়ের লাশ পাওয়া যায়।

একই বছরের ৬ জুলাই হৃদয়ের বাবা মো. নুরুল আলম এ ঘটনায় বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন। ২০১৪ সালের ২০ এপ্রিল পুলিশ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আবদুল খালেক, বাহাদুর মিয়া, আবদুস শুক্কুর ও জসিমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
এরপর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ২০১৫ সালের ৭ জুন কক্সবাজারের দায়রা জজ আসামি জসিমকে খালাস ও এই তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অপরদিকে আসামিরা জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন। সেসব আপিল শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তিন আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দেয়। যে রায় আজ স্থগিত করলো আপিল বিভাগ।

ডিএ/এসএস//