ভূয়া ডাক্তারের সাজা যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদণ্ডের বিধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট
- Update Time : ০৪:১১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১ Time View
সুপ্রিমকোর্ট প্রতিবেদক : ভূয়া ডাক্তারের সাজা যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদন্ডসহ যথেষ্ট পরিমান ক্ষতির বিধান চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়।
সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোঃ জে আর খাঁন রবিন পিটিশনার হয়ে জনস্বার্থে আজ এ রিট পিটিশন দায়ের করেন।
রিটকারী আইনজীবী রবিন সারাদেশ’কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে “বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ধারা ২৮(৩) ও ২৯(২) সংশোধন করে ভূয়া ডাক্তারের সাজা ৩ বছর ও জরিমানা ১লক্ষ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদন্ডসহ জরিমানা বৃদ্ধিতে বিবাদীগনের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল জারির আর্জি পেশ করা হয়। একই সাথে কেন দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে বিবাদীগনকে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ধারা ২৮(৩) ও ২৯(২) সংশোধন করে ভূয়া ডাক্তারের সাজা ৩ বছর ও জরিমানা ১লক্ষ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদন্ডসহ জরিমানা বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ করা হবে না, সে মর্মেও নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটে সচিব, আইন ও সংসদীয় বিভাগ,আইন, বিচার ও সংসদীয় মন্ত্রণালয় , সচিব, স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, সভাপতি, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল, মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, রেজিষ্ট্রার, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।
এডভোকেট জে আর খাঁন রবিন বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫(ক) ও ১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্বাস্থ্য সেবা ও জনস্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ থাকলেও অনুচ্ছেদ ৩১ ও ৩২ অনুযায়ী মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য সেবা একটি মৌলিক অধিকার। মানুষের এই স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডাক্তারদের ভূমিকা অপরিসীম।
তিনি বলেন, বর্তমানে অনেক ভুয়া ডাক্তার নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করছে। শুধু তাই নয় দেশের সাধারণ মানুষ এই সকল ভূয়া ডাক্তারদের স্মরনাপন্ন হয়ে প্রতিনিয়ত নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এমনকি শারীরিক ভাবে স্থায়ী অক্ষমতাসহ অনেকেই মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে।
এই আইনজীবী আরোও বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইনের ধারা ২৮(৩) অনুযায়ী যদি কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে নিজেকে নিবন্ধনকৃত একজন মেডিক্যাল চিকিৎসক বা ডেন্টাল চিকিৎসক বলে প্রতারণা করেন অথবা প্রতারণামূলক ভাবে তার নাম বা পদবীর সঙ্গে নিবন্ধনকৃত মর্মে কোনো শব্দ,বর্ন বা অভিব্যক্তি ব্যবহার করেন তার মিথ্যা পরিচয় দ্বারা কোনো ব্যক্তি প্রতারিত না হলেও তার জন্য তিনি ৩ বছর কারাদণ্ড অথবা ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডের অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। অন্যদিকে উক্ত আইনের ধারা ২৯ অনুযায়ী কেউ অনুমোদিত মেডিক্যাল কলেজ অথবা প্রতিষ্ঠান হতে এম.বি.বি.এস অথবা বি. ডি.এস ডিগ্রি অর্জন না করে তার নামের পূর্বে ডাক্তার উপাধি ব্যবহার করলেও অনুরূপ সাজার বিধান রয়েছে।
এডভোকেট রবিন আরও বলেন, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(সি) ধারা অনুযায়ী খাদ্য ও ঔষধ তৈরী বা বিক্রির জন্য মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীন কারাদণ্ড অথবা ১৪ বছরের সস্রম কারাদণ্ড সহ জরিমানার বিধান রয়েছে।
রবিন বলেন, গত ২৯ অক্টোবর বিবাদিগণের বরাবরে একটি নোটিশ প্রেরণ করে উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু যথাযথ কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় রিটটি দায়ের করা হয়েছে।
এমএইচবি//