দুর্নীতির প্রাক্টিস বন্ধ করতে হবে : আইনমন্ত্রী
- Update Time : ০৪:৩৭:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২০
- / ০ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেছেন, আদালত অঙ্গনে দুর্নীতির সকল ট্রাডিশনাল প্রাক্টিস পরিহার করতে হবে।
রোববার ২০ ডিসেম্বর সরকারি কৌশলী জিপি ও পাবলিক প্রসিকিউটর পিপিদের নিয়ে ২২ তম এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ই্নস্টিটিউট ভার্চুয়ালি এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মুসা খালেদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার প্রমুখ।
দুর্নীতির ব্যাপারে সরকার জিরো টলারেন্সে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, আদালত অঙ্গনে দুর্নীতি সংক্রান্ত সকল ট্রাডিশনাল প্রাক্টিস পরিহার করুন। সততা ও দক্ষতার সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করুন।
রাষ্ট্র নিয়োজিত পাবলিক প্রসিকিউটরদের প্রতি তিনি এ আহবান জানান।
আনিসুল হক বলেন, আজকে আমরা একটা নতুন বাস্তবতার সম্মুখিন হয়েছি। কোভিড-১৯ করোনা বৈশ্বিক মহামারিতে আমাদের জীবন চলার অনেক কিছু পরিবর্তিত হয়েছে।
এই পরিবর্তিত অবস্থায় সরকারের স্বদিচ্ছায় ডিজিটাল উন্নয়নের কারনে আজকে অনলাইন মাধ্যমে এই নতুন বাস্তবায়তায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ সম্ভব হচ্ছে।
ভার্চুয়াল কোর্ট চালু হওয়ার পরে ৭২ হাজার মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনার পদক্ষেপগুলি অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে। এতে সারা বিশ্বে আমাদের মুখ উজ্জল হয়েছে।
প্রশিক্ষণার্থী পিপি ও জিপিদের উদ্দেশ্য করে আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা স্ব স্ব জেলায় সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা। আপনাদের বেতন বা সম্মানী পরিববর্তন করার একটা ব্যবস্থা করতে পারবো।
বিশাল মামলার জটকে চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘৩০ লাখের বেশি মামলা বিচার বিভাগে আটকে আছে। এই মামলা যদি আমরা শেষ না করতে পারি তাহলে জনগণ বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা হারাবে। আর জনগণ যদি বিচার ব্যবস্থার উপর যদি আস্থা হারায় তার পরিস্থিতিটা কি হবে তা আপনারা সকলেই জানেন। আমরা কেউ চাই না সেটা হোক। সেজন্যই মীমাংসাযোগ্য মামলাগুলি আদালতে বাইরে নিষ্পত্তিতে জোর দিতে হবে। আর তাতে নেতৃত্ব দিতে হবে আপনাদেরকেই।
আইনমন্ত্রী বলেন, একটি দেওয়ানী মামলা দাদা শুরু করে গেলে এরপর বাবা হয়ে নাতি পর্যন্ত সেই মামলা পরিচালনার মানষিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমরা আর এই অবস্থার মধ্যে থাকতে চাই না। এই অবস্থা পরিবর্তন করতে গেলে যা যা দরকার সেটা করতে হবে। তার মধ্যে অন্যতম একটি বিষয় হচ্ছে এই প্রশিক্ষণ ।
মন্ত্রী বলেন, আধুনিক বিশ্বে নরমাল কোর্টের বাইরেই ৯০ শতাংশ মামলা নিষ্পত্তি হয়ে যায়। আমাদের সেইখানে যেতে হবে। আদাতের বাইরে মামলা নিষ্পত্তিতেও সরকারি কৌশলীদের সহযোগীতা করতে আহবান জানান।
নিজ নিজ মান ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে আন্তরিকতার সঙ্গে সরকারি মামলা পরিচালনা করতেও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের প্রতি আহবান জানান আইনমন্ত্রী।
এসএস//