দিদারুল আলম দিদার : নিজাম উদ্দিন কায়সার কুমিল্লার রাজনীতির মাঠে এক তরুণ তুর্কী।
সাবেক ছাত্রনেতা। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কুমিল্লা (দ:) জেলার নির্বাচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক। দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সাবেক ছাত্রনেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার।
তিনি বর্তমানে বিএনপির জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কুমিল্লা মহানগরের কান্ডারি। কুমিল্লা জনপদে গণমূখী রাজনীতির এক প্রজ্জ্বলিত তারুণ্য কায়সার।
নিজাম উদ্দিন কায়সারের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে তার একটি লেখা পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো..
“প্রজন্মের জন্য টাইমলাইনে রাখা ….”
‘আমাকে যারা কাছ থেকে চিনেন, সবাই জানেন, আমি রাজনীতি অন্তপ্রাণ মানুষ। এই রাজনীতি করতে গিয়ে আমাকে দীর্ঘ বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয়েছে,এখনো পাড়ি দিচ্ছি সেই পিচ্ছিল পথ। আমার পরিবারের প্রচুর অর্থ দলের প্রয়োজনে আমার হাতে খরচ করছি।
যারা কারনে আজকে দলের প্রয়োজনে যখন বিভিন্ন জেলায় যাই ও কর্মীদের দু:খের কথা শুনি তখন মনে হয় আমার পারিবারিক ও কুমিল্লার রাজনৈতিক অভিভাবক হাজী ইয়াছিন ভাইয়ের প্রতি আমি খুব জুলুম করেছি। কিন্তু দলের নেতা-কর্মীরা যখন বিএনপি তথা ইয়াছিন ভাইয়ের জন্য জেল-জুলুম কে হাসি মুখে গ্রহণ করে, মৃত্যুকে ও আলিঙ্গন করতে দ্বিধাহীনভাবে সদা প্রস্তুত থাকে, তখন প্রিয় অভিভাবকের বকুনি আশীর্বাদ মনে হয় ।
সম্ভবত ১৯৯৪ সালে তদানিন্তন প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন সারা দেশে ট্রেইন মার্চ করেন তখন সেই সময়ের কুমিল্লা-৯ (কোতয়ালী-লাকসাম) এলাকার নেত্রী বেগম রাবেয়া চৌধুরী এমপির অনুরোধে আমিন-উর রশীদ ইয়াছিন ভাই বিএনপির ওই এলাকার সাংগঠনিক দায়িত্ব লালমাই রেলস্টেশন নেন। তার পরের রাজনীতি আমরা যারা পুরাতন, তারা সবাই জানি,ওই এলাকা থেকে ইয়াছিন ভাই ১৯৯৬ সালে ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন এবং এমপি নির্বাচিত হন। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে মরহুম আকবর হোসেন ও বেগম রাবেয়া চৌধুরী এই কুমিল্লা অন্ঞ্চলে বিএনপিতে একঝাঁক তরুণ দলপ্রেমী নেতার সমাগম ঘটায়।
কুমিল্লা কোতয়ালীর আহবায়ক হাজী আমিন-উর রশিদ ইয়াছিন, বুড়িচং এ এ্যাড. আ.হ.ম তাইফুর আলম, নাঙ্গলকোটে আব্দুল গফুর ভূঁইয়া,চৌদ্দগ্রামে কাজী নাসিমুল হক, লাকসামে মরহুম ইন্জিনিয়ার নাসির হোসেন, ব্রাক্ষনপাড়ায় মোঃ জসিম উদ্দিন,কুমিল্লা পৌর সভায় আব্দুর রউফ চৌধুরী ফারুক ও মোস্তাক মিয়া ।আর বরুড়াতে আমাদের শ্রদ্ধাভাজন মরহুম আবু তাহের সাহেবসহ ওনার সহকর্মীরা।
এই নেতৃত্বের কারনে খুব অল্প সময়ে বিএনপি কুমিল্লায় সাংগঠনিকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে যায়। যার কারনে দক্ষিণ কুমিল্লার ৭টা আসনসহ কুমিল্লার ১২ টি আসনে বিএনপি জয় লাভ করে।
বন্ধুরা ১৯৯৭ সালে এসএসসি পাশ করে ভিক্টোরিয়া কলেজে ভর্তি হলে হাজী ইয়াছিন ভাইয়ের উৎসাহে ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হই। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হয়ে রাজনীতির সাথে জড়িত হওয়া পরিবার ও আত্নীয়-স্বজন কেউ ভালোভাবে নিত না। কিন্তু একটি বট বৃক্ষ আমাকে ছায়া দিয়ে রাখতেন, যার কারনে কারোর অবহেলাকে আমার কিছু মনে হত না। ১৯৯৮ সালে ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচন; ছাত্রদল, ছাত্রলীগ, ছাত্রশিবির সব দল নির্বাচন করবে। ছাত্রদল ও শিবির আলাদা প্যানল দিলে আমাদের ডানপন্হী ভোট ভাগ হয়ে ছাত্রলীগ পাশ করে যেতে পারে। তাই আমরা যারা কলেজ ছাত্রদলের কর্মী, তারা ছাত্রদল ও শিবির মিলে একটি প্যানেল করলে ভালো হবে , ইয়াছিন ভাইসহ এই ঐক্যমতে আসলাম। এমনকি তখনকার জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আমির ভাই ও সাধারন সম্পাদক জসিম ভাইকে শহর শিবির নেতাদের সাথে যোগাযোগের দায়িত্ব দেওয়া হল।
বিএনপি ও জামাতের নেতাদের সাথে যোগাযোগ করার দায়িত্ব পড়ল বিএনপির নেতা ইয়াছিন ভাই, জামাতের মরহুম সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম ও দ্বীন মোহাম্মদ ভাইয়ের উপর। রাবেয়া আপা ও পৌরসভা চেয়ারম্যান কামাল চৌধুরী সার্বিক বিষয়টি মনিটরিং করেন। ছাত্রদল-ছাত্রশিবির ঐক্য হলো, ওয়াসিম- সান্নাউল্লাহ পরিষদে উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রহিসাবে নির্বাচন করে আমরা পূর্নপ্যানেলে নির্বাচিত হলাম ।
চৌদ্দগ্রাম থেকে নির্বাচিত জামাত নেতা ডা: আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সহ জামাত নেতারা বলতেন ২০০১ সালে বিএনপি জামাত যে ঐক্যের নির্বাচন করেছে তার ধারনা আসে আমাদের ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রসংসদের ছাত্রঐক্য থেকে।আমাদের এই বিজয় যেনো পুরো কুমিল্লাবাসীর, সারা রাত ভোট ব্যাংক পাহারা দেওয়া,পুরো কান্দিড়পাড় ঘেরাও করে রাখা।
১৯৯৭ সাল থেকে দলের প্রতিটি কর্মকান্ডে নিজে সামনের সারিতে থেকে জেলার পাশাপাশি কুমিল্লা-৯ এলাকার ছাত্রদল,যুবদল গোছানোর জন্য ওয়াসিম ভাই, নজরুল ভাই,দোলন ভাই,জাহাঙ্গীর ভাই,বিপ্লব ভাইসহ অনেক নেতাকর্মীরা ওই এলাকায় অসংখ্য মিটিং করেছি। এমন জায়গাও ছিল সন্ধ্যার পর ইলেকট্রিসিটি নাই,কুপি দিয়ে স্কুলঘরে মিটিং করেছি। এভাবে আমরা যখন একঝাঁক তরুনদের নিয়ে সম্পূর্ণ এলাকা গুছিয়ে বিএনপির ঘাঁটিতে পরিনিত করি,তখন জাতীয় রাজনিতির প্রেক্ষাপটে সেইসময়ের জাতীয়পার্টির নেতা মনিরুলহক চৌধুরী সুয়াগাজী মাঠে হাজী ইয়াছিন ভাইয়ের সভাপতিত্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে বিএনপির এমপি নির্বাচিত হন। বর্তমানে উনি শেষ সংসদ নির্বাচনে সদর দক্ষিণ-নাঙ্গলকোট থেকে ধানের শীষ প্রতিকে নির্বাচন করেন।
২০০১ সালে নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়েও আমাদের হাতে ৩৭টি ওয়ার্ড অফিসে ধানের শীষের প্রতিকের নির্বাচন হয়েছিল। যেই অফিস গুলোর তিন মাসের ভাড়া আমরা আগেই পরিশোধ করেছিলাম। যা পরে মনির ভাই জেনে,আমার কাছে স্বীকার করে দু:খ প্রকাশ করেছিলেন।
২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা সদর আসনে আওয়ামী লীগের মার্ডার থেকে শুরু করে সবকিছু মিডিয়ায় আওয়ামীকেন্দ্রীক এবং বিএনপির সেন্ট্রাল কমিটির সাথেও বিভিন্ন এলাকার মনোয়ন নিয়ে আকবর ভাইয়ের সাথে কিছু মত পার্থক্য তৈরি হয় যার প্রভাব রাজনীতির মাঠে পড়তে শুরু করে। প্রিয় নেতা আকবর হোসেন কে একটু বিচলিত মনে হতো।
একদিন রাত ৯টায় মরহুম আকবর ভাইয়ের ভাতিজি জামাতা,সাবেক ছাত্রনেতা ডিলন ভাই ইয়াছিন ভাইকে রিং দেয় এবং বলে, “ আকবর চাচা আপনাকে এখন বাসায় আসতে বলছে, আপনে আসলে একসাথে ভাত খাবে। ইয়াছিন ভাই নেতার আহবানে কুমিল্লার বাসায় খাওয়া দাওয়া করে, খাওয়ার টেবিলে আকবর ভাই বলে “ম্যাডাম যেহেতু মনির চৌধুরীকে ওই আসনে মনোনয়ন দিয়ে দিসে তুই তার সাথে খোঁচাখুচি না করে আমাকে শেষ বয়সে পার করে দে। তুই আমার সাথে মন্ঞ্চে থাকলে জাহাঙ্গীর (তৎকালীন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব) ও সাক্কু (বর্তমান মেয়র এবং আকবর ভাইয়ের মামাত ভাই) পোলাপাইন নিয়া মাঠে থাকলে আমি ওভারকাম করে ফেলতে পারবো। তুই কথা দে,নির্বাচন শেষ না করে ঢাকা যাবি না। আমার এই নির্বাচনের পরে তুই সদরেই নির্বাচন করিস”।
নেতার নির্দেশ অনুযায়ী কাজ চলছে,কোন জায়গায় আওয়ামীলীগ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কি বলছে তা বক্তৃতার মাধ্যমে কাউন্টার দেওয়ার দায়িত্ব পড়ে ইয়াছিন ভাইয়ের উপর।
মানুষও তখন ইয়াছিন ভাইয়ের বক্তৃতা শুনার জন্য উদগ্রীব ছিল। অনেক জায়গায় আকবর ভাই আগে বক্তৃতা দিয়ে চলে যেতেন এবং বলে যেতেন কেন বিএনপিকে ভোট দিতে হবে। ওনি অনেক সময় ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তেন এবং বলতেন, এটা আমার শেষ নির্বাচন, এরপর আপনাদের নেতা হাজী ইয়াছিন”। আল্লাহর ওলি ছিল কিনা জানিনা কিন্তু মরহুম আকবর হোসেন কারোর সম্মানে আঘাত করেছে, আমি তা দেখি নাই এবং শুনিও নাই। যার কারনে হয়তোবা সম্মানের সাথে রাষ্টীয় মর্যাদায় কুমিল্লার অহিংস নেতা হিসাবে কুমিল্লাবাসীর কাছ থেকে বিদায় নিয়েছেন। এখনো কুমিল্লার প্রতিটি শ্রেণী পেশার মানুষ তার অভাব অনুভব করে। বিনম্র শ্রদ্ধা রনাঙ্গনের সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা,সাবেক মন্ত্রী,কুমিল্লার গণমানুষের নেতা লে. কর্নেল আকব হোসেন (বীরপ্রতীক)। আকবর ভাই,ছেলেপেলেদের সাথে বেশি একটা কথা বলতোনা,সমস্যা হলে আমরা নিজেরা জাহাঙ্গীর ভাই,সাক্কু ভাইদের সাথে আলোচনা করে সমাধান করে ফেলতাম। তারপর ও উনি জানত আমি সাংগঠনিক দক্ষতাসম্পন্ন ছেলে,আমার সাথে মাঝে মধ্যে কিছু কথা বলত। একদিন কান্দিরপাড় পার্টি অফিসে উনি বলে,ইয়াছিন,তোমার ছোট ভাই (শালা),আমি মাইক বাহির করলে মফিজরে দিয়ে পুরা শহরে তোমার নামে মাইকিং করাইয়া ফেলে।
আরেকবার ২০০১ সালের নির্বাচনের দুইদিন আগে কোথাও থেকে টাকা আসার কথা, আসে নাই, আকবর ভাই বিচলিত, না পারতে ইয়াছিন ভাইকে জানালো সমস্যার কথা,ইয়াছিন ভাই আমি,আমার ভাই মামুনসহ রাত বারোটা তিরিশে হাজির । সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। আকবর ভাই এতরাতে চা খেতে বলে, ইয়াছিন ভাই বলে আপনি ঘুমান,আকবর ভাই প্রতি উত্তরে বলে,তুমি না খাইলে সমস্যা নাই। কিন্তু মামাতো (আমার আব্বা কে মামা ডাকতেন) ভাইয়েরা আমার ভোটার, তারা চা খেতে হবে।
আরেক দিন কুমিল্লা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষের সাথে ছাত্রদলের নেতকর্মীদের সমস্যা হয়, যা সকল জাতীয় পত্রিকায় আসে। আকবর ভাই মন্ত্রী, কুমিল্লায় আসলে জাহাঙ্গীর ভাইয়ের (জাহাঙ্গীর নানা) মাধ্যমে আমরা পুরো ঘটনা জানাই। উনি আমাদের কোন কথা শুনতে রাজিনা, উনার পরিস্কার কথা,গার্ডিয়ান নিয়ে গিয়ে অধ্যক্ষের নিকট ক্ষমাচাওয়ার জন্য। এখন ওয়াসিম ভাইসহ কেউ কোন কথা বলেনা, সবাই ওনার ভয়ে অস্হির। আমি সাহস করে বলে ফেললাম, যে দিন থেকে রাজনীতি করি সেই দিন থেকেই বাসা আমাদের ত্যাজ্য করে দিসে , (যদিও জাহাঙ্গীর ভাই আমার কথা সমর্থন করেছিলো) নেতারাই আমাদের গার্ডিয়ান, ক্ষমা চাইলে আপনাদের কে চাইতে হবে। যাক,পরে তৎকালিন ডিসি মিজানুর রহমানের মাধ্যমে সমাধান হয়। এই ছিল আকবর ভাইয়ের সাথে আমার কিছু স্মৃতি ।
২০০৫ সালে আকবর ভাইয়ের মৃত্যুর পর ইয়াছিন ভাই কুমিল্লার রাজনীতি দেখভাল করার পর থেকে ১/১১ তে জিয়া পরিবারের পক্ষে আমরা যারা প্রশাসনের নিকট কম টার্গেট ছিলাম, তারা কুমিল্লার মাটিতে সংস্কার পন্হীদের জন্য আতংক হয়ে উঠি। তখন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ওয়াসিম, সাধারম্পাদক নজরুল,শহর ছাত্রদলের সভাপতি সাজ্জাদ,কোতয়ালীর সভাপতি বিপ্লব,কুমিল্লায় সরকারি কলেজ সভাপতি বেলাল,সাধারন সম্পাদক ফারুক,কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সভাপতি আমি , সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ। তার মধ্যে আবার সংসদীয় আসন র্পুবিন্যাস হলে নতুন সমস্যা শুরু হয়। যা বেগম রাবেয়া চৌধুরী, হাজী ইয়াছিন ভাই ও মোস্তাক মিয়া ভাইসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের বুঝিয়ে সমাধান করেন। আর আমরা ছাত্রনেতারা আসিফ আকবরের ভাইয়ের নেতৃত্বে সাকা চৌধুরী, হান্নানশাহ সহ অসংখ্য নেতাদের কুমিল্লার রাজনৈতিক পরিস্হিতি বুঝাতে সক্ষম হই। ঐ সময় আবু ভাইয়ের মুক্তি,এমনকি আমরা ভালো একটি ফলাফল পাই।
কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার কারনে হাতে কাজ নাই,তাই জীবনের চলার পথের গল্পগুলো এই ভার্চুয়াল যুগে টাইমলাইনে রাখার চেষ্টা।
আমি কেন জানি আমার প্রিয় মানুষ গুলোকে মিস করি। মরহুম আকবর হোসেন,কামাল উদ্দীন চৌধুরী, শফিউল বারী বাবু, জাহাঙ্গীর আহাম্মদ, আলাউদ্দীন আহমেদ, মফিজুল আনোয়ার ডিলন, জামাল হোসেন, মিজানুর রহমান, নুরুল করিম, ছোট ভাই সাফায়েত, শিয়ান, আমার স্মৃতিতে চির জাগরুক। দুঃশ্চিন্তার কারণ নেই, আমি ভালো আছি।‘
এসএস//
Leave a Reply