নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীতে ট্যাকটিক্যাল বেল্ট পরে বিজয় দিবসের দায়িত্ব পালনে মাঠে নেমেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
এখন থেকে কাঁধে বা হাতে ভারী বন্দুক বহন করতে হবে না পুলিশ সদস্যদের।
১৬ ডিসেম্বর বুধবার রাজধানীতে ট্যাকটিক্যাল বেল্ট পরে বিজয় দিবসের দায়িত্ব পালনে মাঠে নেমেছে ডিএমপি। কোমরের বেল্টের সঙ্গে যুক্ত হোলস্টার রয়েছে ঊরুতে বাঁধা; তাতে রয়েছে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র, হাতকড়া, ওয়ারলেস। রয়েছে পানির বোতলও।
প্রথমে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সাত হাজার ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) তিন হাজার পুলিশ সদস্যকে এই বেল্ট দেয়া হবে বলে মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ জানিয়েছেন।
মাঠপর্যায়ে কাজ করার সময় পুলিশ সদস্যদের হাত খালি রাখতে উন্নত বিশ্বের আদলে এই ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে বলে জানান আইজিপি।
বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ডিএমপির গুলশান ও রমনা বিভাগের পুলিশ সদস্যরা ট্যাকটিক্যাল বেল্ট পরে দায়িত্ব পালন করেন। গুলশান ২ থেকে গুলশান থানার দিকে যেতে এবং শাহবাগ থানার অধীন মৎস্য ভবনের মোড়ে টহলের পাশাপাশি নিরাপত্তাচৌকি বসিয়ে তল্লাশি চালাতে দেখা যায়।
ডিএমপির গুলশান ও রমনা বিভাগের পুলিশ সদস্যরা বুধবার ট্যাকটিক্যাল বেল্ট পরে দায়িত্ব পালন করেন।
ট্যাকটিক্যাল বেল্ট অ্যান্ড অ্যাকসেসরিজের মধ্যে রয়েছে থাই হোলস্টার উইথ আর্মসে (ঊরুতে বাঁধা অস্ত্রের খাপ) পিস্তল থাকবে, এক্সপান্ডেবল ব্যাটনের (বড় করা যায় এমন লাঠি) ভেতরে ফাইবার কার্বনের মতো লাঠি থাকবে। বাটনে টিপ দিলেই লাঠি বড় হয়ে যাবে। বেল্টের ভেতরের বক্সে ওয়ারলেস, হাতকড়া, টর্চলাইট, পানির বোতল ও মাইক্রোফোন রাখার পৃথক বক্স আছে। কোমরের অংশে আরেকটি বক্সে ছোট আকৃতির এসএমজি থাকবে।
ট্যাকটিক্যাল বেল্ট পরে পুলিশ সদস্যরা টহল, নিরাপত্তাচৌকি বসিয়ে দায়িত্ব পালন, হেঁটে টহল ও মোটরসাইকেলে টহল দেবে।
এসএস//
Leave a Reply