গাজীপুর প্রতিনিধি : জেরার শ্রীপুর উপজেলায় মোবাইল ফোন না দেয়ায় সাড়ে চার বছরের এক শিশুকে হত্যা করেছে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্র। ওই ঘটনায় ঘাতক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার মধ্যরাতে পুলিশ নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে।

মৃত সিফাত আহমেদ নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার ৮ নম্বর ঝানুগাছ চাপানি গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে। অপরদিকে গ্রেফতারকৃত কিশোর আব্দুল্লাহ কাজী (১২) পাবনার সুজানগর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের আমীন কাজীর ছেলে।

শ্রীপুর থানা পুলিশ জানান, গাজীপুরের শ্রীপুর থানার কেওয়া পশ্চিমখন্ড (মাওনা চৌরাস্তা বর্ণমালা মোড়) এলাকার আব্দুস সালামের বাড়িতে পাশাপাশি বাসায় ভাড়া থাকে সিফাত ও আব্দুল্লাহর পরিবার। আব্দুল্লাহ স্থানীয় একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। সোমবার দুপুরে সিফাত তার বাবার এন্ড্রয়েড মোবাইল নিয়ে খেলা করছিল। ওই সময় আব্দুল্লাহ খেলার কথা বলে শিশুটিকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর সন্ধ্যা পর্যন্ত সিফাত বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা তাকে খুঁজতে শুরু করে। পরে স্থানীয়রা ঘটনার দিন রাতে দারগারচালা গ্রামের (ডলফিন বেকারির সামনে) সীমানা প্রাচীর ঘেরা একটি বাগানের ঝোপের ভেতর সিফাতের ক্ষতবিক্ষত লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।

মনিরুজ্জামান খান আরো জানান, শিশুটির মাথায় ইট দিয়ে থেতলানো ও পেটে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় কিশোর আব্দুল্লাহকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ইট, কাঁচের টুকরো ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে।

ঘাতক আব্দুল্লাহ পুলিশকে জানায়, ওই বাগানের পাশে গিয়ে খেলার জন্য সিফাতের কাছে মোবাইল চাইলে সে দিতে অস্বীকার করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সিফাতের মাথায় ঘুষি মারে সে। শিশুটি মাটিতে পড়ে যায়। পরে সে নিহতের লাশ প্রাচীর টপকিয়ে ভেতরে ঝোপের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে ইট দিয়ে শিশুটির মাথা থেতলে দেয় এবং ভাঙ্গা বোতলের কাঁচ দিয়ে পেটে একাধিক আঘাত করে ভুঁড়ি বের করে ফেলে। পরে সে মোবাইল নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এসএস//