হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে যেতে আদালতের দারস্থ হয়েছিলেন হাফিজুর রহমান। কিন্তু আদালতে এসেও স্বামীর বাড়ি ফিরতে রাজি হননি স্ত্রী। ফলে আদালত ওই গৃহবধূকে তাঁর বাবার জিম্মায় দেন। এরপর আদালতকক্ষ থেকে বের হয়েই নিজের বুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত শুরু করেন হাফিজুর।
সোমবার ১৪ ডিসেম্বর দুপুরে হবিগঞ্জ আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত হাফিজুর (৩০) হবিগঞ্জ শহরের কামড়াপুর এলাকার নূর মিয়ার ছেলে। হবিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দৌস মোহাম্মদ ঘটনার সত্যতা গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, হাফিজুর তিন বছর আগে বিয়ে করেন জেলার বানিয়াচং উপজেলার একটি গ্রামে। তাঁদের সংসারে একটি শিশুসন্তানও রয়েছে। এদিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বিরোধ থেকে স্ত্রী (২৫) সম্প্রতি বাবার বাড়ি চলে যান। হাফিজুর স্ত্রী ও সন্তানকে পাওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন।
আদালতের প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ ছিল এ মামলার নির্ধারিত দিন। দুপুরে আদালতে হাজির হন স্ত্রী। এ সময় আদালত স্বামীর বাড়িতে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে স্ত্রী অসম্মতি প্রকাশ করেন। এর প্রেক্ষিতে আদালত তাঁকে বাবার জিম্মায় যাওয়ার আদেশ দেন।
এরপর হাফিজুর আদালতের ভেতর থেকে বের হয়ে নিজের সঙ্গে থাকা একটি ছুরি দিয়ে নিজের বুকে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকেন।
এ দৃশ্য থেকে আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত লোকজন হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ২৫০ শয্যা হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে দ্রত সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। সিলেটে নেয়ার পথে হাফিজুর মারা যান।
স্থানীয়রা এ ঘটনাকে মর্মান্তিক বলে মন্তব্য করেন। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলেন, নানা পরিস্থিতির শিকার হয়ে সমাজে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
এসএস//
Leave a Reply