Dhaka ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মামলা হলেই গ্রেফতার নয়, তদন্তে দায় পাওয়া গেলে ব্যবস্থা: আইজিপি `অন্তর্ভূক্তিমূলক রাষ্ট্রকাঠামোই জাতীয়তাবাদের উপহার’-অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বিপুল আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনায় দেশব্যাপী বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপিত ‘জুলাই আন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সহস্রাধিক লোকের সাক্ষ্য’ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এবারের নববর্ষের অঙ্গীকার : প্রধান উপদেষ্টা সোয়াই নদীর পুনঃখনন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে : ৫’শ মিটার কাজে বাঁধা দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিইউজে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতীকি ক্ষতিপূরণ দেয়া উচিত: সর্বোচ্চ আদালতে ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে ককক্সবাজার ভ্রমনে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বিখ্যাত নির্মাতা কিম কি দুক করোনায় মারা গেছেন

  • Update Time : ০৮:০৮:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১৭ Time View

সারাদেশ ডেস্ক : বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস জনিত সংক্রমণে এবার প্রাণ গেল বিখ্যাত কোরিয়ান চলচ্চিত্র নির্মাতা কিম কি দুকের।

শুক্রবার ১১ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় রাতে ইউরোপের লাটভিয়ার তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে এই খ্যাতিমান নির্মাতার বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৯ বছর।

লাটভিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যম ডেলফি মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। ডেলফি জানায়, গত ২০ নভেম্বর দক্ষিণ কোরিয়া থেকে লাটভিয়ায় আসেন কিম কি দুক। দেশটির রাজধানী রিগার সাগর তীরবর্তী এলাকায় একটি বাড়ি কেনার কথা ছিলো তার। বাড়ি কেনার নির্ধারিত মিটিংয়ের দিনে কিমের অনুপস্থিতি দেখে সহকর্মীরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। তারা কিমকে না পেয়ে হাসপাতালগুলোতে খোঁজ নেন।

অবশেষে জানতে পারেন তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার তার মৃত্যু হয়েছে।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দক্ষিণ কোরিয়ার সিনেমাকে সারাবিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন কিম কি দুক। তিনি ১৯৬০ সালের ২০ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার বোংঘোয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত প্যারিসে ফাইন আর্টস বিষয়ে শিক্ষাগ্রহণ করেন তিনি। শিক্ষাজীবন শেষ করে দেশে ফিরে শুরু করেন চিত্রনাট্য লেখার কাজ। ১৯৯৫ সালে কোরিয়ান ফিল্ম কাউন্সিল কর্তৃক আয়োজিত এক প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পান তিনি।

কিম ১৯৯৬ সালে ‘ক্রোকোডাইল’ নামক একটি স্বল্প বাজেটের চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। তার বাজিমাত করার শুরু ২০০০ সাল থেকে। সে বছর তার ‘রিয়াল ফিকশন’ শিরোনামের চলচ্চিত্রটি ‘২৩তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে’ জায়গা করে নেয়। ২০০৪ সালে ‘বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে’ ‘সামারিটান গার্ল’ চলচ্চিত্রের জন্য এবং ‘ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে’ ‘৩-আয়রন’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি সেরা পরিচালকের সম্মানে ভূষিত হন।

২০১২ সালে তার পরিচালিত ‘পিয়েটা’ ভেনিস, বার্লিন ও কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা চলচ্চিত্রের সম্মান লাভ করে এবং ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে ‘গোল্ডেন লায়ন’ পুরস্কার লাভ করে।

এসএস//

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বিখ্যাত নির্মাতা কিম কি দুক করোনায় মারা গেছেন

Update Time : ০৮:০৮:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২০

সারাদেশ ডেস্ক : বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস জনিত সংক্রমণে এবার প্রাণ গেল বিখ্যাত কোরিয়ান চলচ্চিত্র নির্মাতা কিম কি দুকের।

শুক্রবার ১১ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় রাতে ইউরোপের লাটভিয়ার তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে এই খ্যাতিমান নির্মাতার বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৯ বছর।

লাটভিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যম ডেলফি মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। ডেলফি জানায়, গত ২০ নভেম্বর দক্ষিণ কোরিয়া থেকে লাটভিয়ায় আসেন কিম কি দুক। দেশটির রাজধানী রিগার সাগর তীরবর্তী এলাকায় একটি বাড়ি কেনার কথা ছিলো তার। বাড়ি কেনার নির্ধারিত মিটিংয়ের দিনে কিমের অনুপস্থিতি দেখে সহকর্মীরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। তারা কিমকে না পেয়ে হাসপাতালগুলোতে খোঁজ নেন।

অবশেষে জানতে পারেন তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার তার মৃত্যু হয়েছে।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দক্ষিণ কোরিয়ার সিনেমাকে সারাবিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন কিম কি দুক। তিনি ১৯৬০ সালের ২০ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার বোংঘোয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত প্যারিসে ফাইন আর্টস বিষয়ে শিক্ষাগ্রহণ করেন তিনি। শিক্ষাজীবন শেষ করে দেশে ফিরে শুরু করেন চিত্রনাট্য লেখার কাজ। ১৯৯৫ সালে কোরিয়ান ফিল্ম কাউন্সিল কর্তৃক আয়োজিত এক প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পান তিনি।

কিম ১৯৯৬ সালে ‘ক্রোকোডাইল’ নামক একটি স্বল্প বাজেটের চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। তার বাজিমাত করার শুরু ২০০০ সাল থেকে। সে বছর তার ‘রিয়াল ফিকশন’ শিরোনামের চলচ্চিত্রটি ‘২৩তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে’ জায়গা করে নেয়। ২০০৪ সালে ‘বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে’ ‘সামারিটান গার্ল’ চলচ্চিত্রের জন্য এবং ‘ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে’ ‘৩-আয়রন’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি সেরা পরিচালকের সম্মানে ভূষিত হন।

২০১২ সালে তার পরিচালিত ‘পিয়েটা’ ভেনিস, বার্লিন ও কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা চলচ্চিত্রের সম্মান লাভ করে এবং ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে ‘গোল্ডেন লায়ন’ পুরস্কার লাভ করে।

এসএস//