Dhaka ০৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএফইউজে-ডিইউজে’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১৯ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে অবকাশ : জরুরি মামলা শুনানিতে অবকাশকালীন বেঞ্চ জান প্রাণ দিয়ে জনআস্থা ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির নতুন কমিটির অভিষেক : সভাপতি রফিকুল মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক তোফাজ্জল কোটায় চাকরি : কুমিল্লার এসপি হচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে গুলি করা ছাত্রলীগ ক্যাডার নাজির সম্প্রচারিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক এবং ভিত্তিহীন : সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মতিঝিল থানা ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশনা চেয়ে রিট বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যান সমিতির সভাপতি রফিক, মহাসচিব সাত্তার সাংগঠনিক সম্পাদক তফাজ্জল বুড়িচং জগতপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছে একটি পরিবার

আয়কর তদন্ত বাইডেনের ছেলের বিরুদ্ধে

  • Update Time : ০১:১৪:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১ Time View

যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে আয়কর সংক্রান্ত তদন্ত শুরু করেছে তদন্ত কমিশন। প্রচারে বারবার এই কর ফাঁকির অভিযোগ করেছিলেন ট্রাম্প।

প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট জো বাইডেনকে অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দিয়ে তার ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে আয়কর সংক্রান্ত তদন্ত শুরু হয়েছে। বাইডেন-পুত্র বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ‘আমি গতকাল জানলাম যে, মার্কিন অ্যাটর্নির অফিস আমার আয়কর নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। আমি এই ঘটনাটাকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছি। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, এই ব্যাপারে পেশাদার ও বস্তুনিষ্ঠ পর্যালোচনা হবে।’

তার দাবি, ‘আয়করের বিষয়টি আমি আইনি পথে থেকে করেছি এবং ঠিকভাবে করেছি। পেশাদার কর পরামর্শদাতাদের কথা মেনেই করেছি।’

আর টিম বাইডেনের তরফে আরেকটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট তার ছেলেকে নিয়ে খুবই গর্বিত। গত কয়েক মাসে হান্টারের বিরুদ্ধে বিষাক্ত রাজনৈতিক আক্রমণ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি সেই চ্যালেঞ্জ সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করেছেন। এই আক্রমণ তাকে আরো বলিষ্ঠ করেছে।’ অর্থাৎ, নাম না করেই ট্রাম্পের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে ট্রাম্প নিয়মিতভাবে বাইডেনের ছেলের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ করেছেন।

তবে এই তদন্তের নির্দেশ বাইডেনের কাছে অস্বস্তির কারণ। কারণ, তিনি এখন তার মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করছেন। কিছুদিনের মধ্যে পরবর্তী অ্যাটর্নি জেনারেলের নামও ঘোষণা করবেন। তখন তিনিই তদন্ত সামলাবেন। আগামী ২০ জানুয়ারি বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন। তার আগে তদন্ত শেষ হলে ভালো। না হলে তার সামনে তদন্ত-কাঁটা থাকবে।

ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের অভিযোগ ছিল, বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন বিদেশে ব্যবসা বাড়ানোর জন্য তার রাজনৈতিক যোগাযোগকে কাজে লাগিয়েছিলেন হান্টার। বাইডেন-পুত্র ২০১৪ সালে ইউক্রেনের এনার্জি কোম্পানির বোর্ড সদস্য হন। তখনই বাইডেনের বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ ওঠে। কারণ, বাইডেন তখন ইউক্রেন বিষয়ে মার্কিন নীতি তৈরির মধ্যে ছিলেন।

গত সেপ্টেম্বরে সিনেটে রিপাবলিকান সদস্যের নেতৃত্বাধীন দুইটি কমিটি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়েছিল, হান্টার বাইডেনের বোর্ড সদস্য হওয়াটা সমস্যাজনক এবং এর ফলে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অফিসের পক্ষে নিরপেক্ষভাবে নীতির রূপায়ণে অসুবিধা হয়েছে। তবে হান্টার বাইডেনের কোনো কাজের ফলে নীতি রূপায়ণে বাধা এসেছে, তা কমিটি জানায়নি। সূত্র : ডয়চে ভেলে

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আয়কর তদন্ত বাইডেনের ছেলের বিরুদ্ধে

Update Time : ০১:১৪:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২০

যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে আয়কর সংক্রান্ত তদন্ত শুরু করেছে তদন্ত কমিশন। প্রচারে বারবার এই কর ফাঁকির অভিযোগ করেছিলেন ট্রাম্প।

প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট জো বাইডেনকে অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দিয়ে তার ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে আয়কর সংক্রান্ত তদন্ত শুরু হয়েছে। বাইডেন-পুত্র বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ‘আমি গতকাল জানলাম যে, মার্কিন অ্যাটর্নির অফিস আমার আয়কর নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। আমি এই ঘটনাটাকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছি। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, এই ব্যাপারে পেশাদার ও বস্তুনিষ্ঠ পর্যালোচনা হবে।’

তার দাবি, ‘আয়করের বিষয়টি আমি আইনি পথে থেকে করেছি এবং ঠিকভাবে করেছি। পেশাদার কর পরামর্শদাতাদের কথা মেনেই করেছি।’

আর টিম বাইডেনের তরফে আরেকটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট তার ছেলেকে নিয়ে খুবই গর্বিত। গত কয়েক মাসে হান্টারের বিরুদ্ধে বিষাক্ত রাজনৈতিক আক্রমণ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি সেই চ্যালেঞ্জ সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করেছেন। এই আক্রমণ তাকে আরো বলিষ্ঠ করেছে।’ অর্থাৎ, নাম না করেই ট্রাম্পের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে ট্রাম্প নিয়মিতভাবে বাইডেনের ছেলের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ করেছেন।

তবে এই তদন্তের নির্দেশ বাইডেনের কাছে অস্বস্তির কারণ। কারণ, তিনি এখন তার মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করছেন। কিছুদিনের মধ্যে পরবর্তী অ্যাটর্নি জেনারেলের নামও ঘোষণা করবেন। তখন তিনিই তদন্ত সামলাবেন। আগামী ২০ জানুয়ারি বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন। তার আগে তদন্ত শেষ হলে ভালো। না হলে তার সামনে তদন্ত-কাঁটা থাকবে।

ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের অভিযোগ ছিল, বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন বিদেশে ব্যবসা বাড়ানোর জন্য তার রাজনৈতিক যোগাযোগকে কাজে লাগিয়েছিলেন হান্টার। বাইডেন-পুত্র ২০১৪ সালে ইউক্রেনের এনার্জি কোম্পানির বোর্ড সদস্য হন। তখনই বাইডেনের বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ ওঠে। কারণ, বাইডেন তখন ইউক্রেন বিষয়ে মার্কিন নীতি তৈরির মধ্যে ছিলেন।

গত সেপ্টেম্বরে সিনেটে রিপাবলিকান সদস্যের নেতৃত্বাধীন দুইটি কমিটি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়েছিল, হান্টার বাইডেনের বোর্ড সদস্য হওয়াটা সমস্যাজনক এবং এর ফলে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অফিসের পক্ষে নিরপেক্ষভাবে নীতির রূপায়ণে অসুবিধা হয়েছে। তবে হান্টার বাইডেনের কোনো কাজের ফলে নীতি রূপায়ণে বাধা এসেছে, তা কমিটি জানায়নি। সূত্র : ডয়চে ভেলে