মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি : ৪০তম স্প্যান বসানোর পর পদ্মা সেতুর ছয় কিলোমিটার দৃশ্যমান হলো
পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ১১ ও ১২ নম্বর পিয়ারের (খুঁটি) ওপর ৪০তম স্প্যান (২-ই) বসানো হয়েছে।
শুক্রবার ৪ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ১১ ও ১২ নম্বর পিয়ারের (খুঁটি) ওপর ৪০তম স্প্যান (২-ই) বসানো হয়েছে।
ফলে দৃশ্যমান হলো সেতুর ছয় কিলোমিটার। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটের দিকে স্প্যানটি বসানো হয়।
৩৯তম স্প্যানটি বসানোর ৭ দিনের মাথায় এই স্প্যানটি বসানো হলো। সম্পূর্ণ সেতু দৃশ্যমান হতে বাকি থাকল মাত্র আর একটি স্প্যান।
গত ২৭ নভেম্বর মাওয়া প্রান্তের ১০ ও ১১ নম্বর খুঁটির ওপর ৩৯তম স্প্যানটি বসানো হয়েছিল। পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আবদুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার ৩ ডিসেম্বর কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেন দিয়ে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪০তম স্প্যানটি নির্ধারিত খুঁটির সামনে নেয়া হয়।
কারিগরি সব ধরনের কাজ শেষ করে স্প্যানবাহী ভাসমান ক্রেনটি নোঙর করে রাখা হয়। আজ ৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়। ১০টা ৫৮ মিনিটে স্প্যানটি সফলভাবে বসানো হয়।
১৬ ডিসেম্বরের আগে ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটিতে সবশেষ ৪১তম স্প্যানটি বসানো হবে। স্প্যানটি মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে প্রস্তুত আছে।
এদিকে পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রয়োজন হবে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব। এর মধ্যে ৩০ নভেম্বরের হিসাব অনুযায়ী ১ হাজার ২৩৯টি রোড স্ল্যাব বসানো হয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হবে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১ হাজার ৮৬০টি।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হলো ৪০টি স্প্যান। সংশোধিত তারিখ অনুসারে ২০২১ সালের জুন মাসে সেতুর সব ধরনের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে পদ্মা সেতুর কাঠামো। সেতুর ওপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয় বাস্তব। এটি চালু হলে দেশের যোগাযোগ ব্যাবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রমে ব্যপক অগ্রগতি সাধিত হবে।
এসএস//
Leave a Reply